ওমর ফারুক রনি, গাইবান্ধ প্রতিনিধিঃ- উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে গাইবান্ধা জেলার বুক দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার সময় যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্ট বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা, করতোয়া ও ঘাঘট নদীতে। পানি বৃদ্ধির ফলে পানি বন্দী হয়েছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ও হরিপুর, সাঘাটার হলুদিয়া, কচুয়া, ভরতখালী ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।
এদের মধ্যে অনেকে পানি বন্দী হয়ে ছেলেমেয়ে ও গৃহপালিত পশু গরু ছাগল নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে। একইভাবে ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রীজ পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার বেড়েছে। অন্যদিকে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার কমেছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। সেই সঙ্গে পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
তাছাড়া আকাশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরও বড় ধরনে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ রসুল এর পক্ষে থেকে, দুর্যোগ প্রবণ ৪টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলায় শুকনা খাবার, শিশু খাদ্য, গো খাদ্য প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য রেসকিউ বোট সহ স্থায়ী-অস্থায়ী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- শফিকুল ইসলাম সবুজ।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ- ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন আল-মদিনা সুপার মার্কেট, সিড্ ষ্টোর বাজার, ভালুকা,ময়মনসিংহ। ই-মেইলঃ bhalukainfo@gmail.com
যোগাযোগঃ- ✆ ০১৭১৫৮১৫৬৪৭, ০১৯১৮১৯৯৮৭৩
Copyright © 2025 মুক্তকণ্ঠ. All rights reserved.