ওমর ফারুক রনি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:- এ দেশে মসজিদে যেমন সুরক্ষিত পরিবেশে ইবাদত পালন করে মুসলমানরা তেমন অন্যধর্মের উপসনালয়গুলো সুরক্ষিত পরিবেশে তাদের ইবাদত পালন করবে, জামায়াতের আমীর ড. শফিকুর রহমান। তিনি আরো বলেন,২০০৬ সাল থেকে দেশের মানুষকে গুম,হত্যা করে পালিয়ে গেছে স্বেরাচারী শেখ হাসিনা। পিলখানা হত্যার পর বাহিনীর নাম ও পোশাক বদল করা হলেও আজও তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়নি। মিথ্যুকরা বলে আয়নঘর বলে কিছু ছিলো না, আমি আয়না ঘর নিজে দেখেছি।

গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তবে এসব কথা বলেন দলটির কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান।সম্মেলনে জেলার সাত উপজেলার ৮২টি ইউনিয়ন  থেকে নেতাকর্মীসহ বিপুল লোক সমাগম ঘটে।

দলের বার্ষিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রতিবছরই কর্মী সম্মেলন করতে হয়। তারই অংশ হিসেবে এ সম্মেলন। এ সম্মেলনে লক্ষাধীক লোক সমাগমের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছে জেলা জামায়াত। সম্মেলন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করতে সাড়ে ৬০০ স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়াও আইন শৃংখলা বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে। যানজট এড়ানোর জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী গ্যারেজের ব্যবস্থা করা হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী  গাইবান্ধা জেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমীর,  আব্দুল করিম সরকারের সভাপতিত্বে  সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম , কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন,অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ডাঃ আব্দুর রহিম এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয়  সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ।  দীর্ঘ প্রায় ২ যুগ পর এই  মাঠে প্রকাশ্য সমাবেশ করলো জামায়াত। ২০০২ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা শহীদ দেলওয়ার হোসেন সাঈদী  এই মাঠে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বক্তব্য রাখেন।  এরপর এই মাঠে আর কোন প্রকাশ্য সমাবেশ করতে পারেনি জামায়াত।ফলে এবারের সমাবেশকে ঘিরে সারা জেলায় ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ডা: শফিকুর রহমান। তাঁকে একনজর দেখার জন্য সবার মাঝে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তার মানবিক দিকগুলো দেশবাসীকে আকৃষ্ট করছে।

এ ছাড়া জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মিদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনার লক্ষ করা গেছে। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মিরা সমাবেশ সফল করতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন।