ময়মনসিংহ ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তাল মার্চঃ- কবিঃ- আতিকুল ইসলাম জাকারিয়া

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০২:৪০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • / ২৯৭ বার পড়া হয়েছে

আতিকুল ইসলাম জাকারিয়া’র “উত্তাল মার্চ”

নানা ঘটনাপ্রবাহে আবর্তিত…
একাত্তরের সেই উত্তাল মাস-মার্চ
ক্ষমতার মদমত্তে বিভোর পশ্চিমা জাতি
‘বাঙালির শাসন মেনে নেওয়া যায় না’
—এটাই ছিল তাদের মূলনীতি।

উত্তাল মার্চ —
আগুন ঝরা প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ…
মিছিল, মিটিং, শ্লোগানে মুখরিত রাজপথ
চেতনার লেলিহান শিখার আবাহনে
উত্তাল জনসমুদ্র প্রস্তুত –রেসকোর্স ময়দানে।
৭ মার্চ -এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ
বঙ্গবন্ধু দিলেন তেজোদৃপ্ত সেই ভাষণ —
“এবারের সংগ্রাম –আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

চির বঞ্চিত বাঙালি মুক্তির নেশায়
গর্জে উঠলো সংগ্রামী চেতনায়।
দেশ চলতে থাকে অবলীলায়
বঙ্গবন্ধুর একক নির্দেশনায়।

দিশেহারা পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী
বুঝে যায় অবস্থা বেগতি।
ষোল থেকে চব্বিশে মার্চ …
আলোচনার নামে করে নানা প্রহসন
অন্তরালে করতে থাকে ষড়যন্ত্রের জাল বুনন।

তারপর এলো —
সেই নিকষ কালো রাত …২৫ মার্চ
ঘুমন্ত মুক্তিকামী নিরস্ত্র বাঙালি
চারিদিকে শুনশান নিরবতা
হঠাৎ গুলির আওয়াজ, চিৎকার – চেচামেচি ;
হায়েনার দল শুরু করলো নৃশংস গণহত্যা
ইতিহাসে রয়েছে যে বিষাদের কাব্য গাঁথা।

ঐতিহাসিক ২৬ মার্চ —
বঙ্গবন্ধু দিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা —
বাঙালি জাতি পেল সুস্পষ্ট নির্দেশনা।
“…চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত
তোমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। ”

চির মুক্তির অভিপ্রায়ে —
গর্জে উঠলো বাংলাদেশ।
তাইতো, বঙ্গবন্ধুর আহবানে —
বীর বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়লো মহারণে।

(১ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ)

লেখকঃ সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ ভালুকা উপজেলা শাখা।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

উত্তাল মার্চঃ- কবিঃ- আতিকুল ইসলাম জাকারিয়া

আপলোড সময়: ০২:৪০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

আতিকুল ইসলাম জাকারিয়া’র “উত্তাল মার্চ”

নানা ঘটনাপ্রবাহে আবর্তিত…
একাত্তরের সেই উত্তাল মাস-মার্চ
ক্ষমতার মদমত্তে বিভোর পশ্চিমা জাতি
‘বাঙালির শাসন মেনে নেওয়া যায় না’
—এটাই ছিল তাদের মূলনীতি।

উত্তাল মার্চ —
আগুন ঝরা প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ…
মিছিল, মিটিং, শ্লোগানে মুখরিত রাজপথ
চেতনার লেলিহান শিখার আবাহনে
উত্তাল জনসমুদ্র প্রস্তুত –রেসকোর্স ময়দানে।
৭ মার্চ -এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ
বঙ্গবন্ধু দিলেন তেজোদৃপ্ত সেই ভাষণ —
“এবারের সংগ্রাম –আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

চির বঞ্চিত বাঙালি মুক্তির নেশায়
গর্জে উঠলো সংগ্রামী চেতনায়।
দেশ চলতে থাকে অবলীলায়
বঙ্গবন্ধুর একক নির্দেশনায়।

দিশেহারা পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী
বুঝে যায় অবস্থা বেগতি।
ষোল থেকে চব্বিশে মার্চ …
আলোচনার নামে করে নানা প্রহসন
অন্তরালে করতে থাকে ষড়যন্ত্রের জাল বুনন।

তারপর এলো —
সেই নিকষ কালো রাত …২৫ মার্চ
ঘুমন্ত মুক্তিকামী নিরস্ত্র বাঙালি
চারিদিকে শুনশান নিরবতা
হঠাৎ গুলির আওয়াজ, চিৎকার – চেচামেচি ;
হায়েনার দল শুরু করলো নৃশংস গণহত্যা
ইতিহাসে রয়েছে যে বিষাদের কাব্য গাঁথা।

ঐতিহাসিক ২৬ মার্চ —
বঙ্গবন্ধু দিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা —
বাঙালি জাতি পেল সুস্পষ্ট নির্দেশনা।
“…চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত
তোমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। ”

চির মুক্তির অভিপ্রায়ে —
গর্জে উঠলো বাংলাদেশ।
তাইতো, বঙ্গবন্ধুর আহবানে —
বীর বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়লো মহারণে।

(১ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ)

লেখকঃ সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ ভালুকা উপজেলা শাখা।