ভালুকায় চায়না কমলা চাষে সফল শহিদ

- আপলোড সময়: ০২:২৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

খলিলুর রহমান:- ময়মনসিংহের ভালুকায় চায়না কমলা চাষে সফল শহিদ আহমেদ। শহিদ উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের আখালিয়া গ্রামের মোঃ নিশান আলীর ছেলে।
ছোটবেলা থেকেই শাকসবজি ও কৃষি কাজে বেশ আগ্রহী শহিদ ইউটিউব দেখে উদ্বুদ্ধ হোন কমলা চাষে। ২০২২ সালে আখালিয়া গ্রামে ৩ একর জমি ১২ বছরের জন্য ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে বর্গা নিয়ে চায়না কমলা, ড্রাগন ও মাল্টা চাষ শুরু করেন। ৬শত ড্রাগন, ২শত ৩০টি চায়না কমলা, ৭০টি দার্জিলিং কমলা ও ৪৩০টি মাল্টার চারা রোপন করেন। প্রথম ফলনে মাল্টা ও ড্রাগনে লাভ না হলেও কমলায় সাড়ে ৫ লাখ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। দ্বিতীয় ফলন উঠবে আগামী নভেম্বরে। আশা করছেন দ্বিগুণ লাভের। উদ্যোক্তা শহিদ আহমেদ বলেন, ছোট কাল থেকেই পেঁপে, কলা বাগান ও পোল্ট্রি খামার করেছি। ইউটিউব দেখে স্বপ্ন ছিল চায়না কমলা চাষ করার। যা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। বাগানে যা খরচ হয়েছে তা ইতোমধ্যেই উঠে এসেছে। কিছুটা লাভও হয়েছে।
শহিদ জানান, ভালুকার মাটি চায়না কমলা, দার্জিলিং কমলা, মালটা ও ড্রাগন ফলের উপযুক্ত জায়গা। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে বাগান চাষ করলে অবশ্যই সফলা আসবে।
কৃষি কাজে এলাকার বেকার যুবকদের উদ্বুদ্ধ করতে শহিদ তার বাগান থেকে সল্পমূল্যে কলম পদ্ধতিতে কমলার চারা বিক্রি করছেন।
সম্প্রতি উপজেলা কৃষি অফিসার তার বাগান পরিদর্শন করে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন।
এসএসসি পাশ শহিদ আহমেদ বেকার যুবকদের উদ্দ্যেশে বলেন, চাকুরী নামক সোনার হরিণের পিছুনে না ছুটে, কৃষিতে মনোযোগী হলে কাউকে বেকারত্বের অভিষাপ স্পর্শও করতে পারবে না। উপজেলা কৃষি অফিসার নুসরাত জামান জানান, উদ্যোক্তা শহিদ আহমেদের কমলা বাগান পরিদর্শন করেছি। বাগানে প্রচুর পরিমানে চায়না কমলা এসেছে। অনেকের বাগানের কমলা হলেও তা টক হয়, কিন্তু এই বাগানের কমলা রস ও মিষ্টি উভয়টা আছে।
ভালুকাতে কমলা চাষ করার উপযুক্ত জায়গা। যদি কেই কমলা বাগান করতে উদ্যোগী হয় তাকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।