ময়মনসিংহ ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালুকায় কালু ফকির হত্যা মামলার পলাতক আসামী ২৮ বছর পর গ্রেফতার

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১০:৪৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
  • / ২৭৯ বার পড়া হয়েছে

খলিলুর রহমান:- দীর্ঘ ২৮ বছর পর ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার চাঞ্চল্যকর “কালু ফকির” হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী শাহজাহান ফকিরকে জেলার গফরগাঁও থানাধীন কুর্শাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪

শাজাহান ফকির ভালুকা উপজেলার চান্দরাটি গ্রামের মৃত ফালু ফকিরের ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১৪ এর একটি চৌকস দল ২৮ জুন বুধবার সকালে শাজাহান ফকিরকে গ্রেফতার করে। র‍্যাব-১৪ জানায়, গ্রেফতারকৃত শাজাহান ফকির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে র‍্যাব-১৪। র‍্যাব-১৪ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ভিকটিম কালু ফকির (৫০) ও আসামীগণ পরস্পর আত্মীয়- স্বজন ও ভাগিশরিক। ১৯৯৫ সালের দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে এলাকায় জমিজমার ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ভিকটিম কালু ফকির ও আসামী মোঃ শাহজাহান ফকির (৬৫) সহ অপর ০৮ আসামীদের সাথে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। উক্ত তর্ক-বিতর্কের জেরে ঘটনার দিন তারিখ ১৯৯৫ সালের ১৮ জুলাই সময় অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকায় ভিকটিম কালু ফকির (৫০) চান্দরাটি বাজার থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে ফেরার পথে ভালুকা উপজেলার বিরুনীয়া ইউপির চান্দরাটি সাকিনস্থ ঘটনাস্থলের পাশে কলা বাগানে বিবাদী শাহজাহান ফকির সহ অন্যান্য আসামীগণ উৎ পেতে থেকে আসামী মোঃ শাহজাহান ফকির (৬৫) এর হুকুমে আসামী আনিস ও আলম অপর আসামীগনদের সহায়তায় অবৈধ ভাবে ভিকটিম কালু ফকির‘ কে একা পেয়ে তার পথরোধ করে উপুর্যপরি মারধর করতঃ মাছ ধরার কোচ দিয়ে পেটে আঘাতের মাধ্যমে রক্তাক্ত জখম করে ভিকটিমকে ঘটনাস্থলেই নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ রোকেয়া খাতুন (৩৮) বাদী হয়ে আসামী শাহজাহান ফকির’সহ আরো ০৮ জনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামী মোঃ শাহজাহান ফকির (৬৫) গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকে। প্রকাশ থাকে যে, চলতি বছেরে ১৩ জুন তারিখে উক্ত মামলার আসামী মোঃ শাহজাহান ফকির, মোঃ আনিস, মোঃ আলমদেরকে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ময়মনসিংহ যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন এবং অপর ০৬ আসামীকে খালাস প্রদান করেন।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

ভালুকায় কালু ফকির হত্যা মামলার পলাতক আসামী ২৮ বছর পর গ্রেফতার

আপলোড সময়: ১০:৪৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩

খলিলুর রহমান:- দীর্ঘ ২৮ বছর পর ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার চাঞ্চল্যকর “কালু ফকির” হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী শাহজাহান ফকিরকে জেলার গফরগাঁও থানাধীন কুর্শাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪

শাজাহান ফকির ভালুকা উপজেলার চান্দরাটি গ্রামের মৃত ফালু ফকিরের ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১৪ এর একটি চৌকস দল ২৮ জুন বুধবার সকালে শাজাহান ফকিরকে গ্রেফতার করে। র‍্যাব-১৪ জানায়, গ্রেফতারকৃত শাজাহান ফকির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে র‍্যাব-১৪। র‍্যাব-১৪ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ভিকটিম কালু ফকির (৫০) ও আসামীগণ পরস্পর আত্মীয়- স্বজন ও ভাগিশরিক। ১৯৯৫ সালের দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে এলাকায় জমিজমার ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ভিকটিম কালু ফকির ও আসামী মোঃ শাহজাহান ফকির (৬৫) সহ অপর ০৮ আসামীদের সাথে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। উক্ত তর্ক-বিতর্কের জেরে ঘটনার দিন তারিখ ১৯৯৫ সালের ১৮ জুলাই সময় অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকায় ভিকটিম কালু ফকির (৫০) চান্দরাটি বাজার থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে ফেরার পথে ভালুকা উপজেলার বিরুনীয়া ইউপির চান্দরাটি সাকিনস্থ ঘটনাস্থলের পাশে কলা বাগানে বিবাদী শাহজাহান ফকির সহ অন্যান্য আসামীগণ উৎ পেতে থেকে আসামী মোঃ শাহজাহান ফকির (৬৫) এর হুকুমে আসামী আনিস ও আলম অপর আসামীগনদের সহায়তায় অবৈধ ভাবে ভিকটিম কালু ফকির‘ কে একা পেয়ে তার পথরোধ করে উপুর্যপরি মারধর করতঃ মাছ ধরার কোচ দিয়ে পেটে আঘাতের মাধ্যমে রক্তাক্ত জখম করে ভিকটিমকে ঘটনাস্থলেই নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ রোকেয়া খাতুন (৩৮) বাদী হয়ে আসামী শাহজাহান ফকির’সহ আরো ০৮ জনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামী মোঃ শাহজাহান ফকির (৬৫) গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকে। প্রকাশ থাকে যে, চলতি বছেরে ১৩ জুন তারিখে উক্ত মামলার আসামী মোঃ শাহজাহান ফকির, মোঃ আনিস, মোঃ আলমদেরকে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ময়মনসিংহ যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন এবং অপর ০৬ আসামীকে খালাস প্রদান করেন।