ময়মনসিংহ ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাওনা চৌরাস্তায় সড়কের উপর দশ বছর ধরে জলাবদ্ধতা জনদুর্ভোগ চরমে

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৪:১৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

নাঈম,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ শুকনা মৌসুমেও পানির থৈথৈ, এটা কোন সাভাবিক পানি নয়, মাওনা চৌরাস্তার হোটেল ও আশেপাশে বাসা বাড়ির ময়লা পানি সড়কের উপর ছেরে দেওয়ায় জলাদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।শুকনো মৌসুমে জলাবদ্ধতা, এর দায় নিতে চাচ্ছেনা কেউই, পৌর বলছে শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলীর দায়ীত্ব আর শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী বলছে শ্রীপুর পৌর সভার দায়ীত্ব তাহলে কে নেবে এর দায় প্রশ্নটা থেকেই গেল জনমনেমাওনা চৌরাস্তাকে বলা হয় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন প্রায় লাখ লাখ লোকের পদচারণায় মুখর থাকে মাওনা চৌরাস্তা। তবে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও খাবার হোটেলসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের পানি ও বর্জ্য নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ড্রেনে নিষ্কাশন করা হয়। এতে প্রাই দশ বছর ধরে সড়কের উপর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আছে। এত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারন মানুষের। মাওনা চৌরাস্তার ফল ব্যবসায়ী খোকন মিয়া জানান, মাওনা চৌরাস্তার আশপাশের বহুতল ভবন, খাবার হোটেলসহ ছোটবড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র উপায় হলো মহাসড়কের পাশের ড্রেন।আর এই ড্রেনের পানির নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পাই দশ বছরধরে এই সড়কে জলাবদ্ধ হয়ে আছে। এই পানির দুর্গন্ধে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় সাধারন মানুষের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি ড্রেনটির পানি নিষ্কাশনের জন্য পার্শ্ববর্তী কোনো খালে সংযোগ করে দেয় তাহলে এই দুর্ভোগ হতো না। সি এন জি চালক জহিরুল ইসলাম জানান, মাওনা-শ্রীপুর ও মাওনা-কালিয়াকৈর এ দুটি আঞ্চলিক সড়ক মাওনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এসে মিশেছে। এ দুটি সংযোগস্থল বছরজুড়ে জলাবদ্ধ থাকায় সবসময় নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার জারিন জানান, যদি পানিতে মানব বর্জ্য থাকে ও পানি দুষিত হয় তাহলে এ পানি শরীরের কোথাও লাগলে চর্ম, ডায়রিয়া ও চুলকানি রোগসহ পানিবাহিত রোগ হতে পারে। শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী এ জেড.এম.রকিবুল আহসান জানান, শুকনো মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কথা না। যেহেতু বাসাবাড়ি, বাজার, খাবার হোটেলের দৈন্দদিন ব্যবহার্য পানি দ্বারা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে তাই সকলকে আগে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি ড্রেনে পানি ছাড়া বন্ধ করতে হবে। তবে এই বিষয়টি দেখার দায়ীত্ব শ্রীপুর পৌর মেয়র এর। পৌর এরিয়াতে আমাদের এলজিআইডির কাজ করার কোন সুযোগ নেই।শ্রীপুর পৌর মেয়র আনিছুর রহমান জানান, এই বিষয়টি দেখার দায়ীত্ব পৌরসভার না। এই বিষয়টি দেখার দায়ীত্ব এলজিইডি’র, আমি তাদেরকে বারবার বলার পরেও তারা বিষয়টি দেখছেন না। কিন্তু সাধারন মানুষ তো আর তা বুঝেনা, তারা শুধু দোষারোফ করছে পৌর সভাকে, এলজিইডি’র কাজ আমি করতে পারিনা, তবু আমি আমার চেষ্টার কোন কমতি রাখিনি, আমার পৌরসভার যেটুকু সেটুকু আমি কাজ করে ঠিক করে দিয়েছি।এই দুর্ভোগ শুধু সাধারন মানুষের নয়, আমারও এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। আমি অনেক বার বলেছি আবারও বলবো যাতে দ্রুত সময়য়ে মধ্যে এই কাজটি সমাধান করে দেয়া হয়।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

মাওনা চৌরাস্তায় সড়কের উপর দশ বছর ধরে জলাবদ্ধতা জনদুর্ভোগ চরমে

আপলোড সময়: ০৪:১৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

নাঈম,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ শুকনা মৌসুমেও পানির থৈথৈ, এটা কোন সাভাবিক পানি নয়, মাওনা চৌরাস্তার হোটেল ও আশেপাশে বাসা বাড়ির ময়লা পানি সড়কের উপর ছেরে দেওয়ায় জলাদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।শুকনো মৌসুমে জলাবদ্ধতা, এর দায় নিতে চাচ্ছেনা কেউই, পৌর বলছে শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলীর দায়ীত্ব আর শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী বলছে শ্রীপুর পৌর সভার দায়ীত্ব তাহলে কে নেবে এর দায় প্রশ্নটা থেকেই গেল জনমনেমাওনা চৌরাস্তাকে বলা হয় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন প্রায় লাখ লাখ লোকের পদচারণায় মুখর থাকে মাওনা চৌরাস্তা। তবে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও খাবার হোটেলসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের পানি ও বর্জ্য নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ড্রেনে নিষ্কাশন করা হয়। এতে প্রাই দশ বছর ধরে সড়কের উপর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আছে। এত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারন মানুষের। মাওনা চৌরাস্তার ফল ব্যবসায়ী খোকন মিয়া জানান, মাওনা চৌরাস্তার আশপাশের বহুতল ভবন, খাবার হোটেলসহ ছোটবড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র উপায় হলো মহাসড়কের পাশের ড্রেন।আর এই ড্রেনের পানির নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পাই দশ বছরধরে এই সড়কে জলাবদ্ধ হয়ে আছে। এই পানির দুর্গন্ধে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় সাধারন মানুষের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি ড্রেনটির পানি নিষ্কাশনের জন্য পার্শ্ববর্তী কোনো খালে সংযোগ করে দেয় তাহলে এই দুর্ভোগ হতো না। সি এন জি চালক জহিরুল ইসলাম জানান, মাওনা-শ্রীপুর ও মাওনা-কালিয়াকৈর এ দুটি আঞ্চলিক সড়ক মাওনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এসে মিশেছে। এ দুটি সংযোগস্থল বছরজুড়ে জলাবদ্ধ থাকায় সবসময় নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার জারিন জানান, যদি পানিতে মানব বর্জ্য থাকে ও পানি দুষিত হয় তাহলে এ পানি শরীরের কোথাও লাগলে চর্ম, ডায়রিয়া ও চুলকানি রোগসহ পানিবাহিত রোগ হতে পারে। শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী এ জেড.এম.রকিবুল আহসান জানান, শুকনো মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কথা না। যেহেতু বাসাবাড়ি, বাজার, খাবার হোটেলের দৈন্দদিন ব্যবহার্য পানি দ্বারা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে তাই সকলকে আগে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি ড্রেনে পানি ছাড়া বন্ধ করতে হবে। তবে এই বিষয়টি দেখার দায়ীত্ব শ্রীপুর পৌর মেয়র এর। পৌর এরিয়াতে আমাদের এলজিআইডির কাজ করার কোন সুযোগ নেই।শ্রীপুর পৌর মেয়র আনিছুর রহমান জানান, এই বিষয়টি দেখার দায়ীত্ব পৌরসভার না। এই বিষয়টি দেখার দায়ীত্ব এলজিইডি’র, আমি তাদেরকে বারবার বলার পরেও তারা বিষয়টি দেখছেন না। কিন্তু সাধারন মানুষ তো আর তা বুঝেনা, তারা শুধু দোষারোফ করছে পৌর সভাকে, এলজিইডি’র কাজ আমি করতে পারিনা, তবু আমি আমার চেষ্টার কোন কমতি রাখিনি, আমার পৌরসভার যেটুকু সেটুকু আমি কাজ করে ঠিক করে দিয়েছি।এই দুর্ভোগ শুধু সাধারন মানুষের নয়, আমারও এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। আমি অনেক বার বলেছি আবারও বলবো যাতে দ্রুত সময়য়ে মধ্যে এই কাজটি সমাধান করে দেয়া হয়।