শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সাফা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিনয় কৃষ্ণ বলকে অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন কর্তৃক জুতা পেটার ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার কলেজের অফিস কক্ষে এ জুতা পেটার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন ধানিসাফা এলাকার আলম বেপারীর স্ত্রী। এদিকে অধ্যক্ষকে জুতা পেটার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় কলেজ শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার সাফা ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন কলেজের কোন নিয়ম কানুন মানেন না। এমনকি জাতীয় শোক দিবসেও কলেজে আসেননি তিনি। এর কোন জবাবদিহিতা করতে পারেন না অধ্যক্ষ। স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ায় ফরিদা ইয়াসমিন প্রায় সময়ই অধ্যক্ষের কথা অমান্য করে চলেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিনয় কৃষ্ণ বল সোমবার সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত কাজে প্রতিষ্ঠানে আসার জন্য বলেন। শিক্ষার্থীরা ওই দিন যথারীতি এসাইনমেন্ট জমা দিতে আসে। অধ্যক্ষ অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিনকে এসাইনমেন্ট জমা দেওয়া শিক্ষার্থীদের নাম রেজিস্ট্রার খাতায় লিখে রাখতে বললে সে কোন কর্ণপাত করেনি। পরে অধ্যক্ষ রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে অফিস সহকারীর টেবিলে যান। এ সময় ১০/১২ জন শিক্ষার্থী ও স্টাফদের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন পায়ের জুতা খুলে অধ্যক্ষকে পেটান শুরু করে। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে। সাফা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী নুরুনśাহার বলেন, অধ্যক্ষ স্যার এসাইনমেন্ট জমা দেওয়া শিক্ষার্থীদের নাম রেজিস্ট্রার খাতায় এন্ট্রি করতে বলেন। কিন্তু অফিস সহকারী ম্যাম এতে অপরাগতা প্রকাশ করে হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই পায়ের জুতা খুলে স্যারকে পিটানো শুরু করেন। এব্যাপার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিনয় কৃষ্ণ বল জানান, বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাছাড়া এবিষয় আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃ দাঃ) বশির আহমেদ জানান, এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আমরা মর্মাহত। ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ আইনের আশ্রয় নিলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইদ্রিস আলী আজিজি জানান, এ ধরনের ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরুপ। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মঠবাড়িয়া মহিউদ্দিন আহমেদ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আজিম উল হক জানান, ঘটনাটি জঘন্যতম অপরাধ। শিক্ষক নেতৃবৃন্দদের সাথে আলোচনা করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।