থানা সূত্রে জানাযায়, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী তার মা-বাবাসহ দীর্ঘদিন যাবৎ হবিরবাড়ীর সাদ-সান মোড় এলাকার বাতেন সরকারের বাড়ীতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
বুধবার (০৫ জুলাই) দুপুরে তরুণীর গ্রামের বাড়ি থেকে চাকুরীর সন্ধানে আসা ১৩ বছরের মরিয়ম নামে এক মামাতো বোন ও একই বয়সের মোশাহিদ নামে খালাতো ভাইকে সাথে নিয়ে হবিরবাড়ীর সাদ-সান মোড় এলাকায় এক স্টুডিতে ছবি তোলার পর স্থানীয় একটি পার্ক এলাকায় ঘুরতে যায়।
তারা বাড়ী ফেরার রাস্তা ভুলে গেলে আলামিন ও তার সাথে থাকা আরও অজ্ঞাত ৩ জন মিলে তাদের পথ দেখানোর কথা বলে জঙ্গলের একটি রাস্তায় নিয়ে যায়। গহীন জঙ্গলে নিয়ে ৩জন মিলে তরুণীর ভাই বোনের গলায় চাকু ধরে রাখলে আলামিন তরুণীকে ধর্ষণ করে।
এ সময় স্থানীয় এক মহিলা বনে লাকড়ি কুড়াতে এসে ঘটনাটি টের পেয়ে ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় কিছু দূরে এক কৃষক কলের লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করতে দেখে বিষয়টি তাকে জানায়।
ওই কৃষক কয়েক জন স্থানীয়কে ডেকে আনলে তাদের উপস্থিতি টেরপেয়ে মোশাহিদ ও মরিয়মের গলায় চাকু ধরে রাখা ৩ ব্যাক্তি পালিয়ে গেলেও আলামিনকে তারা আটক করে।
এ সময় বিবস্ত্র ও প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে দুই মহিলার সাহায্যে তরুণীকে স্থানীয় কৃষক মজনু মিয়ার বাড়ীতে নিয়ে রাখা হয়।
ধর্ষণের স্বীকার তরুণী কিছুটা সুস্থ্য হলে, কৃষক মজনু মিয়া প্রথমে থানায় যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ৯৯৯ এ ফোন করে ভালুকা মডেল থানার সাথে যুক্ত হয়ে বিষয়টি অবহিত করলে থানা পুলিশ তরুণীসহ ধর্ষককে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায়, ভালুকা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে ভিকটিম কে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষক আলামিনকে আটক করা হয়েছে। আলামিনকে ধর্ষণে সাহায্য করা বাকী তিনজনকেও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।