ময়মনসিংহ ০৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ত্রিশালে মাছের সাথে শত্রুতা পুকুরে বিষপ্রয়োগ ৫ লাখ পোনা মাছ নিধন

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০১:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩
  • / ২৭০ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ সেলিম, ত্রিশাল থেকেঃ- ময়মনসিংহের ত্রিশালে কথা কাটাকাটির তুচ্ছ শত্রæতার জেরে বিষপ্রয়োগে বিভিন্ন প্রজাতির ৫ লাখ পোনা মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ন্যাক্কারজনক ওই ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ফাতেমানগর স্টেশন এলাকায়। কাঠমিস্ত্রি আশরাফ আলী পরিবারের অভাব ঘোচাতে মসজিদের একটি পুকুর ভাড়া নিয়ে পোনা মাছের চাষ করে আসছিলেন বেশ অনেকদিন ধরেই। জানা যায়, বালিপাড়া ইউনিয়নের বিয়ারা-পাটুলি গ্রামের ইছব আলীর ছেলে আশরাফ আলী পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। নিত্য আয়ের ওই পেশার পাশাপাশি পরিবারের অভাব ঘোচাতে বছর দশেক আগে আউলিয়ানগর রেল স্টেশন জামে মসজিদের ৪৫ শতাংশের পরিত্যক্ত একটি পুকুর ভাড়া নিয়ে রেনু কিনে পোনা মাছের চাষ শুরু করেন। এরইমধ্যে বছরখানেক আগে প্রতিবেশী আবদুস সাত্তারের পরিবারের লোকজন পুকুরে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারনে কিছু পোনা মাছ মারা যায়।এ নিয়ে তাদের সঙ্গে রাগারাগি (কথা কাটাকাটি) করেছিলেন কাঠমিস্ত্রি আশরাফ। এতে বাড়ে আবদুস সাত্তারের পরিবারের লোকজনের অত্যাচারের মাত্রা। রেহাই পেতে ত্রিশাল থানায় অভিযোগ করেন আশরাফ, এতে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে শত্রুতা। মাসখানেক আগেও আশরাফ কিভাবে এই পুকুরে মাছ চাষ করে, তা দেখে নেয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন সাত্তার। বুধবার সন্ধ্যা পযর্ন্ত সব ঠিকঠাক থাকলেও গত বৃহস্পতিবার ভোরে সর্বনাশের খবর পেয়ে ঘুম ভাঙে কাঠমিস্ত্রি আশরাফের। পুকুরপাড়ে গিয়ে তিনি দেখতে পান মৃগেল, ঘাস ও সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫ লাখ পোনা মাছ মরে ভেসে উঠেছে পানির ওপর। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজনসহ ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল। বেলা ১২ টার দিকে কি ধরনের বিষক্রিয়ায় মাছগুলো মারা গেছে তা জানতে, কিছু মরা মাছ নিয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন আশরাফ। এ জাতীয় ল্যাব সুবিধা উপজেলা মৎস্য অফিসে না থাকায় সংশ্লিষ্টদের পরামর্শে থানায় অভিযোগ করতে যান ভোক্তভোগি আশরাফ আলী। স্থানীয় আবুল কাসেম, আবদুল মোতালেব ছাড়াও অন্যান্যরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার বিকেলেও মাছের খাবার দিতে দেখেছি আশরাফকে। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি সব মাছ মরে পানির ওপর ভাসছে। ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল বলেন, শত্রুতাবশত বিষপ্রয়োগ বা অক্সিজেন ফল্ট জাতীয় কোন ট্যাবলেট কেউ পানিতে ফেলে থাকলে সে বড় ধরনের জগন্য অপরাধ করেছে। আশরাফ আলীর অভিযোগ, শত্রুতার জেরে বিষপ্রয়োগে তার সব মেরে ফেলেছে প্রতিবেশী সাত্তার বা তার পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। ওসি মাইন উদ্দিন জানান, ঘটনার সত্যতা পেলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

ত্রিশালে মাছের সাথে শত্রুতা পুকুরে বিষপ্রয়োগ ৫ লাখ পোনা মাছ নিধন

আপলোড সময়: ০১:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

মোহাম্মদ সেলিম, ত্রিশাল থেকেঃ- ময়মনসিংহের ত্রিশালে কথা কাটাকাটির তুচ্ছ শত্রæতার জেরে বিষপ্রয়োগে বিভিন্ন প্রজাতির ৫ লাখ পোনা মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ন্যাক্কারজনক ওই ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ফাতেমানগর স্টেশন এলাকায়। কাঠমিস্ত্রি আশরাফ আলী পরিবারের অভাব ঘোচাতে মসজিদের একটি পুকুর ভাড়া নিয়ে পোনা মাছের চাষ করে আসছিলেন বেশ অনেকদিন ধরেই। জানা যায়, বালিপাড়া ইউনিয়নের বিয়ারা-পাটুলি গ্রামের ইছব আলীর ছেলে আশরাফ আলী পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। নিত্য আয়ের ওই পেশার পাশাপাশি পরিবারের অভাব ঘোচাতে বছর দশেক আগে আউলিয়ানগর রেল স্টেশন জামে মসজিদের ৪৫ শতাংশের পরিত্যক্ত একটি পুকুর ভাড়া নিয়ে রেনু কিনে পোনা মাছের চাষ শুরু করেন। এরইমধ্যে বছরখানেক আগে প্রতিবেশী আবদুস সাত্তারের পরিবারের লোকজন পুকুরে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারনে কিছু পোনা মাছ মারা যায়।এ নিয়ে তাদের সঙ্গে রাগারাগি (কথা কাটাকাটি) করেছিলেন কাঠমিস্ত্রি আশরাফ। এতে বাড়ে আবদুস সাত্তারের পরিবারের লোকজনের অত্যাচারের মাত্রা। রেহাই পেতে ত্রিশাল থানায় অভিযোগ করেন আশরাফ, এতে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে শত্রুতা। মাসখানেক আগেও আশরাফ কিভাবে এই পুকুরে মাছ চাষ করে, তা দেখে নেয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন সাত্তার। বুধবার সন্ধ্যা পযর্ন্ত সব ঠিকঠাক থাকলেও গত বৃহস্পতিবার ভোরে সর্বনাশের খবর পেয়ে ঘুম ভাঙে কাঠমিস্ত্রি আশরাফের। পুকুরপাড়ে গিয়ে তিনি দেখতে পান মৃগেল, ঘাস ও সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫ লাখ পোনা মাছ মরে ভেসে উঠেছে পানির ওপর। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজনসহ ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল। বেলা ১২ টার দিকে কি ধরনের বিষক্রিয়ায় মাছগুলো মারা গেছে তা জানতে, কিছু মরা মাছ নিয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন আশরাফ। এ জাতীয় ল্যাব সুবিধা উপজেলা মৎস্য অফিসে না থাকায় সংশ্লিষ্টদের পরামর্শে থানায় অভিযোগ করতে যান ভোক্তভোগি আশরাফ আলী। স্থানীয় আবুল কাসেম, আবদুল মোতালেব ছাড়াও অন্যান্যরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার বিকেলেও মাছের খাবার দিতে দেখেছি আশরাফকে। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি সব মাছ মরে পানির ওপর ভাসছে। ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল বলেন, শত্রুতাবশত বিষপ্রয়োগ বা অক্সিজেন ফল্ট জাতীয় কোন ট্যাবলেট কেউ পানিতে ফেলে থাকলে সে বড় ধরনের জগন্য অপরাধ করেছে। আশরাফ আলীর অভিযোগ, শত্রুতার জেরে বিষপ্রয়োগে তার সব মেরে ফেলেছে প্রতিবেশী সাত্তার বা তার পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। ওসি মাইন উদ্দিন জানান, ঘটনার সত্যতা পেলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।