ময়মনসিংহ ১২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এনজিও মালিককে মিথ্যা মামলাদিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১১:৩১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
  • / ২৯৮ বার পড়া হয়েছে

শফিকুল ইসলাম সবুজঃ-

ময়মনসিংহের ভালুকায় আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে স্থানীয় বনবিভাগের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয় ওয়াটার হাউজে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে তিনি ওই দাবি করেন। ফাউন্ডেশনের পরিচালক এমএ রশিদ বলেন, উপজেলার হবিরবাড়ি মৌজার ৪১৩ ও ৪৩৮ নম্বর দাগে বনবিভাগের সাথে ডিমারগেশন করে ১৭ একর জমি ২০১৫ সালে তিনি পলমল গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দেন। পরে পলমল গ্রুপ ওই জমিতে স্থাপনা করতে গেলে বনবিভাগ তাতে বাঁধা দেয়। ওই ঘটনায় তিনি ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের কললে বিচারপতি আশরাফুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈতবেঞ্চ বনবিভাগের বিরুদ্ধে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে। নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর জেলা বনকর্মকর্তা (ডিএফও) লিখিতভাবে তাকে (আব্দুর রশিদ) ওই জমিতে কাজ করেতে নিষেধ করেন। বিষয়টি আবারো উচ্চ আদালতে রিট আবেদন (১৫২৪১) করা হলে বিচরপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মো: খাইরুল আলমের দ্বৈতবেঞ্চ ২০২২ সালে আদালত বনবিভাগের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সম্প্রতি ওই দুই দাগের জমি থেকে আকাশমনি ও গজারী গাছ কর্তন ও বনে আগুণে জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় বনবিভাগ তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ করেন এবং এ ব্যাপারে তিনি বনবিভাগের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলেও জানান।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

এনজিও মালিককে মিথ্যা মামলাদিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আপলোড সময়: ১১:৩১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

শফিকুল ইসলাম সবুজঃ-

ময়মনসিংহের ভালুকায় আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে স্থানীয় বনবিভাগের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয় ওয়াটার হাউজে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে তিনি ওই দাবি করেন। ফাউন্ডেশনের পরিচালক এমএ রশিদ বলেন, উপজেলার হবিরবাড়ি মৌজার ৪১৩ ও ৪৩৮ নম্বর দাগে বনবিভাগের সাথে ডিমারগেশন করে ১৭ একর জমি ২০১৫ সালে তিনি পলমল গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দেন। পরে পলমল গ্রুপ ওই জমিতে স্থাপনা করতে গেলে বনবিভাগ তাতে বাঁধা দেয়। ওই ঘটনায় তিনি ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের কললে বিচারপতি আশরাফুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈতবেঞ্চ বনবিভাগের বিরুদ্ধে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে। নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর জেলা বনকর্মকর্তা (ডিএফও) লিখিতভাবে তাকে (আব্দুর রশিদ) ওই জমিতে কাজ করেতে নিষেধ করেন। বিষয়টি আবারো উচ্চ আদালতে রিট আবেদন (১৫২৪১) করা হলে বিচরপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মো: খাইরুল আলমের দ্বৈতবেঞ্চ ২০২২ সালে আদালত বনবিভাগের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সম্প্রতি ওই দুই দাগের জমি থেকে আকাশমনি ও গজারী গাছ কর্তন ও বনে আগুণে জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় বনবিভাগ তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ করেন এবং এ ব্যাপারে তিনি বনবিভাগের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলেও জানান।