মোহাম্মদ সেলিম,ত্রিশাল ময়মনসিংহ থেকেঃ- ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ পাওয়ার ষ্টেশনে বিদ্যুতের ৫২ কেবি ট্রান্সফরমার পরিবহনের সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেলেরঘাট বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে যায়। এসময় আহত হয় ৪ জন। ত্রিশাল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সুত্রে জানাযায়, ময়মনসিংহ পাওয়ার ষ্টেশনে নতুন করে সংযোজনের জন্য বিদ্যুতের ৫২ কেবি ট্রান্সফরমার ৪২ চাকার লড়ী দিয়ে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে নেয়ার পথে (২৬এপ্রিল) বুধবার সন্ধায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেলেরঘাট নামক স্থানে বেইলিব্রিজ ভেঙ্গে নদীতে পরে যায়। এসময় লড়ীর পাশে থাকা একটি যাত্রীবাহী প্রাইভেটকারও নদীতে পরে। এতে প্রাইভেটকারে থাকা চার যাত্রী আহত হয়েছে। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।এসময় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই লেন রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ত্রিশাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই লেন বন্ধ করে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী লেন দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে।
সন্ধার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাষ ও বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ উর্ধত্বন কর্মকর্তাবৃন্ধ। ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার আবুল কালাম জানান, আমরা পৌনে ছয়টার দিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি ব্রীজের মাঝ বরাবর ভেঙ্গে একটি লড়ী ও প্রাইভেটকার নদীতে পরে গেছে। এতে প্রাইভেটকারে থাকা ৪ যাত্রী আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ত্রিশাল থানা ওসি মাঈন উদ্দিন জানান, ৪২ চাকার ওভারলোড গাড়ি যাওয়ার সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেলেরঘাটে দুটি ব্রিজের মধ্যে পুরাতন বেইলি ব্রিজটি ভেঙ্গে যায়। এতে যান চলাচলে সাময়িক বিগ্ন ঘটে। পরে মহাসড়কের দুই লেন দিয়ে দুপাশের গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারবাহী একটি অতিরিক্ত লোড নিয়ে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রীজটি ৮৯ সালে নির্মিত হয়েছিলো। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চারলেনর মধ্যে দুই লেনের গাড়ি এই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করতো।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- শফিকুল ইসলাম সবুজ।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ- ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন আল-মদিনা সুপার মার্কেট, সিড্ ষ্টোর বাজার, ভালুকা,ময়মনসিংহ। ই-মেইলঃ bhalukainfo@gmail.com
যোগাযোগঃ- ✆ ০১৭১৫৮১৫৬৪৭, ০১৯১৮১৯৯৮৭৩
Copyright © 2025 মুক্তকণ্ঠ. All rights reserved.