আরিফ বিল্লাহ জামিল, বারহাট্রা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ- নেত্রকোণা জেলার ১১ নং কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকার রাজাপুর ব্রিজের পূর্ব দিকের ধনারখাল শেষের অংশসহ কুমারপুর ডাকাতখালী বিলের বিভিন্ন জায়গা থেকে লাল বালু তুলে রমরমা ব্যবসা করছে কিছু বালুখেকুরা। প্রশাসনকে জানানোর পরেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
১৫ ই অক্টোবর দুপুর ১ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ,রাজাপুর কুমারপুর গ্রামে ডাকাতখালী বিল হতে ইঞ্জিল চালিত নৌকা দিয়ে বালু বিভিন্ন জায়গায় তুলে তোপসহ পিকাপ ,লড়ির গাড়ি করে বিক্রি করছে। ঐ সময় সেখানে ৫ ,৬ টি নৌকা দিয়ে বালু নিতে দেখা যায়, সে বিষয়ে নেত্রকোণা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে গণমাধ্যম জানায়। এখন দু-দিনে ও তাঁদের কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এতে করে কিছু বালুখেকুরা অবাধে বালু তোলে রমরমা বাণিজ্য করছে ।
এদিকে রাজাপুর এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানা যায়, এলাকা ও বহিরাগত প্রায় ১০-১৫ জন তিন মাস যাবৎ এভাবে বালাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছে তাদের মধ্যে বালুখেকুরা হল রাজাপুর এলাকার মৃত. মত্তুমালের ছেলে নয়ন, মৃত. রুমালির ছেলে কামাল, কালিয়ারা গাবরাগাতী এলাকার অসীম, উদয় যে কিছু দিন আগেও আওয়ামি সরকারের ছাত্রলীগের সঙ্গে একত্রিত হয়ে, বিভিন্ন অপকর্ম করে এসেছে। সময় সুযোগ পরিবর্তন হতেই, নিজেকে বিএনপি দাবি করছে। এছাড়াও আরো আশেপাশের প্রায় ২০-৩০ জন প্রতিদিন ১৫-২০ টি ইঞ্জিল চালিত ছোট বড় নৌকা দিয়ে দিনরাত লাল বালু বালতি বা কোদাল দিয়ে সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকে এতে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু বিক্রি হচ্ছে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। মানুষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এলাকাবাসীর বাড়িঘর ঝুঁকিতে আছে এবং একটি বাঁধ সহ ব্রিজের রাস্তা ছিল সেটা ও ভেঙ্গে গেছে বালু তোলার কারণে।
১১ কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়নের নায়েব এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, গণমাধ্যমরা সম্পূর্ণ তালিকা দেননি তাই সম্পূর্ণ নাম সংগ্রহ করে নিয়মিত মামলা করবে এবং নিয়মিত মামলা করা উচিত বলে তিনি জানান। গণমাধ্যম পরিদর্শন করার কথা বললে তিনি জানান, অভিযান করতে হলে যে প্রক্রিয়া দরকার সেগুলো এই মুহূর্তে উনার কাছে নেই (যেমন: পুলিশ ,নৌকা ,প্রশাসন)। যে জায়গা হতে বালু উঠানো হয় সে নদী জায়গার বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি ১০-১৫ দিন হয় এই ভূমি অফিসে যোগদান করেছেন তাই সে বিষয়ে কিছু জানেন না। অথচ গত ১৫ ই অক্টোবর নৌকার ভিডিওসহ ঘটনা জানানো হয়েছে এখন পর্যন্ত উনি কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়নি।
এদিকে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি বলেন, নিয়মিত মামলা করা হবে দুর্গম এলাকা তাই অভিযান করা সম্ভব নয়।
নেত্রকোনা জেলার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস এর সঙ্গে মুঠোফোনের যোগাযোগ করলে, তিনি ইউএনওকে বলবেন, এখন অভিযান করার জন্য, এ কথা বলার পরেও সারাদিন কেটে গেলেও কোন অভিযান হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- শফিকুল ইসলাম সবুজ।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ- ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন আল-মদিনা সুপার মার্কেট, সিড্ ষ্টোর বাজার, ভালুকা,ময়মনসিংহ। ই-মেইলঃ bhalukainfo@gmail.com
যোগাযোগঃ- ✆ ০১৭১৫৮১৫৬৪৭, ০১৯১৮১৯৯৮৭৩
Copyright © 2025 মুক্তকণ্ঠ. All rights reserved.