বিশেষ প্রতিনিধিঃ- ময়মনসিংহের ভালুকা পৌর এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার পৌর মেয়রসহ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, ভালুকা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্বপাশে নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ভালুকা মৌজার সাবেক ৩৭১ ও ৩৭৩ নম্বর দাগে মনোরঞ্জন সরকার গংয়ের সাথে সুধাংশু সরকার গংদের ৬৬ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে জেলার তৃতীয় যুগ্ম জজ আদালতে তিন বছর ধরে মামলা (নম্বর-১৮/২০১৫) চলমান এবং মামলার বাদির আর্জির প্রেক্ষিতে ২৪ মে ২০১৬ সালে উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্তায় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে ভালুকা পৌরকর্তৃপক্ষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাত্র তিন চারটি পরিবারের জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে ১৩ ফুট প্রস্থ ও ৩৫০ ফুট দৈর্ঘের এইচবিবি রাস্তার দরপত্র আহবান করেন। পরে কাজটির কার্যাদেশ পান ঠিকাদার আশরাফ খান। কিন্তু জমির মালিকদের বাঁধার পরও রাতের আঁধারে একদল লোক নিয়ে নিন্মমানের ইট ব্যবহার করে রাস্তার নির্মান কাজ করে যাচ্ছেন।
ইটের মানের বিষয়ে রাজমিস্ত্রির সরদার মজিবুর রহমান জানান, ভালো ইট পাওয়া যায়নি। তবে এটা কয় নম্বর ইট তা বলতে পারবেন বলে জানান।
জমির মালিক সুধাংশু সরকারের ভাতিজা তমাল কান্তি সরকার জানান, মামলার বাদি মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে বিজন কুমার সরকার ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ূন কবিরের নেতৃত্বে শতাধিক ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে রাতের আঁধারে রাস্তার কাজ করেন। এ ব্যাপারে মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজে বাঁধা দিয়ে আসলেও কাজটি চলমান আছে। এতে তাদের প্রায় কোটি টাকা মূল্যের তিন শতাংশ জমি রাস্তায় চলে গেছে।
মামলার বাদির ছেলে বিজন কুমার সরকার ও কাউন্সিলর হুমায়ূন কবিরের মোবাইল নম্বরে কথা বলার চেষ্টা করলে ফোন দু’টি বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
ঠিকাদার আশরাফ খান জানান, পৌরকর্তৃপক্ষের নির্দেশে কার্যাদেশ পেয়ে ৩৫০ ফুট এইচবিবি রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। তবে জমির মালিকদের মাঝে বিরোধ থাকায় আপাতত ৬০ ফিট রাস্তার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ পাঠিয়ে কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
ভালুকা পৌরমেয়র ডা. একেএম মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ূম’র সাথে কথা বলার জন্য পৌরসভায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করলে, ফোনটি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।