ময়মনসিংহ ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীপুরে ওয়াকফ সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১১:০৫:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২৮১ বার পড়া হয়েছে

টি.আই সানি,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ- হাইকোর্টের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে জবরদখল এবং ভোগ-দখল। ওয়াকফকৃত সম্পত্তি আত্মসাত, করে জবরদখলের অভিযোগের ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে । দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকফস্টেট এর সম্পত্তিতে জোর করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নোয়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ এর ওয়কফ এস্টেট এর বৈধ মোতওয়াল্লী মোঃ হাইদুল ইসলাম ।

এর আগেও ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য জেলা প্রশাসক, গাজীপুর, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শ্রীপুর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্রীপুর, এর বরাবর লিখিত অনুলিপি দিয়েছে নোয়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ওয়কফ এস্টেট এর মোতওয়াল্লী মোঃ হাইদুল ইসলাম ।

এই সকল অভিযোগে দখলকারী আব্দুল খালেক, আব্দুল হামিদ গংদেরকে বিবাদী করা হয়েছে। রাজাবাড়ী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে দখলকারী আব্দুল খালেক, আব্দুল হামিদ গং’রা রাতের আধারে লোকজন নিয়ে ওয়কফ এস্টেট এর ওই জমিতে ঘর নির্মানের চেষ্টা চালায়। এ সময় ঘর নির্মাণে বাধা দেয়ায় রক্ষণাবেক্ষণে থাকা মোতওয়াল্লী মোঃ হাইদুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।

নোয়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ওয়কফ এস্টেট এর মোতওয়াল্লী মোঃ হাইদুল ইসলাম জানান, নোয়াগাঁও মৌজার ১ একর ৪০ শতাংশ নালিশি জমি ওয়াকফ এস্টেটের শ্রীপুর অধীন জেএল ৫৯ নং নোয়াগাঁও মৌজাস্থিত এস. এ ২০০, ২০৪, ২৫২, ৩২০, ৩১৯/৪৪৬, ৩২৪, ৩১৯নং দাগে এবং আরএস২৮৮ ৮.৬৪৪ ও ৬৪৮নং দাগে মোট ৮ একর ৫ শতাংশ সম্পত্তি। ইহার কাতে বিবাদীদের দ্বারা দখলকৃত ১ একর ৪০ শতাংশ নালিশি জমি উদ্ধার এবং দখলকারীদের উচ্ছেদ করার জন্য জেলা উপজেলার প্রশাসনকে চিঠির পর চিঠি দিলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, নোয়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ এর ওয়কফ এস্টেট সম্পত্তির মোতআল্লীর অনুমতি নিয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত দেখাশোনা করছেন। কিছুদিন দরে মৃত শহর আলীর ছেলে আব্দুল খালেক, আব্দুল হামিদ গং’রা ওই জমিতে দখলের পায়তারা চালায়। এ ঘটনায় ওয়াকফ উপজেলা প্রশাসন ও শ্রীপুর ভূমী কর্মকর্তা ওয়কফ এস্টেট সম্পত্তি সরেজমিনে তদন্ত করে সিমানা নির্ধারন করে জমি বুঝিয়ে দিয়ে যান । কিন্তু নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে দখলকারী আব্দুল খালেক, আব্দুল হামিদ গং’রা আইনের তোয়াক্কা না করে রাতের আধারে লোকজন ভাড়া করে অস্ত্র নিয়ে ওই জমিতে ঘর নির্মাণ শুরু করে। এবং এই জমির মালিকানা দাবি করে ও দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে ।

নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া বলেন, আমরা তাদের বাধা দিতে গেলে, তারা লাঠিসোটা নিয়ে আমাকে ও আমার বড় ভাইকে খুনের হুমকি দিয়ে ধাওয়া করে। কোন উপায় না পেয়ে বসতঘরে আশ্রয় নেই। এ সময় সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে হামলা চালিয়ে আমাকে ও আমার বড় ভাইকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে জখম করে। আমাদের চিৎকার শুনে লোকজন চলে আসলে তারা যেকোন ভাবে জমি দখল ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

ওয়কফ এস্টেট এর সভাপতি আব্দুল গফুর চৌধরী জানান, নোয়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ওয়কফ এস্টেট এর বৈধ মোতওয়াল্লী মোঃ হাইদুল ইসলাম এবং ওয়কফ এস্টেট এর মোট জমির পরিমান ৮একর ৫শাতাংশ, কিন্তু অব্যাহত রয়েছে ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রি ও আত্মসাৎ। ওয়াকফ এস্টেটের জমি এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ সমাজপতি পরস্পর যোগসাজশে নানা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছেন শত শত কোটি টাকা মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তি। দীর্ঘদিন ধরে এই জমির মালিকানা দাবি দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে দখলকারী আব্দুল খালেক, আব্দুল হামিদ গং’রা।নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে আব্দুল খালেক, আব্দুল হামিদ গং’রা বলেন, ওয়কফ এস্টেট এর জমির উপর আমাদের কোন দাবী নেই, আমাদের রেকট মূলে আমরা আমাদের জমিতে বসবাস করছি। ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগের ঘটনাটি সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট কথা। রেকট মূলে আমরা আমাদের জমি ভোগ-দখলে রয়েছি।

কাশেম আলীর ছেলে আতাউর রহমান জানান, ওয়কফ এস্টেট এর সম্পত্তি নিয়ে কোন বিরোধ নেই। অরজিনালি এই সম্পত্তির মালিক আমার দাদা,আমার দাদার নামে রেকট ও খারিজ রয়েছে, এই সম্পত্তি হাইদুল একক ভাবে আত্মসাৎ করে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। একই দাদার সম্পতির মালিক যদি হাইল হয় তাহলে আমরাও তো মালিক হইবো তাইনা?, তবে হাইদুল আমাদেরকে সম্পত্তির মালিকানা বুঝিয়ে দিতে চাচ্ছেনা। এর জন্য তার সাথে আমাদের জমি সংক্রন্ত বিরোধ চলছে। তবে বর্তমানে এই জমির বিয়ষটি ইনের মাধ্যমে রয়েছে। যা কিছু সমাধান হয় আইনের মাধ্যমেই ফয়সালা হবে।

গাজীপুর ওয়াকফ পরিদর্শক আউলাদ হোসেন বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তির বিষয়ে রেকট সংশোধনি মামলা করার পর জমি উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেছি স্থিতি অবস্থা বজায় রাখতে। কোন পক্ষ যাতে ওই সম্পত্তিতে কোন স্থাপনা না করে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার এএসঅই আঃ সামাদ জানান, নায়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ওয়কফ এস্টেট এর অনেক সম্পত্তির উপরে অনেকে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে দখল করে রেখেছে শত শত পরিবার। এই খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ সময় কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে নিষেধ করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শাস্ত রয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রেহেনা আকতার জানান, নায়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ওয়কফ এস্টেট এর বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ জানাননি এবং এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

শ্রীপুরে ওয়াকফ সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ

আপলোড সময়: ১১:০৫:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

টি.আই সানি,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ- হাইকোর্টের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে জবরদখল এবং ভোগ-দখল। ওয়াকফকৃত সম্পত্তি আত্মসাত, করে জবরদখলের অভিযোগের ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে । দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকফস্টেট এর সম্পত্তিতে জোর করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নোয়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ এর ওয়কফ এস্টেট এর বৈধ মোতওয়াল্লী মোঃ হাইদুল ইসলাম ।

এর আগেও ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য জেলা প্রশাসক, গাজীপুর, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শ্রীপুর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্রীপুর, এর বরাবর লিখিত অনুলিপি দিয়েছে নোয়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ওয়কফ এস্টেট এর মোতওয়াল্লী মোঃ হাইদুল ইসলাম ।

এই সকল অভিযোগে দখলকারী আব্দুল খালেক, আব্দুল হামিদ গংদেরকে বিবাদী করা হয়েছে। রাজাবাড়ী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে দখলকারী আব্দুল খালেক, আব্দুল হামিদ গং’রা রাতের আধারে লোকজন নিয়ে ওয়কফ এস্টেট এর ওই জমিতে ঘর নির্মানের চেষ্টা চালায়। এ সময় ঘর নির্মাণে বাধা দেয়ায় রক্ষণাবেক্ষণে থাকা মোতওয়াল্লী মোঃ হাইদুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।

নোয়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ওয়কফ এস্টেট এর মোতওয়াল্লী মোঃ হাইদুল ইসলাম জানান, নোয়াগাঁও মৌজার ১ একর ৪০ শতাংশ নালিশি জমি ওয়াকফ এস্টেটের শ্রীপুর অধীন জেএল ৫৯ নং নোয়াগাঁও মৌজাস্থিত এস. এ ২০০, ২০৪, ২৫২, ৩২০, ৩১৯/৪৪৬, ৩২৪, ৩১৯নং দাগে এবং আরএস২৮৮ ৮.৬৪৪ ও ৬৪৮নং দাগে মোট ৮ একর ৫ শতাংশ সম্পত্তি। ইহার কাতে বিবাদীদের দ্বারা দখলকৃত ১ একর ৪০ শতাংশ নালিশি জমি উদ্ধার এবং দখলকারীদের উচ্ছেদ করার জন্য জেলা উপজেলার প্রশাসনকে চিঠির পর চিঠি দিলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, নোয়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ এর ওয়কফ এস্টেট সম্পত্তির মোতআল্লীর অনুমতি নিয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত দেখাশোনা করছেন। কিছুদিন দরে মৃত শহর আলীর ছেলে আব্দুল খালেক, আব্দুল হামিদ গং’রা ওই জমিতে দখলের পায়তারা চালায়। এ ঘটনায় ওয়াকফ উপজেলা প্রশাসন ও শ্রীপুর ভূমী কর্মকর্তা ওয়কফ এস্টেট সম্পত্তি সরেজমিনে তদন্ত করে সিমানা নির্ধারন করে জমি বুঝিয়ে দিয়ে যান । কিন্তু নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে দখলকারী আব্দুল খালেক, আব্দুল হামিদ গং’রা আইনের তোয়াক্কা না করে রাতের আধারে লোকজন ভাড়া করে অস্ত্র নিয়ে ওই জমিতে ঘর নির্মাণ শুরু করে। এবং এই জমির মালিকানা দাবি করে ও দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে ।

নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া বলেন, আমরা তাদের বাধা দিতে গেলে, তারা লাঠিসোটা নিয়ে আমাকে ও আমার বড় ভাইকে খুনের হুমকি দিয়ে ধাওয়া করে। কোন উপায় না পেয়ে বসতঘরে আশ্রয় নেই। এ সময় সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে হামলা চালিয়ে আমাকে ও আমার বড় ভাইকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে জখম করে। আমাদের চিৎকার শুনে লোকজন চলে আসলে তারা যেকোন ভাবে জমি দখল ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

ওয়কফ এস্টেট এর সভাপতি আব্দুল গফুর চৌধরী জানান, নোয়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ওয়কফ এস্টেট এর বৈধ মোতওয়াল্লী মোঃ হাইদুল ইসলাম এবং ওয়কফ এস্টেট এর মোট জমির পরিমান ৮একর ৫শাতাংশ, কিন্তু অব্যাহত রয়েছে ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রি ও আত্মসাৎ। ওয়াকফ এস্টেটের জমি এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ সমাজপতি পরস্পর যোগসাজশে নানা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছেন শত শত কোটি টাকা মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তি। দীর্ঘদিন ধরে এই জমির মালিকানা দাবি দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে দখলকারী আব্দুল খালেক, আব্দুল হামিদ গং’রা।নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে আব্দুল খালেক, আব্দুল হামিদ গং’রা বলেন, ওয়কফ এস্টেট এর জমির উপর আমাদের কোন দাবী নেই, আমাদের রেকট মূলে আমরা আমাদের জমিতে বসবাস করছি। ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগের ঘটনাটি সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট কথা। রেকট মূলে আমরা আমাদের জমি ভোগ-দখলে রয়েছি।

কাশেম আলীর ছেলে আতাউর রহমান জানান, ওয়কফ এস্টেট এর সম্পত্তি নিয়ে কোন বিরোধ নেই। অরজিনালি এই সম্পত্তির মালিক আমার দাদা,আমার দাদার নামে রেকট ও খারিজ রয়েছে, এই সম্পত্তি হাইদুল একক ভাবে আত্মসাৎ করে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। একই দাদার সম্পতির মালিক যদি হাইল হয় তাহলে আমরাও তো মালিক হইবো তাইনা?, তবে হাইদুল আমাদেরকে সম্পত্তির মালিকানা বুঝিয়ে দিতে চাচ্ছেনা। এর জন্য তার সাথে আমাদের জমি সংক্রন্ত বিরোধ চলছে। তবে বর্তমানে এই জমির বিয়ষটি ইনের মাধ্যমে রয়েছে। যা কিছু সমাধান হয় আইনের মাধ্যমেই ফয়সালা হবে।

গাজীপুর ওয়াকফ পরিদর্শক আউলাদ হোসেন বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তির বিষয়ে রেকট সংশোধনি মামলা করার পর জমি উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেছি স্থিতি অবস্থা বজায় রাখতে। কোন পক্ষ যাতে ওই সম্পত্তিতে কোন স্থাপনা না করে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার এএসঅই আঃ সামাদ জানান, নায়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ওয়কফ এস্টেট এর অনেক সম্পত্তির উপরে অনেকে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে দখল করে রেখেছে শত শত পরিবার। এই খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ সময় কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে নিষেধ করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শাস্ত রয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রেহেনা আকতার জানান, নায়াগাঁও উত্তর পাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ওয়কফ এস্টেট এর বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ জানাননি এবং এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।