ময়মনসিংহ ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরগঞ্জে টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণে টাকা নেয়ার অভিযোগ

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৩:১২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে

ওমর ফারুক রনি, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:- গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণের নামে ২০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন পরিষদের লোকজনের বিরুদ্ধে।

শনিবার দুপুরে উপজেলার ২নং সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গেছে, উপজেলার ২নং সোনারায় ইউনিয়নের টিসিবি সুবিধাভোগীদের কার্ডগুলো স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করার জন্য এর আগে জমা নেওয়া হয়। যাচাই বাছাই করে প্রায় ১৫’শ জন সুবিধাভোগীর কার্ডগুলো স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করা হয়। সেই স্মার্ট কার্ডগুলো শনিবার সকাল থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন ইউনিয়ন পরিষদের লোকজন।

স্মার্ট কার্ডের জন্য হোল্ডিং ট্র্যাক্সের কথা বলে লোক দেখানো রশিদ মূল্যে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে নেয় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শফিকুল ইসলাম ও হিসাবরক্ষক মিলন দাশ। এ রশিদে নেই ইউনিয়ন পরিষদের নাম, নেই কোন ক্রমিক নাম্বার, নেই কোন কার্বন কপি। এসবই যেন ভাঁওতাবাজি।
এ নিয়ে অনেকের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।এরই এক পর্যায়ে শত শত সুবিধাভোগীরা টাকা দিতে অসম্মতি জানিয়ে প্রতিবাদ জানালে ইউপি সচিব কৌশলে কয়েকজনের টাকা ফেরত দিলেও শত শত জনগনের তোপের মুখে পড়ে ইউপি সচিব, হিসাবরক্ষক ও ইউপি চেয়ারম্যান।

অনেকে চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে তার অপসারণের দাবি জানিয়ে বলেন- চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের টেলিভিশন নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন, ইউনিয়নের পরিষদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ট্যাংক নিজের বাড়িতে লাগিয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের যেকোনো সুবিধা তিনি টাকা ছাড়া দেন না।
টিসিবির স্মার্ট কার্ড দিতে টাকা নেয়ার বিষয়ে ইউপি সচিব শফিকুল ইসলাম ও হিসাবরক্ষক মিলন দাশের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা টাকা নিচ্ছি। রশিদে পরিষদের নাম, ক্রমিক নং, কার্বন কপি নেই এ বিষয়ে জানতে চাইলে এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বদরুল আহসান সেলিম জানান, টিসিবির কার্ড বিতরণ টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নেই। আমরা মূলত ট্যাক্স হালনাগাদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০টাকা করে নিচ্ছি। রশিদে ইউনিয়ন পরিষদের নাম, ক্রমিক নম্বর, কার্বন কপি নেই এবিষয়ে তিনি ইউপি সচিব ও হিসাবরক্ষককে দোষারোপ করেন।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজির হোসেন জানান, টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণের কোন টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্ৰহন করা হবে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

সুন্দরগঞ্জে টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণে টাকা নেয়ার অভিযোগ

আপলোড সময়: ০৩:১২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

ওমর ফারুক রনি, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:- গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণের নামে ২০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন পরিষদের লোকজনের বিরুদ্ধে।

শনিবার দুপুরে উপজেলার ২নং সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গেছে, উপজেলার ২নং সোনারায় ইউনিয়নের টিসিবি সুবিধাভোগীদের কার্ডগুলো স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করার জন্য এর আগে জমা নেওয়া হয়। যাচাই বাছাই করে প্রায় ১৫’শ জন সুবিধাভোগীর কার্ডগুলো স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করা হয়। সেই স্মার্ট কার্ডগুলো শনিবার সকাল থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন ইউনিয়ন পরিষদের লোকজন।

স্মার্ট কার্ডের জন্য হোল্ডিং ট্র্যাক্সের কথা বলে লোক দেখানো রশিদ মূল্যে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে নেয় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শফিকুল ইসলাম ও হিসাবরক্ষক মিলন দাশ। এ রশিদে নেই ইউনিয়ন পরিষদের নাম, নেই কোন ক্রমিক নাম্বার, নেই কোন কার্বন কপি। এসবই যেন ভাঁওতাবাজি।
এ নিয়ে অনেকের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।এরই এক পর্যায়ে শত শত সুবিধাভোগীরা টাকা দিতে অসম্মতি জানিয়ে প্রতিবাদ জানালে ইউপি সচিব কৌশলে কয়েকজনের টাকা ফেরত দিলেও শত শত জনগনের তোপের মুখে পড়ে ইউপি সচিব, হিসাবরক্ষক ও ইউপি চেয়ারম্যান।

অনেকে চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে তার অপসারণের দাবি জানিয়ে বলেন- চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের টেলিভিশন নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন, ইউনিয়নের পরিষদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ট্যাংক নিজের বাড়িতে লাগিয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের যেকোনো সুবিধা তিনি টাকা ছাড়া দেন না।
টিসিবির স্মার্ট কার্ড দিতে টাকা নেয়ার বিষয়ে ইউপি সচিব শফিকুল ইসলাম ও হিসাবরক্ষক মিলন দাশের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা টাকা নিচ্ছি। রশিদে পরিষদের নাম, ক্রমিক নং, কার্বন কপি নেই এ বিষয়ে জানতে চাইলে এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বদরুল আহসান সেলিম জানান, টিসিবির কার্ড বিতরণ টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নেই। আমরা মূলত ট্যাক্স হালনাগাদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০টাকা করে নিচ্ছি। রশিদে ইউনিয়ন পরিষদের নাম, ক্রমিক নম্বর, কার্বন কপি নেই এবিষয়ে তিনি ইউপি সচিব ও হিসাবরক্ষককে দোষারোপ করেন।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজির হোসেন জানান, টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণের কোন টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্ৰহন করা হবে।