ময়মনসিংহ ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেডিকেল ভর্তির হার না মানা শিক্ষার্থী নাফিস

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৩:২৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৯৯ বার পড়া হয়েছে

ওমর ফারুক রনি, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ- কৃষক পরিবারের শাহরিয়া নাফিস। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। অবশেষে সেই স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে এই শিক্ষার্থীর। এবার চান্স পেয়েছে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বাগুড়িয়া গ্রামে। এ গ্রামের কৃষক আতিকুর রহমান প্লাবন ও গৃহিনী নার্গিস আক্তার দম্পতির ছেলে শাহরিয়া নাফিস।

আতিকুর রহমানের একমাত্র ছেলে নাফিস। আরও আছে দুই মেয়ে। এদের মধ্যে অত্যন্ত মেধাবী শাহরিয়া নাফিস। ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখা করতে ভালোবাসতো সে। তার শিক্ষাজীবন শুরু বাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে বাগুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে সাফল্য অর্জন করেন।

এরই ধারাবাহিতায় এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পান। তার এই সাফল্যের জন্য অবাক হয়েছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে শাহরিয়া নাফিস জানান, তীক্ষ্ণ মনো চিন্তা নিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে মানুষ যদি পড়াশুনা করে আর অদম্য চেষ্টা করে একদিন সাফল্য অর্জন করবে যার বাস্তব প্রমাণ আমি নিজে। আমি মেডিকেলে পড়াশুনা করে ডাক্তার হয়ে দেশ এবং জাতির মঙ্গলের চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

নাফিসের বাবা আতিকুর রহমান জানান, বর্তমান সাংসারিক পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করেও ছেলেকে সাহস জুগিয়েছি। একসময় নিরাশ হয়ে আমরা ভেঙে পড়ি। তবু অদম্য মেধাবী নাফিস হাল ছেঁড়ে না দিয়ে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে মেডিকেল ভর্তি কোচিং রেটিনায় ভর্তি হন। আর প্রথম বার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই নাফিস সূযোগ পায় নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে। আমার পাশাপাশি নাফিসের এই সাফল্যের পেছনে তার তিন মামার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

মেডিকেল ভর্তির হার না মানা শিক্ষার্থী নাফিস

আপলোড সময়: ০৩:২৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

ওমর ফারুক রনি, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ- কৃষক পরিবারের শাহরিয়া নাফিস। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। অবশেষে সেই স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে এই শিক্ষার্থীর। এবার চান্স পেয়েছে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বাগুড়িয়া গ্রামে। এ গ্রামের কৃষক আতিকুর রহমান প্লাবন ও গৃহিনী নার্গিস আক্তার দম্পতির ছেলে শাহরিয়া নাফিস।

আতিকুর রহমানের একমাত্র ছেলে নাফিস। আরও আছে দুই মেয়ে। এদের মধ্যে অত্যন্ত মেধাবী শাহরিয়া নাফিস। ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখা করতে ভালোবাসতো সে। তার শিক্ষাজীবন শুরু বাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে বাগুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে সাফল্য অর্জন করেন।

এরই ধারাবাহিতায় এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পান। তার এই সাফল্যের জন্য অবাক হয়েছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে শাহরিয়া নাফিস জানান, তীক্ষ্ণ মনো চিন্তা নিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে মানুষ যদি পড়াশুনা করে আর অদম্য চেষ্টা করে একদিন সাফল্য অর্জন করবে যার বাস্তব প্রমাণ আমি নিজে। আমি মেডিকেলে পড়াশুনা করে ডাক্তার হয়ে দেশ এবং জাতির মঙ্গলের চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

নাফিসের বাবা আতিকুর রহমান জানান, বর্তমান সাংসারিক পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করেও ছেলেকে সাহস জুগিয়েছি। একসময় নিরাশ হয়ে আমরা ভেঙে পড়ি। তবু অদম্য মেধাবী নাফিস হাল ছেঁড়ে না দিয়ে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে মেডিকেল ভর্তি কোচিং রেটিনায় ভর্তি হন। আর প্রথম বার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই নাফিস সূযোগ পায় নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে। আমার পাশাপাশি নাফিসের এই সাফল্যের পেছনে তার তিন মামার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।