ময়মনসিংহ ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভালুকায় আশ্রয়ণের ঘর পেয়েও থাকছেননা অনেকে

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৭:২৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪৯১ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ- ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রধান মন্ত্রীর দেয়া উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনেক ঘরে লোকজন না থাকায় তালাবদ্ধ খালি পরে থাকে।

সরজমিন কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়। রাজৈ ইউনিয়নের বাঘেরপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩০টি ঘরের মধ্যে ১২ টি ঘরে লোকজন থাকলেও ১৮ টি খালি পরে রয়েছে। হবিরবাড়ী ইউনিয়নের কড়ইতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২০ টি ঘর রয়েছে। বাসিন্দারা জানান জনৈক হীরনের নামে একটি ঘর বরাদ্ধ হওয়ার পর একদিনের জন্যও তিনি ওই ঘরে যাননি। এক বছর খালি পরে থাকার পর ওই ঘরে স্বামী পরিত্যাক্তা রহিমা নামে এক মহিলা বর্তমানে বসবাস করছেন। ওই প্রকল্পে মোফাজ্জল নামে একজন ঘর পেলেও তিনিও কোনদিন তার ঘরে যাননি বলে বাসিন্দারা জানান। ওই ঘরে সম্প্রতি জুবেদ আলী (৭০) নামে একজন বৃদ্ধ বাস করছেন। একই প্রকল্পে রেহেনা নামে একজন ঘর মালিক মারা যাওয়ায় ওই প্রকল্পের অপর ঘর মালিক পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও উপজেলার জালাল উদ্দীন তার ছেলে শিহাবকে ঘরে উঠিয়ে দেয়। একই ইউনিয়নে হবিরবাড়ী অন্য একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২১ টি ঘর রয়েছে। এখানকার বাসিন্দারা জানান বেগম, শামছুদ্দিন, মাজেদা, আঃ বাতেন ও রহিম উদ্দীন তাদের ঘরে থাকেননা। এদের মধ্যে দু’একজন অনেকদিন পর হটাৎ এসে তালাখুলে কিছু সময় থেকে আবার চলে যান তারা। মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের ভায়াবহ গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২১ টি ঘরের মধ্যে ঝর্ণা রানী নামে একজন মহিলা প্রায় এক বছর যাবৎ থাকেননা বলে অন্যান্য ঘর মালিকরা জানান। আরেকটি ঘর সম্পুর্ণ খালি পরে রয়েছে। ভালুকার ভরাডোবা ইউনিয়নের রাংচাপড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে গেলে বাসিন্দারা জানান ১২ টি ঘরের মধ্যে তিনটি ঘর সারা বছর তালাবদ্ধ থাকে। এসব ঘর মালিকরা হলো ভাঁটগাঁও গ্রামের লোকমান মিয়া, রাংচাপড়া গ্রামের আবু মিয়া ও একই গ্রামের আজাহার মিয়া। বাসিন্দাদের অভিযোগ আজাহারের জমি ও দালান বাড়ি রয়েছে। ভালুকা ইউনিয়নের নিশাইগঞ্জ আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ৭ টি ঘরের মধ্যে ৪টি পরিবার নিয়মিত বসবাস করছেন। ভালুকা পৌর এলাকার আলাউদ্দীন ও নিশাইগঞ্জ গ্রামের শাহজাহান মিয়া দু’জনের নামে দুটি ঘরে তারা একদিনও বসবাস করেননি। একই ভেনুতে ভালুকা পৌর এলাকার জনৈক বাবুল মিয়ার ঘরটিতে তিনি মাঝেমধ্যে গিয়ে থাকেন। কাচিনা ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘর ৩০ টি। বাসিন্দারা জানায় আলাউদ্দীন ও তার দুই ছেলে বুলু মিয়া ও তোফাজ্জল তিন জনের নামে তিনটি ঘর বরাদ্ধ হয়েছে। একটি ঘরে আলাউদ্দীন থাকলেও ছেলেদের দুটি ঘর তালাবদ্ধ । এ ছারা আনন্যা খাতুন নামে এক মহিলার নামে বরাদ্ধকৃত ঘরটি তালাবদ্ধ। তিনি নিজ বাড়িতে থাকেন বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। ভালুকায় তিন ধাপে ৩২৪ টি (ক শ্রেণীর) পরিবারকে প্রধান মন্ত্রীর দেয়া উপহার ঘর দিয়ে পুণর্বাসিত করা হলেও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে প্রকৃত ভূমি ও গৃহহীনদের না দেয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনেক ঘর খালি পরে আছে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

ভালুকায় আশ্রয়ণের ঘর পেয়েও থাকছেননা অনেকে

আপলোড সময়: ০৭:২৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ- ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রধান মন্ত্রীর দেয়া উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনেক ঘরে লোকজন না থাকায় তালাবদ্ধ খালি পরে থাকে।

সরজমিন কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়। রাজৈ ইউনিয়নের বাঘেরপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩০টি ঘরের মধ্যে ১২ টি ঘরে লোকজন থাকলেও ১৮ টি খালি পরে রয়েছে। হবিরবাড়ী ইউনিয়নের কড়ইতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২০ টি ঘর রয়েছে। বাসিন্দারা জানান জনৈক হীরনের নামে একটি ঘর বরাদ্ধ হওয়ার পর একদিনের জন্যও তিনি ওই ঘরে যাননি। এক বছর খালি পরে থাকার পর ওই ঘরে স্বামী পরিত্যাক্তা রহিমা নামে এক মহিলা বর্তমানে বসবাস করছেন। ওই প্রকল্পে মোফাজ্জল নামে একজন ঘর পেলেও তিনিও কোনদিন তার ঘরে যাননি বলে বাসিন্দারা জানান। ওই ঘরে সম্প্রতি জুবেদ আলী (৭০) নামে একজন বৃদ্ধ বাস করছেন। একই প্রকল্পে রেহেনা নামে একজন ঘর মালিক মারা যাওয়ায় ওই প্রকল্পের অপর ঘর মালিক পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও উপজেলার জালাল উদ্দীন তার ছেলে শিহাবকে ঘরে উঠিয়ে দেয়। একই ইউনিয়নে হবিরবাড়ী অন্য একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২১ টি ঘর রয়েছে। এখানকার বাসিন্দারা জানান বেগম, শামছুদ্দিন, মাজেদা, আঃ বাতেন ও রহিম উদ্দীন তাদের ঘরে থাকেননা। এদের মধ্যে দু’একজন অনেকদিন পর হটাৎ এসে তালাখুলে কিছু সময় থেকে আবার চলে যান তারা। মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের ভায়াবহ গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২১ টি ঘরের মধ্যে ঝর্ণা রানী নামে একজন মহিলা প্রায় এক বছর যাবৎ থাকেননা বলে অন্যান্য ঘর মালিকরা জানান। আরেকটি ঘর সম্পুর্ণ খালি পরে রয়েছে। ভালুকার ভরাডোবা ইউনিয়নের রাংচাপড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে গেলে বাসিন্দারা জানান ১২ টি ঘরের মধ্যে তিনটি ঘর সারা বছর তালাবদ্ধ থাকে। এসব ঘর মালিকরা হলো ভাঁটগাঁও গ্রামের লোকমান মিয়া, রাংচাপড়া গ্রামের আবু মিয়া ও একই গ্রামের আজাহার মিয়া। বাসিন্দাদের অভিযোগ আজাহারের জমি ও দালান বাড়ি রয়েছে। ভালুকা ইউনিয়নের নিশাইগঞ্জ আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ৭ টি ঘরের মধ্যে ৪টি পরিবার নিয়মিত বসবাস করছেন। ভালুকা পৌর এলাকার আলাউদ্দীন ও নিশাইগঞ্জ গ্রামের শাহজাহান মিয়া দু’জনের নামে দুটি ঘরে তারা একদিনও বসবাস করেননি। একই ভেনুতে ভালুকা পৌর এলাকার জনৈক বাবুল মিয়ার ঘরটিতে তিনি মাঝেমধ্যে গিয়ে থাকেন। কাচিনা ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘর ৩০ টি। বাসিন্দারা জানায় আলাউদ্দীন ও তার দুই ছেলে বুলু মিয়া ও তোফাজ্জল তিন জনের নামে তিনটি ঘর বরাদ্ধ হয়েছে। একটি ঘরে আলাউদ্দীন থাকলেও ছেলেদের দুটি ঘর তালাবদ্ধ । এ ছারা আনন্যা খাতুন নামে এক মহিলার নামে বরাদ্ধকৃত ঘরটি তালাবদ্ধ। তিনি নিজ বাড়িতে থাকেন বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। ভালুকায় তিন ধাপে ৩২৪ টি (ক শ্রেণীর) পরিবারকে প্রধান মন্ত্রীর দেয়া উপহার ঘর দিয়ে পুণর্বাসিত করা হলেও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে প্রকৃত ভূমি ও গৃহহীনদের না দেয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনেক ঘর খালি পরে আছে।