সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভালুকায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার ভালুকা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজ্বী শহিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও অপপ্রচারের অভিযোগ আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর পাশে গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপি সালথা ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার এর শুভ উদ্বোধন সালথায় সাংবাদিকদের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে পথ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত শামা ওবায়েদের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দেওয়ায় নগরকান্দায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সালথায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল শামা ওবায়েদের পক্ষে বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ ভালুকায় ইউপি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে নাগরিকদের ভোগান্তি চরমে !

ময়মনসিংহের যুব মহিলা লীগের নেত্রী রানী’র সাইবার মামলার রহস্য ফাঁস

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ৬.১২ পিএম
  • ১৬৮ বার পাঠিত

শিবলী সাদিক খান, ময়মনসিংহ থেকে:- ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার যুব মহিলালীগ নেত্রী রানী ইসলাম ওরফে রানী মালা উরফে মনু। রাজনীতির আড়ালে দেহ ব্যবসা ব্ল্যাকমেইল করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তিনি সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে যে মামলাটি করেছেন সেই ঘটনার ভিডিও ধারন করে ভূক্তভূগি শারফুল এর নিকট থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় এদের নারী সিন্ডিকেট এর ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বিধাদন্দ হলে এদের সৃষ্ট ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ঈগ্বরগঞ্জ মুক্তাগাছা উপজেলার যুব মহিলা লীগের নারী নেত্রীদের কেলেঙ্কারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে মুক্তাগাছার নেত্রীকে অব্যাহতি দেওয়া হয় কিন্তু ঈগ্বরগঞ্জ উপজেলার রানী বহাল তবিয়তে আছে বলে জানা গেছে। এদের কৃতকর্মে জনমনে ব্যাপক নিন্দা ঘৃণা মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কে এই রানী ? এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় লোকজন ও সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় তার দৃশ্যমান কোন কর্ম নাই। পরিবারের কেউ তার সাথে থাকেনা। জেলার ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টার বাড়ী এলাকায় এসকিউ (কালার) গার্মেন্টস এর পাশের বিল্ডিং স্থানীয় শারফুল ইসলামের বাসার ৮ তলায় ও ৭ম তলায় দীর্ঘদিন ভাড়া থাকতেন। বেশ কিছুদিন থাকার পর, একাই থাকেন ময়মনসিংহ শহরে। দফায় দফায় দুবাই ফেরত এই রানী মালা ওরফে রানী ইসলাম। চরম মাদকাসক্ত ও দেহ ব্যবসায়ী বলে বিভিন্ন ভাড়াটিয়া বাসা থেকে বিতারিত হয়েছে।

এ সকল ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় জনতার হাতে ধরা খাওয়ার পর রাজনীতিতেও তিনি নেতার পরিবর্তন করেন। স্বপ্না খন্দকারকে বাদ দিয়ে তিনি ধরেন পাপড়ির হাত। দলীয় কোন সমর্থন না থাকায় তিনি একাই বডি নেতায় পরিনত হয়েছেন। অর্থাৎ নেতাও সে, কর্মীও সে। জীবন জীবিকার তাগিদে, খেয়ে পড়ে বেচে থাকার আশায় সে ময়মনসিংহ শহর বেছে নেয়। ভাড়াটিয়া বাসায় শুরু হয় তার দেহ ব্যবসা বানিজ্য। জনতার হাতে ধরা খায় বার বার। করেন বাসা বদল। শুরু হয় কেলেংকারী। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভিডিও ভাইরাল হয়। দোষ চাপে স্বপ্না খন্দকারের উপর। এজন্য রানী মালা মামলাও করেন। এতে সাংবাদিকসহ ৬ জনকে আসামী করা হয়।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগজ্ঞে মনু নামে পরিচিত ময়মনসিংহের রানী মালা ও যুব মহিলালীগ নেত্রী। দু’দফায় দুবাই যান তিনি। ফেরত ও আসেন। তিনি প্রথমে ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টার বাড়ী এলাকায় এসকিউ (কালার) গার্মেন্টস এর পাশের বিল্ডিং স্থানীয় শারফুল ইসলামের বাসা ভাড়া নেন, তখন তিনি শারফুলের ভাড়াটিয়া ছিলেন। নানাবিদ কেলেংকারীতে সেখান থেকে সে বিতারিত হয়। এর পর আসেন ময়মনসিংহে। চরপাড়ার কপিক্ষেত এলাকায় সে কিছুদিন ভাড়ায় থেকেছেন। এখান থেকে তাকে বিতারিত করা হয়। পরে রানী মালা উরফে মনু উঠেন দিগারকান্দায় স্বপ্না খন্দকারের বাসায়। সেখানে বিভিন্ন সময়ে পর পুরুষ নিয়ে অসামাজিক কাজ করায় স্থানীয় জনৈক ব্যক্তি ভিডিও ধারন করেন। যার সাথে অসামজিক কাজের ভিডিও ধারন করা হয় তার নাম শারফুল। রানী মালা ভালুকায় থাকার সময়ে তিনি শারফুলের বাসায় থাকতেন। সেই ভিডিও, যা বাড়ির মালিককে দেখানো হলে তিনি তাকে বাসা থেকে বের করে দেন। শুরু হয় রাজনীতি। দীর্ঘ সময় পর হটাৎ ভিডিওটি ছড়িয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রানীমালা সাইবার ট্রাইবুলে ৬ জনকে আসামী করে মামলা ঠুকে দেন।

এর পরই নিজের দোষ ঢাকতে রানী মালা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। অভিযোগের তীর ছুড়েন স্বপ্না খন্দকারের উপর।

ময়মনসিংহ শহরে বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়েরা একা এসে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছে। সে সকল মেয়েরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে  খদ্দের এনে নিজেদের নগ্ন ভিডিও ধারন করে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। শারফুলের কাছ থেকেও আড়াই লাখ টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রায়শই এসকল ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হলেও তেমন কেউ প্রতিবাদ করেনি। রানী মালা এর প্রতিবাদ করে মামলা পর্যন্ত করেছেন। রানী মালা উরফে মনু বলেছেন, তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। এঘটনা ছাড়াও রানী মালার একটি ভিডিও কলও ভাইরাল হয়েছে। যা মামলায় অন্তভুক্ত হয়নি। এছাড়াও যার সাথে ভিডিও চিত্র প্রকাশ পেয়েছে তাকে মামলায় আসামী করা হয়নি।

স্বপ্না খন্দকার জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমি বাসায় যাই ও ভিডিও দেখে রানী মালাকে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেই। এর পর কি হয়েছে আমার জানা নেই। এ ঘটনায় আমার নামে মামলা হয়েছে। আমি এতে জড়িত নই।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

আরো পড়ুন.....

greenaronno.com

themes052459
© All rights reserved © 2018 মুক্তকণ্ঠ
Theme Download From Bangla Webs