খলিলুর রহমান:- ময়মনসিংহে বিশেষ অভিযানে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জেলার পাগলা থানার দত্তের বাজার ইউনিয়নের বিরুই গ্রামের মৃত- সোলাইমান শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান হবি(৪৮) কে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি)। এসময় ০১টি রিভলবার, ০১টি একনালা বন্দুক, রিভলবারের ০৪ রাউন্ড গুলি ও বন্দুকের ০৫ রাউন্ড কার্তুজসহ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। (১৪ জানুয়ারী) বিকালে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার-ইনচার্জ ফারুক আহম্মদ এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) রেজাউল আমীন বর্ষন, এসআই (নিঃ) আলমগীর কবীর, এসআই (নিঃ) মোঃ আব্দুল জলিল সংগীয় ফোর্সসহ পাগলা থানার খুরশিদ মহল ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে টোল বক্স এর সামনে চেকপোষ্ট পরিচালনাকালে সন্দেহজনক একজন ব্যক্তিকে বিধি মোতাবেক দেহ তল্লাশীকালে তার হেফাজত হতে ০১টি রিভলবার, ০১টি একনালা বন্দুক, রিভলবারের ০৪ রাউন্ড গুলি ও বন্দুকের ০৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। আটককৃত আসামী হলো ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার দত্তের বাজার ইউনিয়নের বিরুই গ্রামের সোলাইমান শেখের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান হবি (৪৮) তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় একই এলাকার আফাজ মুন্সীর ছেলে ফরিদ (৩২) দুতিরিশকল গ্রামের (২) জাহাঙ্গীর মেম্বার (৩৪) লামকানিয়া গ্রামের (৩) আলাল সান (৪০) এবং (৪) সোহেল (৪০), গন এর নির্দেশে ০২ (দুই) লক্ষ টাকার চুক্তিতে উল্লেখিত , আফাজ মুন্সীর ছেলে ফরিদের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা গ্রহন করে গত ১০/১/২০২৪ খ্রীঃ তারিখ রাত অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকার সময় ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার বিরুই গ্রামের মোঃ জালাল উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক, দত্তের বাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর ছেলে লিটন মিয়াকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে একনালা বন্দুক দ্বারা কৌশলে গুলি করে রাতের আধারেই পালিয়ে যায়। উল্লেখিত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পাগলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। অত্র আসামীর জবানবন্দীর ভিত্তিতে ইতোমধ্যে আফাজ মুন্সীর ছেলে ফরিদ’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে জানা যায় যে, ফরিদ,জাহাঙ্গীর মেম্বার,আলাল সান এবং সোহেল স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। অত্র হত্যার চেষ্টার ঘটনার পেছনে কোন রাজনৈতিক কিংবা এলাকার আধিপত্য বিস্তার বা অন্য কোন মোটিভ আছে কিনা তা উদঘাটন করার লক্ষ্যে ধৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদসহ অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আটককৃত আসামী মোঃ হাবিবুর রহমান হবির বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ ০৩টি মামলা রয়েছে। তিনি খুনসহ ডাকাতি মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। উক্ত আসামী দীর্ঘদিন যাবত গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে রুজুকৃত মামলাসমুহ, ১। গফরগাঁও থানার মামলা নং-০৪ (৯) ০৩, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড। ২। পাগলা থানার মামলা নং- ০১ (৮) ১৩, ধারা- ৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড। ৩। পাগলা থানার মামলা নং-০২ (৮) ১৩ ধারা- ১৯, ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন। উদ্ধারকৃত রিভলবার, একনালা বন্দুক, রিভলবারের ০৪ রাউন্ড গুলি ও বন্দুকের ০৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধারের বিষয়ে গ্রেফতারকৃত উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার-ইনচার্জ ফারুক আহম্মদ জানান, ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে প্রতিনিয়ত চেকপোষ্ট পরিচালনা করে আসছে।