খলিলুর রহমান:- ময়মনসিংহের ভালুকায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধু মাকসুদা আক্তার (২৮) কে স্বামী আনোয়ার হোসেন পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রাজৈ ইউনিয়নের সোহাল গ্রামে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন আহত মাকসুদাকে উদ্ধার করে ভালুকা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। মাকসুদা আক্তার জানান, দুই পরিবারের সম্মতিতে উপজেলার রাজৈ ইউনিয়নের সোহাল গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনের সাথে ১৪ বছর আগে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সালমান নামে এগারো বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এদিকে, বিয়ের পরপরই মেয়ের সুখের আশায় পিতা আবদুল মান্নান পোল্ট্রি করার জন্যে প্রথমে পাঁচলাখ টাকা এবং পরে মাছের চাষ করার জন্য আরো পাঁচলাখ টাকা প্রদান করেন। কিছুদিন পূর্বে ননদ মিনারা খাতুন (৩২) ও ননদের স্বামী এখলাছ উদ্দিনের (৪০) কু-পরামর্শে স্বামী আনোয়ার হোসেন আবারো পাঁচলাখ টাকার যৌতুকের জন্যে মারপিটসহ তার উপর বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন শুরু করে। পরে, নিরুপায় হয়ে তিনি বিষয়টি জানালে তার পিতা আবদুল মান্নান তার স্বামী আনোয়ার হোসেনকে দফায় দফায় আরো দুই লাখ টাকা প্রদান করেন। এদিকে, স্বামী আনোয়ার হোসেন তার দাবিকৃত অবশিষ্ট টাকার জন্যে আন্যান্যদের উপস্থিতিতে গত সোমবার (১৫ মে) বিকেলে মাকসুদার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। ওই সময় মাকসুদা ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে রক্ষা করেন। পরে, মোবাইল ফোনে বিষয়টি পিতৃ পরিবারকে জানালে তারা মাকসুদাকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। এই ঘটনায় বিচার দাবিতে মাকসুদা আক্তার বাদি হয়ে, তার স্বামী মো. আনোয়ার হোসেন (৩৮), ননদ মিনারা খাতুন (৩২) ও ননদের স্বামী এখলাছ উদ্দিনকে (৪০) আসামী ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানায়। মাকসুদা আক্তারের বাবা আবদুল মান্নান দাবি করেন, টাকার জন্যে তার মেয়ের উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি তার মেয়ের উপর নির্যাতনকারীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। স্ত্রীকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে আনোয়ার হোসেন বলেন, মাকসুদা এক সপ্তাহ যাবত পিত্রালয়ে আছে। ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।