সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভালুকায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার ভালুকা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজ্বী শহিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও অপপ্রচারের অভিযোগ আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর পাশে গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপি সালথা ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার এর শুভ উদ্বোধন সালথায় সাংবাদিকদের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে পথ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত শামা ওবায়েদের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দেওয়ায় নগরকান্দায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সালথায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল শামা ওবায়েদের পক্ষে বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ ভালুকায় ইউপি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে নাগরিকদের ভোগান্তি চরমে !

ত্রিশালে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১০.২৩ এএম
  • ২৩৫ বার পাঠিত

মোহাম্মদ সেলিম, ত্রিশাল থেকে:- ময়মনসিংহের ত্রিশালে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী ও এলাকার হাজারো মানুষ।সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাঁহ বাজারে হাজারো নারী-পুরষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে তারা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে শ্লোগান গান দিয়ে বিক্ষোভ করেন।গত ৬ এপ্রিল শনিবার রাত ৯ টায় উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাঁহ বাজারে চাঞ্চল্যকর দুই খুনের প্রধান আসামী ভূমিদস্যু চক্র ‘জিলানী বাহিনীর’ প্রধান আব্দুল কাদের জিলানী (৪৯) গনপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় ৭এপ্রিল নিহত জিলানীর স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন ত্রিশাল থানায়। এ মামলার যে ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে তারা সবাই পূর্বের বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার, আবুল কালাম ও দপ্তরী রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষী। ভুক্তভোগী নিহত মতিন মাস্টারের পুত্র বধূ রত্না আক্তার, ভাতিজি নুসরাত জাহান লিজা ও নিহত আবুল কালামের ভাতিজা ওবাইদুল হাসান বলেন, গত ৬ এপ্রিল স্থানীয় মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাঁহ বাজারে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অটো রিকসা যুগে ২০-২৫ জন লোক ও দেশীয় অস্ত্রসহ নিহত আব্দুল কাদের জিলানী দোকানে হামলা চালান।ঐ সময় পূর্বের তিন মামলার বাদী ও সাক্ষীদের দোকানে দেখতে পেয়ে তাদের উপর হামলা করেন। এতে হারুন অর রশিদ ও কবির মিয়া গুরুতর আহত হয়ে প্রথমে মমেক হাসপাতালে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলা চলাকালে স্থানীয় দোকানে থাকা লোকজন জিলানী বাহিনীকে ধাওয়া দেয়। রাতের অন্ধকারে জিলানির হাতে থাকা টর্চলাইট দৌড়ে পালানোর সময় পড়ে গেলে স্থানীয় লোকজন ডাকাত বলে তাকে ধরে গনপিটুনী দেয়। তার সাথে থাকা বাকিরা পালিয়ে যায়। জিলানী বাহিনীর লোকজন নিয়ে আসা অটো রিকসাও আটক করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে আহত জিলানীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আমরা শুনি জিলানী মারা গেছে। এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় জিলানীর স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ জনের নাম ও অজ্ঞাত আরো কয়েক জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা পূর্বের বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার, আবুল কালাম ও দপ্তরী রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষী। তাদের আসামী করার উদ্দেশ্য হলো দুই খুনের মালার প্রধান আসামী ছিল জিলানী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাবিত করতে চাচ্ছে। আমরা পরিবার নিয়ে বাচতে চাই মিথ্যা মালার প্রত্যাহার চাই।ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন বলেন, গত ৬ এপ্রিল শনিবার রাতে পূর্বের বিরোধীতার জেরে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাহ বাজারে দুই গ্রুপের সংর্ঘষ হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গেলে আহত অবস্থায় জিলানীকে উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে করর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় জিলানীর স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য; আব্দুল কাদের জিলানী ২টি হত্যা মামলা, ২টি ডাকাতির মামলা, চাদাবাজীর মামলা, অস্ত্র মামলা, চুরির মামলা, মারামারির মামলাসহ ১২টি মামলার চার্যশীট ভুক্ত আসামী ও ১০টি জিডির মামলার আসামী।আব্দুল কাদের জিলানী ২টি মামলায় আদালতের রায়ে সাজা প্রাপ্ত আসামী। ২০২২ সালে র‌্যাব প্রেস ব্রিফিং জানাযায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ও রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য জিলানী ও তাঁর সহযোগীরা আবুল কালামকেও হত্যা করেন। এ নিয়ে মোট তিনটি হত্যার ঘটনা ঘটায় জিলানী বাহিনী। তারা বিভিন্ন সময় জালিয়াতির মাধ্যমে এলাকার কৃষকদের ভূমি দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে অতিরিক্ত মুনাফায় বিক্রি করত। তাদের এ কাজের বিরোধিতা করায় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই জিলানী বাহিনী মতিন মাস্টারকে হত্যা করে তাঁর গলাকাটা লাশ পুকুরে ফেলে রাখে। এ হত্যা মামলায় জিলানীর ভাই তোফাজ্জল হোসেনসহ আটজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দপ্তরি রফিকুল ইসলামকে হত্যা করে জিলানী বাহিনী। এতে আবদুল কাদের জিলানীসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। আবদুল কাদের জিলানী ভূমি দখলসহ নানা অপকর্মের জন্য ২০ থেকে ২৫ জনের একটি বাহিনী গড়ে তোলেন এলাকায়।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

আরো পড়ুন.....

greenaronno.com

themes052459
© All rights reserved © 2018 মুক্তকণ্ঠ
Theme Download From Bangla Webs