ময়মনসিংহ ০১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“চুরির চুরি আবার সিনা জুড়ি”চোরের বিচার করায় বিচারকদের নামে মামলা

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১১:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
  • / ৭৮৯ বার পড়া হয়েছে

টি.আই সানি,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ- প্রচলিত প্রবাদ কথা আছে, চুরের মায়ের বড় গলা, আবার অনেকে বলে চুরির চুরি আবার সিনা জুড়ি, এই কথার প্রবাত ধরে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যোগীরসিট গ্রামে।

চুরির ঘটনায় রানা মিয়া নামে চা দোকান মালিক বাদি হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগ সুত্রে ও দোকান মালিক রানা মিয়া জানায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ১১ টার দিকে আমি দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই, পরের দিন সকালে দোকান খোলতে গিয়ে দেখি আমার দোকানের তালা কাটা ভেতরে প্রবেশ করে দেখি দোকানে থাকা ৩৩”ইঞ্চি এল ই ডি, বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট, চিনি, দুধ, চাউল, চায়েরপাতি, সাউন্ড বক্সসহ আনুমানিক ৬৮,৬০০ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ইউসুফকে এলাকাবাসি ও স্থানীয় মেম্বার জিজ্ঞাসা করিলে চুরির ঘটনা সিকার করেন। এবং এল ই ডি টিভি ইউসুফ মিয়া বের করে মেম্বারের নিকট জমা দিয়ে দিবেন বলে সিকার করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে ইউসুফের পিতা সিদ্দিক ও রমজান আলী সকলের সামনে অঙ্গীকার নামায় সাক্ষর ও করেন। অঙ্গীকার নামায় সাক্ষর করে সিদ্দিক মিয়া চলে যান। উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যোগীরসিট গ্রামের নুরুল হক মড়লের ছেলে আরিফ মড়ল, খলিল মিয়া, তমিজ উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন, রানা, শরিফ ও রমজানসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে ইউসুফের পিতা সিদ্দিক মিয়া বাদি হয়ে গাজীপুর জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

নুরুন্নাহার নামে এক মহিলা বলেন, সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ইউসুফ একজন চিহৃিত চোর, এলাকার অনেকের দোকান বাড়ি ঘরে চুরি করে ধরা খেয়েছে। ২৫/০৯/২০২২ ইং রাত ৩টার দিকে আমার তিনটা গরু চুরি হয়েছে আমার ধারনা সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ইউসুফ আমার গরু চুরি করে নিয়ে গেছে।

এবিষয়ে নুরুল হক মড়লের ছেলে আরিফ মড়ল বলেন, সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ইউসুফ আগে থেকেই চুরির পেশার সাথে জরিত, এলাকাতে অনেক বার চুরির বিচার সালিশ করা হয়েছে ইউসুফের নামে। এলাকাবাসি অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। ইউসুফের নামে একাদিক চুরির সালিশ বিচার কারা হয়েছে এবং এসব চুরির বিষয়ে প্রতিবাদ করার কারনে আমাদের নামে মামলা দিয়েছে যা সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য মুলক এবং সমাজে মান সম্মান নষ্ট করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়েছে এলাকাবাসি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে দোষিদের বিচার দাবি করছেন।স্থানীয় এলাকা বাসি জানান, চোরকে হাতে নাতে ধরার পর স্থানীয় ভাবে বিচার বসে সেই বিচারে সকলের উপস্থিতিতে অঙ্গীকার নামাও লিখা হয়। সেই অঙ্গীকার নামার মাধ্যমে চোরের পরিবার চুরির ঘটনা শিকার করে নেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্ন ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিত গত (১২ সেপ্টেম্বর ) চার লক্ষ পঁচাশি হাজার টাকা জরিমানা বাবদ স্থানীয় মেম্বারের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ শালিসে উপস্থিত গণ্যমান্ন ব্যক্তিবর্গরা। এবং ওই শালিসে ইউসুফের পিতা সিদ্দিক ও তার ভাই রমজান সাত দিনের সময় চেয়ে নেন।

এর পর ইউসুফের পিতা সিদ্দিক মিয়া বাদি হয়ে বিচারকদের ও এলাকাবাসির অনেকের নামে গাজীপুর জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

এবিষয়ে সিদ্দিক মিয়ার বাড়িতে গেলে তাদের কাওকেই বাড়িতে পাওয়া যায়নি। সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ইউসুফ পলাতক রয়েছে। বাড়িতে গিয়েও তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

“চুরির চুরি আবার সিনা জুড়ি”চোরের বিচার করায় বিচারকদের নামে মামলা

আপলোড সময়: ১১:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

টি.আই সানি,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ- প্রচলিত প্রবাদ কথা আছে, চুরের মায়ের বড় গলা, আবার অনেকে বলে চুরির চুরি আবার সিনা জুড়ি, এই কথার প্রবাত ধরে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যোগীরসিট গ্রামে।

চুরির ঘটনায় রানা মিয়া নামে চা দোকান মালিক বাদি হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগ সুত্রে ও দোকান মালিক রানা মিয়া জানায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ১১ টার দিকে আমি দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই, পরের দিন সকালে দোকান খোলতে গিয়ে দেখি আমার দোকানের তালা কাটা ভেতরে প্রবেশ করে দেখি দোকানে থাকা ৩৩”ইঞ্চি এল ই ডি, বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট, চিনি, দুধ, চাউল, চায়েরপাতি, সাউন্ড বক্সসহ আনুমানিক ৬৮,৬০০ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ইউসুফকে এলাকাবাসি ও স্থানীয় মেম্বার জিজ্ঞাসা করিলে চুরির ঘটনা সিকার করেন। এবং এল ই ডি টিভি ইউসুফ মিয়া বের করে মেম্বারের নিকট জমা দিয়ে দিবেন বলে সিকার করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে ইউসুফের পিতা সিদ্দিক ও রমজান আলী সকলের সামনে অঙ্গীকার নামায় সাক্ষর ও করেন। অঙ্গীকার নামায় সাক্ষর করে সিদ্দিক মিয়া চলে যান। উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যোগীরসিট গ্রামের নুরুল হক মড়লের ছেলে আরিফ মড়ল, খলিল মিয়া, তমিজ উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন, রানা, শরিফ ও রমজানসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে ইউসুফের পিতা সিদ্দিক মিয়া বাদি হয়ে গাজীপুর জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

নুরুন্নাহার নামে এক মহিলা বলেন, সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ইউসুফ একজন চিহৃিত চোর, এলাকার অনেকের দোকান বাড়ি ঘরে চুরি করে ধরা খেয়েছে। ২৫/০৯/২০২২ ইং রাত ৩টার দিকে আমার তিনটা গরু চুরি হয়েছে আমার ধারনা সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ইউসুফ আমার গরু চুরি করে নিয়ে গেছে।

এবিষয়ে নুরুল হক মড়লের ছেলে আরিফ মড়ল বলেন, সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ইউসুফ আগে থেকেই চুরির পেশার সাথে জরিত, এলাকাতে অনেক বার চুরির বিচার সালিশ করা হয়েছে ইউসুফের নামে। এলাকাবাসি অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। ইউসুফের নামে একাদিক চুরির সালিশ বিচার কারা হয়েছে এবং এসব চুরির বিষয়ে প্রতিবাদ করার কারনে আমাদের নামে মামলা দিয়েছে যা সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য মুলক এবং সমাজে মান সম্মান নষ্ট করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়েছে এলাকাবাসি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে দোষিদের বিচার দাবি করছেন।স্থানীয় এলাকা বাসি জানান, চোরকে হাতে নাতে ধরার পর স্থানীয় ভাবে বিচার বসে সেই বিচারে সকলের উপস্থিতিতে অঙ্গীকার নামাও লিখা হয়। সেই অঙ্গীকার নামার মাধ্যমে চোরের পরিবার চুরির ঘটনা শিকার করে নেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্ন ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিত গত (১২ সেপ্টেম্বর ) চার লক্ষ পঁচাশি হাজার টাকা জরিমানা বাবদ স্থানীয় মেম্বারের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ শালিসে উপস্থিত গণ্যমান্ন ব্যক্তিবর্গরা। এবং ওই শালিসে ইউসুফের পিতা সিদ্দিক ও তার ভাই রমজান সাত দিনের সময় চেয়ে নেন।

এর পর ইউসুফের পিতা সিদ্দিক মিয়া বাদি হয়ে বিচারকদের ও এলাকাবাসির অনেকের নামে গাজীপুর জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

এবিষয়ে সিদ্দিক মিয়ার বাড়িতে গেলে তাদের কাওকেই বাড়িতে পাওয়া যায়নি। সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ইউসুফ পলাতক রয়েছে। বাড়িতে গিয়েও তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।