ভালুকায় অনুমতি ছাড়া সরকারী স্কুলের ভবন ভাঙ্গা ও মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ
- আপলোড সময়: ১০:৪১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩
- / ১২৩২ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি:- ময়মনসিংহের ভালুকায় অনুমতি ছাড়া স্কুলের পুরাতন ভবন ভাঙ্গা ও মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুপুর আক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের ৭১ নং কাদিগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। অভিযোগ ও সরেজমিনে জানাযায়, উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের ৭১ নং কাদিগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া স্কুল ভবন ভাঙ্গা ও মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও দাতা আবুল কালাম আজাদ তালুকদার গত ৯ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বামী এস আই সালেহ ইমরান কর্তৃক স্কুলের জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের জমি দাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ তালুকদার জানান, সরকারী স্কুলের সম্পত্তি উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি ও ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের বেহাত হওয়া প্রায় ৫৭ শতাংশ জমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বামী বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত এস.আই সালেহ ইমরানের ভোগ দখলে রয়েছে। দখল কৃত জমি উদ্ধারের জন্য গত ৫ জুলাই-২৩ইং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও এস.আই সালেহ ইমরানের বিরুদ্ধে সরকারী কালভার্টের মুখ বন্ধ, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে কৃষি জমির ফসল নষ্ট ও সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অন্য আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছেন একই গ্রামের মৃত হোসেন এর ছেলে মেছের আলী। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, স্কুলের ভবন ভাঙ্গা ও জমি দখল সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে গত ১০ জুলাই ২৩ইং তারিখে উপজেলা আইন শৃ্খংলা কমিটির মিটিংএ আলোচনা করে সহকারী কমিশনার ভূমি (ভালুকা) সোমাইয়া আক্তার কে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এস.আই সালেহ ইমরান বলেন, কালভার্টের মুখ বন্ধ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও সরকারী স্কুলের জমি জবর দখলের অভিযোগ সঠিক নয়। আপনারা স্কুলের কাগজপত্র দেখেন তাহলেই বেড়িয়ে আসবে স্কুলের কতটুকু জমি আছে। কাগজপত্র ছাড়া জমি দাবী করলেতো হবেনা। অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুপুর আক্তার বলেন, সরকারী নিয়ম মেনেই ভবন ভাঙ্গা হয়েছে এবং মালামাল সংরক্ষিত আছে। কাচিনা ইউপি চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান লিটন বলেন, সালেহ ইমরান কর্তৃক জলাবদ্ধতার বিষয়টি নিরসনের জন্য আমরা চেষ্টা করতেছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন, তদন্তের পরে বিস্তারিত বলা যাবে। ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর দূষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।