সংবাদ শিরোনাম :
ভালুকায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া সেই নারীর মৃত্যু
দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
- আপলোড সময়: ১১:৩২:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
- / ২৯০ বার পড়া হয়েছে
ষ্টাফ রিপোর্টার:- গত শুক্রবার রাতে ১০টার দিকে পোশাক কারখানায় কাজ শেষে হাইওয়ে মিনিবাসে বাসায় ফিরছিলেন শামছুন্নাহার (৪৫)। পথে ভালুকা মাস্টারবাড়ি এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় শামছুন্নাহারকে একা পেয়ে চলন্ত বাসেই ধর্ষণের চেষ্টা চালান ওই মিনি বাসের চালক ও দুই সহকারী। প্রতিরোধের চেষ্টা করেন ওই নারী। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা প্রথমে তাকে মারধর করেন, তারপর চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন। রবিবার সকালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় শামছুন্নাহারের।
নিহত শামছুন্নাহার কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী। তিনি শ্রীপুর উপজেলার রিদিশা গার্মেন্টেস লিমিটেডের কর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় শনিবার বিকালে ভালুকা থানায় ভুক্তভোগীর ভাই মোজাম্মেল বাদি হয়ে মামলা নং (২৬-৬-২৩ ইং) দায়ের করেছেন।
ঘটনার পরপরই হাইওয়ে পুলিশ বাসটি আটক করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। ওই রাতেই পুলিশ চালকের দুই সহকারীকে ভালুকা ও চালককে ত্রিশাল থেকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন- টাঙাইল ধনবাড়ি উপজেলার মুশুর্দ্দি কুমারপাড়ার গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে বাস চালক রাকিব (২১), ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি গ্রামের আরফান আলীর ছেলে বাসের সহকারী আরিফ (২০) ও ত্রিশালের কাশিগঞ্জ গ্রামের শ্রী রবিদাসের ছেলে বাসের সুপারভাইজার আনন্দ দাস (১৯)। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া শামছুন্নাহার মাথায় গুরুতর আঘাত পায় পরে তাকে স্থানীয়রা প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থানয় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ট্যাগস :