বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপাচার্যের সৌজন্য সাক্ষাৎ

- আপলোড সময়: ০৭:৩০:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২
- / ২২৫ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ সেলিম,ত্রিশাল ময়মনসিংহঃ- বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মেজবাহ উদ্দিন গত ২১ সেপ্টেম্বর পুনরায় আবারও চার বছরের জন্য বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। পুনরায় নিয়োগ পাওয়ায় তার সাথে রোববার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার রাজধানীর মিন্টু রোডস্থ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যনের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। সাক্ষাতে প্রফেসর ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একান্ত বৈঠকে তারা উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষতার মাধ্যমে টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কীভাবে তরান্বিত করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।চেয়ারম্যানকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত করে শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। উপাচার্য বলেন, ‘আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক মানসম্মত স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যেখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা আমাদের চতুর্থ শিল্পবিল্পবের অগ্রযাত্রায় নেতৃত্বের মশাল বহন করার মতো দক্ষ হবে। এ সময় উপাচার্য প্রফেসর ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশরীরে ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান। শিক্ষা-গবেষণা ও উন্নয়ন-এই তিন মূলমন্ত্রকে সামনে নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গৃহীত বিভিন্ন কর্মকান্ডকে স্বাগত জানান অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গুণগত মান উন্নয়নে যেকোন ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন, নিয়ত পরিবর্তনশীল এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিশ্ব-অর্থনীতিতে যে কোন দেশের টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অনেকাংশে জ্ঞান, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী সক্ষমতার উপর নির্ভর করে। মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা জ্ঞান, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী সক্ষমতার ভিত্তি রচনা করে। বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির বহুমুখী সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি টেকসই ও মজবুত করার জন্য উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন অপরিহার্য। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৭ এর অধীনে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। আইনটি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হয় এবং রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে। ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কার্যক্রমসমূহ অ্যাক্রেডিট করতে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। এ উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আন্তর্জাতিক কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স নেটওয়ার্কের সাথে সহযোগিতা ও সংগতি রেখে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কার্যক্রমের মানদন্ড নির্ধারণ করবে। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।