ময়মনসিংহ ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অমানবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ তারামনি

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১০:৪৪:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ২৬২ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ সেলিম,ত্রিশাল থেকেঃ- ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা গোলাপ রবিদাস তার মেয়ে তারামনিকে সুখের আশায় বিয়ে দেয় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী এলাকার দ্বীনেস রবিদাসের ছেলে বিজয় রবিদাসের সাথে। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তার পাষন্ড স্বামী ।

অভিযোগে জানাগেছে গত-৮জুন ঘরের ভিতরে আটকে রেখে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাড়ীর পাশে ফেলে রাখে। এঘটনায় ঐদিন সন্ধ্যায় বাবার বাড়ীর লোকজন খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলার আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তারামনি (১৯) নামক ওই গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা  কে। স্বামী বিজয় রবিদাস (২৫) অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় তাঁর ওপর এই নির্যাতন চালানো হয় বলে শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন তার পিতা গোলাপ রবিদাস। জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারীতে বিজয় রবিদাস (২৫) এর সহিত তারামনি (১৯) এর বিবাহ হয়। চিনাশুখানিয়া গ্রামের রাজাবাড়ী ইউনিয়ন, শ্রীপুর উপজেলায়। বিয়ের পর থেকেইে তারা মনিকে যৌতুকের দাবিতে শারীরকি নির্যাতন শুরু করেন তাঁর স্বামী। দুই মাস ধরে বিজয় রবিদাস এক নারীর সঙ্গে সর্ম্পকে জড়িয় পড়েন। এ ঘটনা তারা মনি বুঝতে পেরে স্বামীকে শোধরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও বিজয় রবিদাস নিবৃত্ত হননি। এর জের ধরে গত ৮-৬-২০২২ বিজয় রবিদাস তাঁর স্ত্রীকে ঘরে আটকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীররে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হন তারামনি। এ অবস্থায়ই স্থানীয় মহিলা মেম্বার সহ স্বামীর বাড়ির পাশে থাকা লোকজন গোপনে তার বাবা গোলাপ রবিদাসকে মুঠোফোনে জানান। পরে দ্রুত তার বাবা গ্রামের কয়েক জন লোক নিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় শ্রীপুর আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করনে। অন্তসত্তা তারামনির অবস্থা আশংক্ষা জনক হওয়ায় আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
তারামনি গত-৮-৬-২০২২ হইতে ১৩-৬-২০২২ তারিখ পযর্ন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। এরপর গত মঙ্গলবার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পুত্র সন্তানের মা হন অন্তসত্তা তারামনি। উল্লেখ্য স্বামীর বাড়িতে থাকা অবস্থায় গত ৮ই জুন তারামনিকে তার পাষন্ড স্বামী বিজয় রবিদাস পেটে আঘাত করাই নবজাত শিশুর অবস্থা আশংকাজনক দেখা দেওয়াই দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশুটিকে কমিউনিটি বেজড্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারামনি জানান, আমি গত ৮জুন থেকে ১৩ই জুন পযর্ন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। কিন্ত আমার স্বামী চক্রান্ত মুলক ভাবে আমার বিরুদ্ধে ৯ই জুন গাজিপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। অথচ আমি সেই সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।
তারামনির বাবা জানান, যৌতুকের কারণে আমার মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় অমানবিক নির্যাতন করে তার স্বামী। আমি মেয়ের উপর নির্যাতনের খবর পেয়ে তাকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে স্থানিয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই এবং গাজিপুরের শ্রীপুর থানায় আমি বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

অমানবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ তারামনি

আপলোড সময়: ১০:৪৪:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

মোহাম্মদ সেলিম,ত্রিশাল থেকেঃ- ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা গোলাপ রবিদাস তার মেয়ে তারামনিকে সুখের আশায় বিয়ে দেয় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী এলাকার দ্বীনেস রবিদাসের ছেলে বিজয় রবিদাসের সাথে। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তার পাষন্ড স্বামী ।

অভিযোগে জানাগেছে গত-৮জুন ঘরের ভিতরে আটকে রেখে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাড়ীর পাশে ফেলে রাখে। এঘটনায় ঐদিন সন্ধ্যায় বাবার বাড়ীর লোকজন খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলার আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তারামনি (১৯) নামক ওই গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা  কে। স্বামী বিজয় রবিদাস (২৫) অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় তাঁর ওপর এই নির্যাতন চালানো হয় বলে শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন তার পিতা গোলাপ রবিদাস। জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারীতে বিজয় রবিদাস (২৫) এর সহিত তারামনি (১৯) এর বিবাহ হয়। চিনাশুখানিয়া গ্রামের রাজাবাড়ী ইউনিয়ন, শ্রীপুর উপজেলায়। বিয়ের পর থেকেইে তারা মনিকে যৌতুকের দাবিতে শারীরকি নির্যাতন শুরু করেন তাঁর স্বামী। দুই মাস ধরে বিজয় রবিদাস এক নারীর সঙ্গে সর্ম্পকে জড়িয় পড়েন। এ ঘটনা তারা মনি বুঝতে পেরে স্বামীকে শোধরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও বিজয় রবিদাস নিবৃত্ত হননি। এর জের ধরে গত ৮-৬-২০২২ বিজয় রবিদাস তাঁর স্ত্রীকে ঘরে আটকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীররে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হন তারামনি। এ অবস্থায়ই স্থানীয় মহিলা মেম্বার সহ স্বামীর বাড়ির পাশে থাকা লোকজন গোপনে তার বাবা গোলাপ রবিদাসকে মুঠোফোনে জানান। পরে দ্রুত তার বাবা গ্রামের কয়েক জন লোক নিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় শ্রীপুর আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করনে। অন্তসত্তা তারামনির অবস্থা আশংক্ষা জনক হওয়ায় আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
তারামনি গত-৮-৬-২০২২ হইতে ১৩-৬-২০২২ তারিখ পযর্ন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। এরপর গত মঙ্গলবার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পুত্র সন্তানের মা হন অন্তসত্তা তারামনি। উল্লেখ্য স্বামীর বাড়িতে থাকা অবস্থায় গত ৮ই জুন তারামনিকে তার পাষন্ড স্বামী বিজয় রবিদাস পেটে আঘাত করাই নবজাত শিশুর অবস্থা আশংকাজনক দেখা দেওয়াই দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশুটিকে কমিউনিটি বেজড্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারামনি জানান, আমি গত ৮জুন থেকে ১৩ই জুন পযর্ন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। কিন্ত আমার স্বামী চক্রান্ত মুলক ভাবে আমার বিরুদ্ধে ৯ই জুন গাজিপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। অথচ আমি সেই সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।
তারামনির বাবা জানান, যৌতুকের কারণে আমার মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় অমানবিক নির্যাতন করে তার স্বামী। আমি মেয়ের উপর নির্যাতনের খবর পেয়ে তাকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে স্থানিয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই এবং গাজিপুরের শ্রীপুর থানায় আমি বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।