ময়মনসিংহ ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালুকায় পৈতৃক ভিটা থেকে উচ্ছেদের পায়তারা, গ্রাম্য মাতব্বরদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদা দাবীর অভিযোগ।

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০১:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • / ৫৯ বার পড়া হয়েছে

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় ওয়ারিশি সম্পত্তি নিয়ে দুই বোনের দীর্ঘদিনের বিরোধ, সালিশে মিমাংসা করায় স্থানীয় সালিশকারীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছেন প্রভাবশালী স্বেচ্ছাসেবকলীগ দুই নেতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের মাধুর ভিটা এলাকায় সিএস ৭৭৮নং দাগে ১৯৮০ সনে সাফ কবলা দলিল মূলে ৫ একর জমির ক্রয় সুত্রে সমহারে মালিক হন হাজী মোক্তার হোসেন ওরফে মলমইল্লা হাজী ও তার স্ত্রী হাবিবুন নেছা। স্ত্রী হাবিবুন নেছা মারা যাওয়ার পর হাবিবুন নেছার ভাগের সম্পত্তি দুই মেয়ের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ছোট মেয়ে বিলকিস ও তার দুই ছেলে হুমায়ুন কবির ও আল-আমিন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী নেতা বিভিন্ন ভাবে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ওই সম্পত্তি জবরদখল করে রাখে। ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর স্থানীয় ভাবে কয়েক দফায় সালিশের পর গত ৮ মার্চ একটি গ্রাম্য সালিশে বাদী ও বিবাদীর পিতা হাজী মোক্তার হোসেন ওরফে মলমইল্লা হাজীর উপস্থিতিতে বড় মেয়ে মমতাজ বেগমের ভাগের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিলে উক্ত জমিতে দখলে যায় বড় মেয়ের পরিবার। ওই জমি পুনরায় জবরদখলে নিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ দুই নেতা। পরে ভুক্তভোগী পরিবার পুনরায় স্থানীয় সালিশকারীদের শরণাপন্ন হলে সালিশকারীগণ ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। এ ঘটনায় উক্ত জমি জবরদখল নিতে ব্যর্থ হয়ে সোহাগ মিয়া ও শরিফ মন্ডল নামে সালিশকারী দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০ লাক টাকা চাঁদা দাবির মিথ্যে অভিযোগ তুলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ওই দুই নেতা।

ভুক্তভোগী পরিবার বলেন, আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ জবরদখল রেখেছিলো স্থানীয় সালিশে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। উক্ত জমি আবারও জবরদখল করতে আমাদের পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে হুমায়ুন কবির, আল-আমিন ও সুমন।

স্থানীয়রা বিল্লাল হোসেন ও জহিরুল জানান, গ্রাম্য সালিশে ওই জমির দীর্ঘদিনের বিরোধ মিমাংসা হওয়ার পরে হুমায়ুন ও আল-আমিন, সুমন এর বড় খালার ওই সম্পত্তি পুনরায় জবরদখল করতে অপচেষ্টা করে, পরে স্থানীয় সালিশকারীগণ ভুক্তভোগী পরিবার পাশে দাঁড়ানোর কারণে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে। আসলে চাঁদা দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তবে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করে হুমায়ুন কবির ও আল-আমিন বলেন, সরাসরি টাকা চাইনি, আমাদের জায়গা নিয়ে যাচ্ছে কি করবো কিছু একটাতো বলতে হবে।

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান ভুক্তভোগী সোহাগ মিয়া ও শরিফ মন্ডল। সোহাগ বলেন ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় সালিশকারীদের শরণাপন্ন হলে আমরা এলাকাবাসী হিসেবে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। আর এ জন্যই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

ভালুকায় পৈতৃক ভিটা থেকে উচ্ছেদের পায়তারা, গ্রাম্য মাতব্বরদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদা দাবীর অভিযোগ।

আপলোড সময়: ০১:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় ওয়ারিশি সম্পত্তি নিয়ে দুই বোনের দীর্ঘদিনের বিরোধ, সালিশে মিমাংসা করায় স্থানীয় সালিশকারীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছেন প্রভাবশালী স্বেচ্ছাসেবকলীগ দুই নেতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের মাধুর ভিটা এলাকায় সিএস ৭৭৮নং দাগে ১৯৮০ সনে সাফ কবলা দলিল মূলে ৫ একর জমির ক্রয় সুত্রে সমহারে মালিক হন হাজী মোক্তার হোসেন ওরফে মলমইল্লা হাজী ও তার স্ত্রী হাবিবুন নেছা। স্ত্রী হাবিবুন নেছা মারা যাওয়ার পর হাবিবুন নেছার ভাগের সম্পত্তি দুই মেয়ের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ছোট মেয়ে বিলকিস ও তার দুই ছেলে হুমায়ুন কবির ও আল-আমিন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী নেতা বিভিন্ন ভাবে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ওই সম্পত্তি জবরদখল করে রাখে। ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর স্থানীয় ভাবে কয়েক দফায় সালিশের পর গত ৮ মার্চ একটি গ্রাম্য সালিশে বাদী ও বিবাদীর পিতা হাজী মোক্তার হোসেন ওরফে মলমইল্লা হাজীর উপস্থিতিতে বড় মেয়ে মমতাজ বেগমের ভাগের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিলে উক্ত জমিতে দখলে যায় বড় মেয়ের পরিবার। ওই জমি পুনরায় জবরদখলে নিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ দুই নেতা। পরে ভুক্তভোগী পরিবার পুনরায় স্থানীয় সালিশকারীদের শরণাপন্ন হলে সালিশকারীগণ ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। এ ঘটনায় উক্ত জমি জবরদখল নিতে ব্যর্থ হয়ে সোহাগ মিয়া ও শরিফ মন্ডল নামে সালিশকারী দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০ লাক টাকা চাঁদা দাবির মিথ্যে অভিযোগ তুলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ওই দুই নেতা।

ভুক্তভোগী পরিবার বলেন, আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ জবরদখল রেখেছিলো স্থানীয় সালিশে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। উক্ত জমি আবারও জবরদখল করতে আমাদের পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে হুমায়ুন কবির, আল-আমিন ও সুমন।

স্থানীয়রা বিল্লাল হোসেন ও জহিরুল জানান, গ্রাম্য সালিশে ওই জমির দীর্ঘদিনের বিরোধ মিমাংসা হওয়ার পরে হুমায়ুন ও আল-আমিন, সুমন এর বড় খালার ওই সম্পত্তি পুনরায় জবরদখল করতে অপচেষ্টা করে, পরে স্থানীয় সালিশকারীগণ ভুক্তভোগী পরিবার পাশে দাঁড়ানোর কারণে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে। আসলে চাঁদা দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তবে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করে হুমায়ুন কবির ও আল-আমিন বলেন, সরাসরি টাকা চাইনি, আমাদের জায়গা নিয়ে যাচ্ছে কি করবো কিছু একটাতো বলতে হবে।

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান ভুক্তভোগী সোহাগ মিয়া ও শরিফ মন্ডল। সোহাগ বলেন ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় সালিশকারীদের শরণাপন্ন হলে আমরা এলাকাবাসী হিসেবে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। আর এ জন্যই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।