মোহাম্মদ সেলিম,ত্রিশাল থেকে:- ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ ভুয়া পরিচয়ে জমা খারিজ নামজারি করতে এসিল্যান্ডকে ফোন । প্রতারনা চক্রের এক প্রতারক আটক।
জানাযায়, সোমবার দুপুরে জমির নামজারী করতে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ ভূয়া পরিচয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমিকে ফোনদিয়ে ত্রিশাল রামপুর মৌজার ২৯১৭৯৭১ জমাখারিজের আবেদনে নামজারি করার জোড় সুপারিশ করেন।
ওই ভূয়া সচিব এসিল্যান্ডকে হেলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির নামজারির জমা খারিজটি দ্রুত মুঞ্জুর করার নির্দেশ দেন। সোমবার জমা খারিজ করতে এসে আটক হন ভূয়া সচিবের সুপারিশের ব্যক্তি প্রতারক হেলাল। ওই ঘটনায় ত্রিশাল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে উপজেলা ভূমি অফিস। জানাযায়, গত ২২ জুন বৃহস্পতিবার একটি জমির জমা-খারিজ করতে ত্রিশাল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস কার্যালয়ে আসেন কয়েকজন লোক। তাদের মধ্যে হেলাল উদ্দিন সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে ফোন ধরিয়ে দেন। ফোনে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব পরিচয়ে কথা বলেন। সচিব পরিচয় দেয়া ওই ব্যক্তি জোর সুপারিশ এবং প্রভাব খাটিয়ে এসিল্যান্ডকে দিয়ে প্রেরিত ব্যক্তির উপজেলার রামপুর মৌজার ২৯১৭৯৭১ নং নামজারির জমা খারিজটি দ্রুত মুঞ্জুর করানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে আবারও দুটি নাম্বার থেকে নামজারির জমা খারিজটি দ্রুত মুঞ্জুর করতে এসিল্যান্ডকে ফোনও দেন প্রধানমন্ত্রীর সেই ভূয়া সচিব। এরপর এসিল্যান্ড জমা খারিজটি পর্যালোচনা করে দেখতে পান রামপুর মৌজার এস এ ৯৫৭ ও বিআরএস ২৩০৫১ দাগটির জমিটিতে দখলকারের দীর্ঘদিন আগের স্থাপনা নির্মিত। অপরদিকে সচিবের কথাবার্তার ধরনসহ বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়। পরে তিনি যোগাযোগ করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। জানতে পারেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সালাউদ্দিন পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য গত ২২ জুনের আগে থেকেই সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। সোমবার বিকেলে উপজেলা ভূমি অফিসে আসেন প্রধানমন্ত্রীর ভূয়া একান্ত সচিবের সুপারিশের প্রেরিত ব্যক্তি, উপজেলার কাঁঠাল ইউনিয়নের বনগ্রাম গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে হেলাল উদ্দিন।তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করা হয়। পরে ওই প্রতারককে ত্রিশাল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন এসিল্যান্ড। ওই ঘটনায় রাতেই উপজেলা ভূমি অফিসের নামজারী সহকারী মো. আরিফ রব্বানী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব স্যার কখনও এভাবে কথা বলার কথা নয়। তাই বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়। খোঁজখবর নেয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয় এটি একটি প্রতারক চক্র। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হেলাল উদ্দিনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে, মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভূয়া একান্ত সচিবের মাধ্যমে সুপারিশ করিয়ে জমা-খারিজ করতে এসে ভূমি অফিসে আটক হন হেলাল উদ্দিন। ওই ঘটনায় প্রতারনার নিয়মিত মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে।