ময়মনসিংহ ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের সাময়িক বরখান্ত স্থগিত

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১২:৪৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

ওমর ফারুক রনি,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ- সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়ার সাময়িক বরখাস্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট বিভাগ। গত ২০ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের জারিকৃত সাময়কি বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনের হাইকোর্টে বিরুদ্ধে রিট করেন চেয়ারম্যান। গত ২৮ এপ্রিল দায়ের করা ৬৯০২/২৫ নম্বর রিট পিটিশনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগের দ্বৈত বেঞ্চের বিচারপতি তাঁর সাময়িক বরখাস্ত তিন মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেন।

বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল গুদামে রেখে দেরিতে বিতরণ করার অপরাধে গত ২০ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, গত বছরের ১৬ জুলাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে কাপাসিয়া ইউনিয়নের বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ৩ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। চেয়ারম্যান চাল উত্তোলন করে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় কছিম বাজারস্থ জাহাঙ্গীর আলমের ঘরে মজুদ রাখেন। এনিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিত্বে উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও সহকারি কমিশনার অভিযান চালিয়ে চাল সমুহ উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে ৯ সেপ্টেম্বর সহকারি কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান উপস্থিত থেকে বন্যার্তদের মাঝে চাল সমুহ বিতরণ করেন। এনিয়ে চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলে, তিনি জবাদ দাখিল করেন। এরপরও তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়া বলেন, তিনি হাইকোর্ট থেকে ন্যায় বিচার পেয়েছেন। তার ভাষ্য তিনি বর্ন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্বসাত করেন নাই। ব্যক্তিগত কারনে চাল বিতরণে বিলম্ব হয়েছে। তিনি জেলা প্রশাসকের কারন দর্শনোর জবাব দাখিল করেছেন। এরপরও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তির ভূল তথ্যের ভিত্তিত্বে স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে সাময়িক বরখান্ত করেন। তিনি আরও বলেন গত ৩০ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর হাইকোর্টের আদেশ বান্তবায়নের জন্য আবেদন করেছেন।

ভারপ্রাপ্ত উপজলা নিবার্হী অফিসার ও সহকারি কমিশনার ভুমি মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এ সংক্রান্ত কোন আদেশ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে মোবাইল ফোনে শুনেছি

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের সাময়িক বরখান্ত স্থগিত

আপলোড সময়: ১২:৪৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

ওমর ফারুক রনি,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ- সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়ার সাময়িক বরখাস্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট বিভাগ। গত ২০ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের জারিকৃত সাময়কি বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনের হাইকোর্টে বিরুদ্ধে রিট করেন চেয়ারম্যান। গত ২৮ এপ্রিল দায়ের করা ৬৯০২/২৫ নম্বর রিট পিটিশনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগের দ্বৈত বেঞ্চের বিচারপতি তাঁর সাময়িক বরখাস্ত তিন মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেন।

বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল গুদামে রেখে দেরিতে বিতরণ করার অপরাধে গত ২০ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, গত বছরের ১৬ জুলাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে কাপাসিয়া ইউনিয়নের বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ৩ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। চেয়ারম্যান চাল উত্তোলন করে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় কছিম বাজারস্থ জাহাঙ্গীর আলমের ঘরে মজুদ রাখেন। এনিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিত্বে উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও সহকারি কমিশনার অভিযান চালিয়ে চাল সমুহ উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে ৯ সেপ্টেম্বর সহকারি কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান উপস্থিত থেকে বন্যার্তদের মাঝে চাল সমুহ বিতরণ করেন। এনিয়ে চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলে, তিনি জবাদ দাখিল করেন। এরপরও তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়া বলেন, তিনি হাইকোর্ট থেকে ন্যায় বিচার পেয়েছেন। তার ভাষ্য তিনি বর্ন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্বসাত করেন নাই। ব্যক্তিগত কারনে চাল বিতরণে বিলম্ব হয়েছে। তিনি জেলা প্রশাসকের কারন দর্শনোর জবাব দাখিল করেছেন। এরপরও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তির ভূল তথ্যের ভিত্তিত্বে স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে সাময়িক বরখান্ত করেন। তিনি আরও বলেন গত ৩০ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর হাইকোর্টের আদেশ বান্তবায়নের জন্য আবেদন করেছেন।

ভারপ্রাপ্ত উপজলা নিবার্হী অফিসার ও সহকারি কমিশনার ভুমি মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এ সংক্রান্ত কোন আদেশ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে মোবাইল ফোনে শুনেছি