ময়মনসিংহ ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালনঃ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই…………উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১২:৫২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩
  • / ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ সেলিম,ত্রিশাল ময়মনসিংহ থেকেঃ–ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫২ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিনব্যপী কর্মসূিচতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানীরা যে গণহত্যা করেছিল সে কাজটি ইতিহাসের জঘন্যতম কাজ। এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনো আমরা পাইনি।আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই-এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। একই সঙ্গে এই গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। এটা সময়ের দাবি। উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ কি সুন্দর একটা নাম। অথচ এই সুন্দর নামের আড়ালে ইতিহাসের জঘন্যতম কাজ পাকিস্তানিরা করেছিল। তারা অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালিদের গুলি করে হত্যা করেছিল হাজার হাজার মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ঘুমন্ত মানুষের উপর তারা নির্বিচারে গুলি করে শত শত বাঙালিকে হত্যা করা শুরু করে দেয়। একাত্তরের ২৫ মার্চের রাত ইতিহাসে কাল রাত হিসেবে চিহ্নিত। তিনি বলেন, গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ব্যাপারে বাঙালিদের সমন্বিত ভাবে সমস্বরে দাবি উত্থাপনের সময় এসেছে। এ দাবি উত্থাপনের মধ্যদিয়ে মূলত ৩০ লক্ষ শহীদের আতœত্যাগকে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি। একাত্তর সালে যে সব মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের জন্য জীবন দিয়েছেন এখনো যারা জীবিত আছেন তাঁদেরকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। এছাড়া স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী যে শক্তি, তারা যে নামেই থাকুক না কেন তাদের প্রতি আমাদের ঘৃণা জানাতে হবে। এক্ষেত্রে পিছপা হওয়ার কোন সুযোগ নাই। এর আগে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে প্রথম দিন শনিবার (২৫ মার্চ) রাত ১০ টা ৩১ মিনিটে গোটা ক্যাম্পাসে ১ মিনিটের ব্লাক আউট করা হয়। এরপর ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ও চির উন্নত মম শির প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।পরদিন রোববার (২৬ মার্চ) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত সহযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর একটি বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে গিয়ে জমায়েত হয়। পরে শহিদদের স্মরণে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর সেখানে পায়রা অবমুক্ত করা হয়। এরপরে শোভাযাত্রাটি বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য থেকে ক্যাম্পাসের চির উন্নত মম শির প্রাঙ্গণে গিয়ে জমায়েত হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্যের নেতৃত্বে আরেকদফা পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। একই অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও তুলে দেওয়া হয়। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুসহ অন্যরা। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালনঃ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই…………উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর

আপলোড সময়: ১২:৫২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

মোহাম্মদ সেলিম,ত্রিশাল ময়মনসিংহ থেকেঃ–ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫২ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিনব্যপী কর্মসূিচতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানীরা যে গণহত্যা করেছিল সে কাজটি ইতিহাসের জঘন্যতম কাজ। এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনো আমরা পাইনি।আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই-এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। একই সঙ্গে এই গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। এটা সময়ের দাবি। উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ কি সুন্দর একটা নাম। অথচ এই সুন্দর নামের আড়ালে ইতিহাসের জঘন্যতম কাজ পাকিস্তানিরা করেছিল। তারা অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালিদের গুলি করে হত্যা করেছিল হাজার হাজার মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ঘুমন্ত মানুষের উপর তারা নির্বিচারে গুলি করে শত শত বাঙালিকে হত্যা করা শুরু করে দেয়। একাত্তরের ২৫ মার্চের রাত ইতিহাসে কাল রাত হিসেবে চিহ্নিত। তিনি বলেন, গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ব্যাপারে বাঙালিদের সমন্বিত ভাবে সমস্বরে দাবি উত্থাপনের সময় এসেছে। এ দাবি উত্থাপনের মধ্যদিয়ে মূলত ৩০ লক্ষ শহীদের আতœত্যাগকে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি। একাত্তর সালে যে সব মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের জন্য জীবন দিয়েছেন এখনো যারা জীবিত আছেন তাঁদেরকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। এছাড়া স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী যে শক্তি, তারা যে নামেই থাকুক না কেন তাদের প্রতি আমাদের ঘৃণা জানাতে হবে। এক্ষেত্রে পিছপা হওয়ার কোন সুযোগ নাই। এর আগে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে প্রথম দিন শনিবার (২৫ মার্চ) রাত ১০ টা ৩১ মিনিটে গোটা ক্যাম্পাসে ১ মিনিটের ব্লাক আউট করা হয়। এরপর ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ও চির উন্নত মম শির প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।পরদিন রোববার (২৬ মার্চ) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত সহযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর একটি বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে গিয়ে জমায়েত হয়। পরে শহিদদের স্মরণে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর সেখানে পায়রা অবমুক্ত করা হয়। এরপরে শোভাযাত্রাটি বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য থেকে ক্যাম্পাসের চির উন্নত মম শির প্রাঙ্গণে গিয়ে জমায়েত হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্যের নেতৃত্বে আরেকদফা পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। একই অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও তুলে দেওয়া হয়। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুসহ অন্যরা। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর।