নিন্মমানের খাবার ব্যবহারে ভালুকায় এক খামারীর ২০ লাখ টাকার মাছের ক্ষতির অভিযোগ

- আপলোড সময়: ১০:৪৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২
- / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:- ময়মনসিংহের ভালুকায় নিন্মমানের ফিসফিড ব্যবহার করে এক খামারির প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ফিডমিলের মালিককে জানানো হলে উল্টো হুমকী দেয়া হচ্ছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক জানান। ঘটনাটি উপজেলার কাচিনা গ্রামের দক্ষিণপাড়ায়। এ ঘটনায় নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগসহ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাচিনা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মো: রফিকুল ইসলাম তার নিজস্ব ২০ কাঠা জমিতে তিনটি খামারে সম্প্রতি ২০ হাজার পাঙ্গাসও ৫০ হাজার বিভিনś প্রজাতীয় দেশী মাছের চাষ করেন। প্রথমে তিনি সিটি গ্রæপের খাবার ব্যবহার করেন এবং পাঙ্গাস মাছগুলো ৯০০ গ্রাম ওজনের হয়। কিন্তু হঠাৎ আর্থিক সংকটে পড়ায় তিনি স্থানীয় এমএসএসএস ফিড মিলের মালিক মুরাদ সরকার বিপ্লবের সাথে কথা বলেন। এ সময় তিনি ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ভালুকা শাখার চেক বইয়ের দু’টি পাতা মিল মালিককে দিয়ে নগদ ও বাকিতে খাবার এনে মাছের খামারে ব্যবহার শুরু করেন। কিছুদিন খাবার ব্যবহার করার পর খামারের পানি ও নিচের পলিমাটি কালচে রং ধারণ করে এবং মাছগুলো মরে গিয়ে ভেসে উঠতে শুরু করে। এ ভাবে পর্যায়ক্রমে খামারের মাছগুলো শুকিয়ে প্রায় বেশিরভাগ মাছ মরে গিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে যায়। খামার মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, এমএসএসএস ফিড মিলের খাবারগুলো খুবই নিন্মমানের এবং মাটি দিয়ে তৈরী। যা ওই মিলের এক কর্মচারীও স্বীকার করেছেন। খাবার ব্যবহার করার কারণে তার খামারের মাছগুলো এক কেজি থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনে নেমে আসে এবং পর্যায়ক্রমে মরে গিয়ে ভেসে উঠে। তাছাড়া খামারের পানিসহ নিচের পলিমাটি কালচে রং ধারণ করে। এতে তার প্রায় ২০লাখ টাকার ক্ষতি হয়। বিষয়টি মিল মালিককে জানানোর পর প্রথমে লোক পাঠিয়ে খামারটি পরিদর্শণ করে ঘটনার সত্যতা পান। তারপরও ওই সময় মিল মালিককে বকেয়া দুই লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু ক্ষতির ব্যাপারে কোন আলোচনা না করে পাওনা টাকার জন্য তার উপর চাপ সৃষ্টি করেন। এমনকি অতি দ্রুত পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে মিথ্যে মামলাসহ খুন জখমের হুমকী দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগসহ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী (নম্বর-১৩১৯, তারিখ-২৫/০৯/২০২২) করা হয়েছে।একই সাথে খামারের পানি ও মাটি পরীক্ষার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করা হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত খামারী জানান।
এ ব্যাপারে এমএসএসএস ফিড মিলের মালিক মুরাদ সরকার বিপ্লবের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, তার পাওনা টাকা পরিশোধ না করে, অন্য কোম্পানীর খাবার ব্যবহার করার কারনে তার মাছের ক্ষতি করেছে। শামীম নামে এক ডাক্তার পাঠিয়ে ঘটনাটি জানতে পারেন। ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, ব্যবসায়ী লেনদেন বিষয়ে হুমকীর ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী হয়েছে।