এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মামলার দুই নম্বর আসামি নূর হোসেনকে গ্রেফতার করে।
আসামিরা হলেন- উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব আদর্শ গ্রামের মো. মানিকের ছেলে মো. নূর আলম রাব্বি (২২), তার ভাই নূর হোসেন (২৯) ও ভাবি রাশেদা আক্তার (২৮)।
পুলিশ জানায়, ভিকটিমরে পরিবার গরিব। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নূর আলমের ভাবি রাশেদা আক্তার তার সন্তানদের দেখাশোনা করার জন্য ওই কিশোরীকে গৃহকর্মী হিসেবে বাড়িতে নেন।
একপর্যায়ে তার দেবর নূর আলম ওই গৃহকর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজের রুমে নিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি গভীররাতে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন।
পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন নূর আলম। পরে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামিসহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।