ময়মনসিংহ ১০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ত্রিশালে অন্যের জমি খনন করে মাটি বিক্রি ও মাছের চাষ করার অভিযোগ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০১:২২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩
  • / ২৯৩ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ সেলিম, ত্রিশাল থেকেঃ- কোন প্রকার চুক্তিপত্র বা অনুমতি ছাড়াই, প্রভাব খাটিয়ে ত্রিশালের কানিহারী ইউনিয়নের মান্দাটিয়া গ্রামের মনিরুľামানসহ তার ভাইদের ৭৩ শতাংশ জমি খনন করে মাটি বিক্রি ও মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী প্রতিবেশী লাল মিয়া ও আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা করলেও দখল ছাড়ছে না অভিযুক্তরা।

জানা গেছে, উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের মান্দাটিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের মৃত্যুর পর মান্দাটিয়া মৌজায় ৯০৫ ও ৮৯৮ হাল দাগে থাকা ৭৩ শতাংশ জমি তার ছেলেদের নামে জমা খারিজ হয়। রুহুল আমিনের ছেলে মনিরুľামানসহ তার ভাইদের ওই ৭৩ শতাংশ জমির কোনপ্রকার চুক্তিপত্র বা অনুমতি ছাড়াই, প্রভাব খাটিয়ে তা খনন করে সে মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করেছেন প্রভাবশালী প্রতিবেশী লাল মিয়া ও আবুল কাসেম নামে দুই ব্যক্তি। খনন ও মাটি বিক্রিকালীন সময়ে মৃত রুহুল আমিনের ছেলেরা বাঁধা দিলে প্রভাবশালী লাল মিয়া ও আবুল কাসেমের লোকজন তাদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধাওয়া দেয়। ওই ঘটনায় মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মনিরুľামান বাদী হয়ে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং ত্রিশাল অঞ্চল আদালত, ময়মনসিংহের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ময়মনসিংহে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত স্থিতাবস্থা জারি করলে সরেজমিন তদন্ত করেন ত্রিশাল থানা পুলিশ ও ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা। এদিকে স্থিতাবস্থা জারির পরও সদ্য খনন করা ওই পুকুরে মাছের চাষ শুরু করেছেন অভিযুক্তরা। ভোক্তভোগি মনিরুজ্জামান জানান, আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি লিজের নেয়ার অজুহাতে দখলের পায়তারা করছে লাল মিয়া গং। তাই কোনপ্রকার চুক্তিপত্র বা অনুমতি ছাড়াই, প্রভাব খাটিয়ে ৭৩ শতাংশ জমির মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করেছে তারা। এরপর আমি বাদী হয়ে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং ত্রিশাল অঞ্চল আদালত, ময়মনসিংহের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ময়মনসিংহে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেছি। এ ব্যাপারে লাল মিয়া বলেন, আগে জানতাম না ওই জমি তাদের। মামলার পর যখন জানতে পারছি, লোক মারফতে খবর পাঠিয়ে মনিরকে জানিয়েছি, অন্যদের যে হারে জমির ভাড়া দিয়েছি তাকেও সেই হারে ভাড়ার টাকা দেয়া হবে। ত্রিশাল থানার এএসআই মির্জা ওয়াসিম বলেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক স্থিতাবস্থা জারি করেছি। ওই ঘটনায় কেউ যদি শান্তিশৃংখলা ভঙ্গ করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

ত্রিশালে অন্যের জমি খনন করে মাটি বিক্রি ও মাছের চাষ করার অভিযোগ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে

আপলোড সময়: ০১:২২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

মোহাম্মদ সেলিম, ত্রিশাল থেকেঃ- কোন প্রকার চুক্তিপত্র বা অনুমতি ছাড়াই, প্রভাব খাটিয়ে ত্রিশালের কানিহারী ইউনিয়নের মান্দাটিয়া গ্রামের মনিরুľামানসহ তার ভাইদের ৭৩ শতাংশ জমি খনন করে মাটি বিক্রি ও মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী প্রতিবেশী লাল মিয়া ও আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা করলেও দখল ছাড়ছে না অভিযুক্তরা।

জানা গেছে, উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের মান্দাটিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের মৃত্যুর পর মান্দাটিয়া মৌজায় ৯০৫ ও ৮৯৮ হাল দাগে থাকা ৭৩ শতাংশ জমি তার ছেলেদের নামে জমা খারিজ হয়। রুহুল আমিনের ছেলে মনিরুľামানসহ তার ভাইদের ওই ৭৩ শতাংশ জমির কোনপ্রকার চুক্তিপত্র বা অনুমতি ছাড়াই, প্রভাব খাটিয়ে তা খনন করে সে মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করেছেন প্রভাবশালী প্রতিবেশী লাল মিয়া ও আবুল কাসেম নামে দুই ব্যক্তি। খনন ও মাটি বিক্রিকালীন সময়ে মৃত রুহুল আমিনের ছেলেরা বাঁধা দিলে প্রভাবশালী লাল মিয়া ও আবুল কাসেমের লোকজন তাদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধাওয়া দেয়। ওই ঘটনায় মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মনিরুľামান বাদী হয়ে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং ত্রিশাল অঞ্চল আদালত, ময়মনসিংহের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ময়মনসিংহে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত স্থিতাবস্থা জারি করলে সরেজমিন তদন্ত করেন ত্রিশাল থানা পুলিশ ও ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা। এদিকে স্থিতাবস্থা জারির পরও সদ্য খনন করা ওই পুকুরে মাছের চাষ শুরু করেছেন অভিযুক্তরা। ভোক্তভোগি মনিরুজ্জামান জানান, আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি লিজের নেয়ার অজুহাতে দখলের পায়তারা করছে লাল মিয়া গং। তাই কোনপ্রকার চুক্তিপত্র বা অনুমতি ছাড়াই, প্রভাব খাটিয়ে ৭৩ শতাংশ জমির মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করেছে তারা। এরপর আমি বাদী হয়ে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং ত্রিশাল অঞ্চল আদালত, ময়মনসিংহের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ময়মনসিংহে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেছি। এ ব্যাপারে লাল মিয়া বলেন, আগে জানতাম না ওই জমি তাদের। মামলার পর যখন জানতে পারছি, লোক মারফতে খবর পাঠিয়ে মনিরকে জানিয়েছি, অন্যদের যে হারে জমির ভাড়া দিয়েছি তাকেও সেই হারে ভাড়ার টাকা দেয়া হবে। ত্রিশাল থানার এএসআই মির্জা ওয়াসিম বলেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক স্থিতাবস্থা জারি করেছি। ওই ঘটনায় কেউ যদি শান্তিশৃংখলা ভঙ্গ করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।