ময়মনসিংহ ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সালথায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৩:২০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

শরিফুল হাসান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:-ভারতের সাথে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিসাবের দাবিতে এবং পূর্ব ঘোষণা ছাড়া নদীর বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যার প্রতিবাদে ফরিদপুরের সালথায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৬ আগষ্ট) বিকাল ৫টায় উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ ও সকল অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে সালথা উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে সালথা সদর বাজারসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরে বাইপাস সড়কে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ মিয়া, ফরিদপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মোঃ হারুনার রশিদ (হারুন), সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান (সাকিল), জেলা গণ অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক ফিরোজ শেখ,
শ্রম ও কর্মসংস্থান সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক, মানব সেবা সম্পাদক মোঃ আলমগীর শেখ, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ জুয়েল ভান্ডারী প্রমুখ। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা গণ অধিকার পরিষদ ও সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে ফরিদপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদে সভাপতি হারুনার রশিদ বক্তব্য বলেন, বাংলাদেশ-ভারত অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত ও উজানে বাঁধ বন্ধ করা এবং দাসত্বমূলক সব চুক্তি বাতিল এবং ভারতীয় পণ্য বর্জনের করতে হবে।আন্তর্জাতিক নদীর বেশিরভাগ নদীতেই অবৈধ বাঁধ দিয়ে একদিকে যেমন গ্রীষ্মকালে পানি বন্ধ করে খরার সৃষ্টি করে, অন্যদিকে বর্ষাকালে বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বন্যার পানিতে প্লাবিত করে। যে ভারত আমাদের ফেলানী হত্যা করে উদযাপন করে, সীমান্তে মানুষ হত্যা করে এবং বাঁধ খুলে বাংলাদেশের মানুষকে প্লাবিত করে সেই দেশ কখনো আমাদের বন্ধু হতে পারে না। যখনই ভারতের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে তখনই তাকে চিরদিনের মতো শেষ করে দেওয়া হয়। মূলত ভারত আমাদের বন্ধুরূপে শত্রু। এখনই সময় এসেছে ভারতীয় এসব আগ্রাসন রুখে দেওয়ার। এমন কুলাঙ্গার বন্ধু আমাদের প্রয়োজন নেই।’

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় সব পণ্য বয়কট করতে হবে। ভারতীয় সব পণ্য কেনাবেচা না করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর ভারতীয় আগ্রাসনে টান পরেছে। তাই তো বাঁধ খুলে বন্যা সৃষ্টির মাধ্যমে তারা অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, তারা নানা ধরনের পায়তারাও চালাচ্ছে। ভারত সৃষ্ট বন্যা মোকাবিলায় আমরা হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সর্বস্তরের মানুষ একত্রিত হয়ে কাজ করছি। ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ আমরা মিলিত হয়েছি। ‘আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই- এখন বাকশাল নাই, স্বৈরাচার নাই; যদি কৃত্রিমভাবে আমাদের দেশে দুর্যোগ সৃষ্টি করা হয় দিল্লিতে শাসন ক্ষমতা থাকবে না, সেভেন সিস্টার অক্ষত থাকবে না।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

সালথায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল

আপলোড সময়: ০৩:২০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

শরিফুল হাসান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:-ভারতের সাথে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিসাবের দাবিতে এবং পূর্ব ঘোষণা ছাড়া নদীর বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যার প্রতিবাদে ফরিদপুরের সালথায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৬ আগষ্ট) বিকাল ৫টায় উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ ও সকল অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে সালথা উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে সালথা সদর বাজারসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরে বাইপাস সড়কে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ মিয়া, ফরিদপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মোঃ হারুনার রশিদ (হারুন), সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান (সাকিল), জেলা গণ অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক ফিরোজ শেখ,
শ্রম ও কর্মসংস্থান সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক, মানব সেবা সম্পাদক মোঃ আলমগীর শেখ, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ জুয়েল ভান্ডারী প্রমুখ। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা গণ অধিকার পরিষদ ও সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে ফরিদপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদে সভাপতি হারুনার রশিদ বক্তব্য বলেন, বাংলাদেশ-ভারত অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত ও উজানে বাঁধ বন্ধ করা এবং দাসত্বমূলক সব চুক্তি বাতিল এবং ভারতীয় পণ্য বর্জনের করতে হবে।আন্তর্জাতিক নদীর বেশিরভাগ নদীতেই অবৈধ বাঁধ দিয়ে একদিকে যেমন গ্রীষ্মকালে পানি বন্ধ করে খরার সৃষ্টি করে, অন্যদিকে বর্ষাকালে বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বন্যার পানিতে প্লাবিত করে। যে ভারত আমাদের ফেলানী হত্যা করে উদযাপন করে, সীমান্তে মানুষ হত্যা করে এবং বাঁধ খুলে বাংলাদেশের মানুষকে প্লাবিত করে সেই দেশ কখনো আমাদের বন্ধু হতে পারে না। যখনই ভারতের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে তখনই তাকে চিরদিনের মতো শেষ করে দেওয়া হয়। মূলত ভারত আমাদের বন্ধুরূপে শত্রু। এখনই সময় এসেছে ভারতীয় এসব আগ্রাসন রুখে দেওয়ার। এমন কুলাঙ্গার বন্ধু আমাদের প্রয়োজন নেই।’

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় সব পণ্য বয়কট করতে হবে। ভারতীয় সব পণ্য কেনাবেচা না করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর ভারতীয় আগ্রাসনে টান পরেছে। তাই তো বাঁধ খুলে বন্যা সৃষ্টির মাধ্যমে তারা অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, তারা নানা ধরনের পায়তারাও চালাচ্ছে। ভারত সৃষ্ট বন্যা মোকাবিলায় আমরা হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সর্বস্তরের মানুষ একত্রিত হয়ে কাজ করছি। ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ আমরা মিলিত হয়েছি। ‘আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই- এখন বাকশাল নাই, স্বৈরাচার নাই; যদি কৃত্রিমভাবে আমাদের দেশে দুর্যোগ সৃষ্টি করা হয় দিল্লিতে শাসন ক্ষমতা থাকবে না, সেভেন সিস্টার অক্ষত থাকবে না।