ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ভালুকার কলেজ ছাত্র সাঈম হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমান উল্লাহ পাঠান (৪৮) কে র্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার বলরামপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে। গত ০৪ এপ্রিল রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেহেরাবাড়ী এভা ডায়িংমোড় এলাকায় “ফেসবুক” এ বিরূপ মন্তব্য করে লেখালেখির কারণে বাদী ও বিবাদীদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বিবাদীরা মিমাংসার নামে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কলেজ পড়ুয়া মোঃ সাঈম খান (১৮) কে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এব্যপারে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার মামলা নং-০৯ তারিখ০৪জুলাই২০২১ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০২/৩০৭/৩৭৯/১১৪/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে দেশব্যপী ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৬/০৭/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রাত র্যাব-১৪, ময়মনসিংহের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার বলরামপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে হত্যার হুকুমদাতা ১নং এজাহার নামীয় আসামী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার মেহেরাবাড়ী এলাকার মৃত- আলী আজমের ছেলে আমান উল্লাহ পাঠান (৪৮), কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে,ধৃত আসামী আমান উল্লাহ ঘটনার অন্তরালে থেকে কিশোর গ্যাং-এ নেতৃত্বে থাকা তার ছেলে সাব্বির’কে বিভিন্ন অপকর্মে সহযোগীতা করত। এরই ধারাবাহিকতায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অত্র এলাকার ভিকটিম মোঃ সাঈম’কে হত্যার উদ্ধেশ্যে ধৃত আসামী এবং তার সহযোগীরা পূর্ব থেকে ঘটনাস্থলে ওঁৎপেতে ছিল। হুকুমদাতা আমান উল্লার নির্দেশে তার ছেলে ২নং এজাহারনামীয় আসামী মোঃ সাব্বির ভিকটিম মোঃ সাঈম খান-কে কৌশলে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে আসামী সাব্বির ও সোহাগ এর বাড়ীর মধ্যবর্তী স্থানে কাঁচা রাস্তার উপর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে হত্যাকরে। এ সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।উক্ত ঘটনার বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।