নতুন বছর নব প্রত্যাশা! ইংরেজি নববর্ষ-২০২৪
- আপলোড সময়: ০৬:৪২:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ২৭২ বার পড়া হয়েছে
সফিউল্লাহ আনসারী:- নতুন স্বপ্ন আর নতুন প্রত্যাশায় শুরু হলো ইংরেজী নতুন বছর, নতুন দিনের পথচলা।নতুন স্বপ্নে শুরু হয়েছে নতুন বছর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। নানা উৎসব-আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশের মানুষ স্বাগত জানাচ্ছে খ্রিস্টীয় নতুন বছরকে। নবচেতনায়, নতুন উন্মাদনায় ইংরেজী নববর্ষে বিশ্ববাসী মেতে উঠছে নতুন বছরের নতুন স্বপ্নে। গত বছরের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাব ও নতুন বছরের পরিকল্পনাকে আরও উজ্জীবিত করবে এমন ভাবনাকে পুঁজি করে বিশ্বের সকল জাতি-গোষ্ঠীর মানুষ আশাবাদী হয়ে খ্রিস্টিয় ২০২৪ সালকে বরণ করছে আনন্দ-উল্লাসে। নতুন নতুন স্বপ্নের খোঁজে স্বপ্নবাজরা ছক আঁকছে উন্নত জীবন আর সামগ্রিক উন্নয়নের মহাসড়কে পথচলার। নববর্ষের এই শুভক্ষণে সকলেরই অজানা সামনের বছরে কী অপেক্ষা করছে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর ভাগ্যে। তবে ভাগ্যের ওপর ছেড়ে না দিয়ে মঙ্গলময় ভাল কিছুর প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার শপথ সকলের পরিকল্পনায়। শুভ প্রয়াস ও ভাল কিছুর প্রত্যাশা সব সময়ই থাকে, নানামুখী চ্যালেঞ্জের এই সময়ে প্রাপ্তির টানাপোড়েনে প্রত্যাশার ব্যাপ্তি আরও বেশী। মানব মুক্তি আর কল্যাণকর উন্নয়নের আশায়ই পথচলা শুরু হয় একটি নতুন বছরের নতুন দিনের। নতুন প্রত্যাশা আর স্বপ্নে উদ্ভাসিত নতুন বছর ২০২৪-এর সূচনা হোক আলোকিত দিন আর নিরাপদ জীবনধারার।আশাবাদী মানুষের অপূর্ণতাগুলো পরিপূর্ণতা পাবে সকল পুরনো সমস্যার যুগোপযোগী সমাধানের নির্ভুল কর্মপরিকল্পনায় এমন শুভ কামনা সবার অন্তরে। নবজাগরণে নতুন স্বপ্ন আর প্রত্যাশাগুলো বাস্তবায়িত হবে প্রতিটা পদক্ষেপে। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায়বিচার, প্রতিটি মানুষ ফিরে পাবে তার কাক্ষিত অধিকার, এমনটাই প্রত্যাশা আজ। সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের কর্মঠ হাতের ছোঁয়ায় সমাজ ও দেশ সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে সেই কামনায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠা হোক আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়নে। নতুন বছরে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভেদহীন সমাজ বির্নিমাণে অবিচল প্রচেষ্টায় আগামীর সুখময় বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলস প্রচেষ্টায় কাজ করে যাওয়া। অনেক ক্ষেত্রেই ইতোমধ্যেই আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছি। আধুনিক স্মার্ট এবং স্থিতিশীল শান্তির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ উন্নয়ন পরিকল্পনার মাধ্যমে পরিশ্রম, সততা ও আন্তরিকতাপূর্ণ সংকল্প নিয়ে কর্মোদ্যমী হওয়া জরুরী। শিক্ষা-সংস্কৃতির ধারা বেগবান করার মাধ্যমে, ব্যাপক হারে শিল্পায়নের মাধ্যমে বেকারত্ব মোচন, আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, কৃষি খাতকে আধুনিকায়ন, সকল সেক্টরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা সময়ের দাবী। অনেক ক্ষেত্রে মৌল মানবিক অধিকার আজ ভুলুন্ঠিত, তা থেকে উত্তরণ খুব বেশি প্রয়োজন। প্রশিক্ষিত দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে আমরা এ নতুন বছরকে প্রাপ্তিতে অর্থবহ করে তুলতে পারি। সরকারের সদ্বিচ্ছা, উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগ দেশ গঠনের শুভ উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। গণতন্ত্র চর্চায় রাজনৈতিক অধিকার সমুন্নত রাখার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন আশায় বুক বেঁধে আমাদের এগোতে হবে, নিরাশ হলে লাভের চেয়ে বরং ক্ষতিই বেশি।নতুন বছর নতুন আগ্রহ উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে নতুন আশা, সম্ভাবনার নব প্রত্যাশা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখায়। সেই স্বপ্নের কাঙ্খিত পাওয়াকে অর্থবহ করে স্বভাবতই নতুন বছর নিয়ে এবারও মানুষের প্রত্যাশা একটি স্থিতিশীল চেতনায় স্বস্থির দেশ,শান্তিময় বিশ্ব। বাংলাদেশের জন্য অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা, শোষণ-দারিদ্র্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠন, বিশ্ব পরিস্থিতির ধাক্কা সামলে দেশের উন্নয়নের গতি ঠিক রেখে অভ্যান্তরীন সমস্যার মোকাবিলা করা। শান্তির বারতা ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের জনগণের উপর বর্বরোচিত অমানবিকতা, ইউক্রেনে যুদ্ধ বিশ্ব শান্তিকে নস্যাত করছে। যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে নিত্যপন্যের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন, মানুষের মধ্যে বাড়ছে হতাসা। নতুন বছরে যুদ্ধহীন শান্তির পৃথিবী বিশ্ববাসীর কাম্য। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে এনে মানুষের জীবনের চাপ কমানোর উদ্যোগ গ্রহন করা সবচেয়ে জরুরি। জীবনের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চ্যালেঞ্জে জন সম্পৃক্ততা বাড়ানো সময়ের দাবি। প্রতিটি ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। নতুন বছরে নব প্রত্যাশার বাস্তবায়নের জন্য চাই কর্মপরিকল্পনা এবং জাগ্রত চেতনা। ইংরেজী নতুন বছরে শপথ হোক দেশমাতৃকার উন্নয়নে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকতার পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আলোকিত সময়কে আনন্দময় ও অর্থবহ করা। সকল বাধা-বিপত্তি মাড়িয়ে নবউদ্যম আর কর্মচাঞ্চল্যে মুখরিত বছর হিসেবে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দকে আমরা স্বপ্নের বাস্তবায়ন ও দিনবদলের প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে শ্রেষ্ঠত্বের মহিমায় উজ্জ্বল করতে কাজ করে যাবো এমন প্রত্যাশায় বিবেককে জাগিয়ে তুলতে হবে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবে। ‘নতুন বছরের নতুন দিন, দিনবদলের বাজুক বীণ/উন্নয়নে গড়ব দেশ, সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক বাংলাদেশ। ‘কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক পরিবেশ, মানবিক মূল্যবোধের চর্চায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, নৈতিকতা, অর্থনৈতিক মুক্তি সহ সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা এবং জনগনের ভোটাধিকারের বাস্তবায়নে আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন বছরে দেশের উত্তরণ গতিশীল হবে এমন প্রত্যাশা নতুন বছরের শুভক্ষণে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় মূল্যবোধ অক্ষুণ্ন রেখে রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রশমনে দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশ স্বাভাবিক করতে এবং মানুষের জীবনে স্বস্থি ফিরিয়ে এনে ইংরেজি বছরের প্রত্যাশা পুরণের পথে এগিয়ে যেতে হবে। প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির মোহনা হোক অংশগ্রহণ মূলক, দুর্নীতিমুক্ত, মানবিক এবং মঙ্গলময়। নতুন বছরে হাসি ফুটুক স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্বিষহ জীবনধারায়। নতুন বছরের নব প্রত্যাশা পরিপূ্র্ণতা পাক, শান্তির পায়রা উড়ুক সবখানে এই শুভ কামনায় ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা সবাইকে।