সালথায় সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
- আপলোড সময়: ০১:২৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৪ বার পড়া হয়েছে
শরিফুল হাসান,সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:-ফরিদপুরের সালথার ইউসুফদিয়া আব্দুল আলী এবং নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা মাইক লাগিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক সাকিলা বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে। সোমবার বেলা ১০ টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় চাকী ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন, তাদেরকে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে বলেন। এদিকে মাইক লাগিয়ে শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সাকিলা মেডাম আমাদের ইংরেজি ক্লাস নেন। আমরা হেডস্যারকে বলে নতুন একজন শিক্ষককে ইংরেজি ক্লাস নেওয়ার অনুরোধ জানাই। এর পর থেকেই তিনি আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। শ্রেণিকক্ষে তিনি আমাদের অনেক গালিগালাজ করেন, সামান্য কারনে বা পড়া না পারলে বেত দিয়ে আমাদের অনেক মারধর করেন। তাছাড়া তিনি বিদ্যালয়ে আসলেও ক্লাস নেন না। আবার অনেক সময় ক্লাস নিলেও অল্প সময়ের জন্য নেন। আমরা এগুলোর প্রতিবাদ করায় তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এছাড়াও আমরা অন্যত্র কচিং করায় তিনি অনেক কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য করেন।
তারা আরও জানায়, বিষয় টি আমরা ইউএনও স্যারের কাছে দরখাস্ত দেই। এই খবর শুনে তিনি আমাদের অভিভাবকদের কাছে বিচার দেন। আমরা কোন উপায় না পেয়ে এখন আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি না মানলে আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো না। প্রয়োজনে আমাদের টিসি দিয়ে অন্য স্কুলে পাঠিয়ে দেন। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের দাবি না মানলে তারা আসন্ন এসএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহন করবে না।
পদত্যাগের বিষয়ে সাকিলা বেগম বলেন, আমি প্রায় ২১ বছর শিক্ষকতা করি এবং ২০১৮ সালথা থেকে অত্র প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি দশম শ্রেণিতে দুটি ক্লাস নিতাম, নতুন শিক্ষক আসার পর আমি একটি ক্লাস ছেড়ে দেই। পরবর্তীতে আমাকে শিক্ষার্থীরা ঐ ক্লাস টা ছেড়ে দিতে বললে আমি সেটাও ছেড়ে দেই। তারপরেও আমার বিরুদ্ধে ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে, এটা শুনে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। আমি কষম করে বলতে পারি আমি ওদের গালি গালাজ করি নাই।
এই বিষয়ে ইউসুফদিয়া আব্দুল আলী এবং নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহালম হোসেন বলেন, আমি আর মাত্র তিন দিন প্রধান শিক্ষক হিসেবে আছি, তাই এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় চাকী বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি। এছাড়া ঐ সহকারী প্রধান শিক্ষকের সাথেও কথা বলেছি। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। এই বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।