ময়মনসিংহ ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামীর শিক্ষা ভাবনা

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৯:২৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ৩২৭ বার পড়া হয়েছে

নাজমুল আলম:- দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সব স্তরে দক্ষতার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নেই। এর বিপরীতে অপচয়ের হার কমিয়ে দক্ষতার মান বাড়াতে আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ দক্ষতা ও অপচয়কে রোধ করতে হবে, যাতে মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষৎ প্রজন্মকে সত্যিকারের মানবসম্পদে রূপান্তর করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে অভিভাবক ও শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যকার সঠিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করা আবশ্যক। মূল্যায়ন ও পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার সাধন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বের সব দিক অর্থাৎ স্বাস্থ্য, আচার-আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যাবোধ, সৃজনশীলতা ইত্যাদি বিবেচিত হয় এবং তথ্য সংগ্রহকরণ কৌশল ও বিশেষায়িত ফলাফলের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্ভব হয়। সিলেবাসকে অযথা কঠিন না করে তা শিক্ষার্থীর চাহিদা, বয়স, মেধা ও গ্রহণযোগ্যতা অনুযায়ী সহজ করা উচিত। দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা, দীর্ঘদিনের লালিত ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় চেতনা, বিশ্বাস এবং নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটিয়ে শিক্ষার্থীর জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন যাতে হয়, সেসব দিক বিবেচনায় রেখে পাঠ্যসূচি তৈরি করতে হবে এবং প্রয়োজনে বর্তমান পাঠ্যসূচি সংকোচন করতে হবে। দুর্বল বা কম মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা কিংবা স্কুলে আলাদা কোচিংয়ের মাধ্যমে তাদের দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে, ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর জন্য উপবৃত্তি বা বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে সক্ষম হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে শামিল হতে পারবে। শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে এটাই হওক আমাদের আগামী দিনের মুজিববর্ষের প্রত্যাশা।

লেখকঃ- (সিনিয়র শিক্ষক) ঝালপাজা উচ্চ বিদ্যালয়।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

আগামীর শিক্ষা ভাবনা

আপলোড সময়: ০৯:২৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

নাজমুল আলম:- দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সব স্তরে দক্ষতার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নেই। এর বিপরীতে অপচয়ের হার কমিয়ে দক্ষতার মান বাড়াতে আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ দক্ষতা ও অপচয়কে রোধ করতে হবে, যাতে মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষৎ প্রজন্মকে সত্যিকারের মানবসম্পদে রূপান্তর করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে অভিভাবক ও শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যকার সঠিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করা আবশ্যক। মূল্যায়ন ও পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার সাধন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বের সব দিক অর্থাৎ স্বাস্থ্য, আচার-আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যাবোধ, সৃজনশীলতা ইত্যাদি বিবেচিত হয় এবং তথ্য সংগ্রহকরণ কৌশল ও বিশেষায়িত ফলাফলের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্ভব হয়। সিলেবাসকে অযথা কঠিন না করে তা শিক্ষার্থীর চাহিদা, বয়স, মেধা ও গ্রহণযোগ্যতা অনুযায়ী সহজ করা উচিত। দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা, দীর্ঘদিনের লালিত ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় চেতনা, বিশ্বাস এবং নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটিয়ে শিক্ষার্থীর জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন যাতে হয়, সেসব দিক বিবেচনায় রেখে পাঠ্যসূচি তৈরি করতে হবে এবং প্রয়োজনে বর্তমান পাঠ্যসূচি সংকোচন করতে হবে। দুর্বল বা কম মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা কিংবা স্কুলে আলাদা কোচিংয়ের মাধ্যমে তাদের দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে, ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর জন্য উপবৃত্তি বা বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে সক্ষম হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে শামিল হতে পারবে। শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে এটাই হওক আমাদের আগামী দিনের মুজিববর্ষের প্রত্যাশা।

লেখকঃ- (সিনিয়র শিক্ষক) ঝালপাজা উচ্চ বিদ্যালয়।