ময়মনসিংহ ০৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় সংসদের উপ-নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০২:১০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ সেলিম,ত্রিশাল থেকেঃ- ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় সংসদের উপনেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

তিনি মরহুমার রুহের রুহের আত্বার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাজেদা চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রেখেছেন। তাঁর ছিল বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পথচলা। দেশের যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে তাঁর অসীম সাহসিকতা ও আপসহীন নেতৃত্ব জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ভিত্তি সুদৃঢ় রাখতে তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তাঁর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হলো। উল্লেখ্য, রোববার ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সংসদ উপনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি ৩ ছেলে ও এক মেয়েসহ আত্মীয়-¯স্বজন রেখে গেছেন।
আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের এই কান্ডারী দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন।
সাজেদা চৌধুরী ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সময়ে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭২-১৯৭৫ সময়ে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬-১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও তিনি পালন করছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি ফরিদপুরের কৃষাণপুর ইউনিয়ন (ফরিদপুর-২; নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ী হন। দশম সাধারণ নির্বাচনেও তিনি এ অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১০ সালে সাজেদা চৌধুরী স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

জাতীয় সংসদের উপ-নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক

আপলোড সময়: ০২:১০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

মোহাম্মদ সেলিম,ত্রিশাল থেকেঃ- ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় সংসদের উপনেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

তিনি মরহুমার রুহের রুহের আত্বার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাজেদা চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রেখেছেন। তাঁর ছিল বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পথচলা। দেশের যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে তাঁর অসীম সাহসিকতা ও আপসহীন নেতৃত্ব জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ভিত্তি সুদৃঢ় রাখতে তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তাঁর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হলো। উল্লেখ্য, রোববার ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সংসদ উপনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি ৩ ছেলে ও এক মেয়েসহ আত্মীয়-¯স্বজন রেখে গেছেন।
আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের এই কান্ডারী দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন।
সাজেদা চৌধুরী ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সময়ে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭২-১৯৭৫ সময়ে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬-১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও তিনি পালন করছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি ফরিদপুরের কৃষাণপুর ইউনিয়ন (ফরিদপুর-২; নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ী হন। দশম সাধারণ নির্বাচনেও তিনি এ অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১০ সালে সাজেদা চৌধুরী স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।