ময়মনসিংহ ১১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমি নিয়ে বিরোধে দুই নারীকে পিটিয়ে জখম

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৪:১৮:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
  • / ২২৪ বার পড়া হয়েছে

টি.আই সানি,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ- গাজীপুরের শ্রীপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে রোকসানা নামে এক নারীকে মারধর করে শ্লীলতাহানী ও পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ স্কুল মাষ্টারের বিরুদ্ধে। এঘটনায় মুমিনা আক্তার (৩৫) নামে আরও এক নারী আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধা ৬টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যুগিরছিট গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত রোকসানা নামে নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।আহত গৃহবধূ রোকসানা ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছলে নুর ইসলাম মাষ্টারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাদিবার বিচার শালিস করেও কোন সমাধনে আসতে পারেনি এলাকাবাসী। ঘটনার দিন (শনিবার) দুপুরে বিরোধপূর্ণ জমিতে  প্রতিপক্ষ কাজ শুরু করেন। এ সময়ে বাধা দেয়া হয়। পরে স্কুল মাষ্টার উত্তেজিত হয়ে ওই নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানী ও পিটিয়ে জখম করেছে ।

এ খবর পেয়ে আশপাশের লোক জন বাধা দিলে ওই মাষ্টার মুমিনা আক্তারকেও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্বজনরা রোকসানাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন।

আহত মুমিনা বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে নুরুল মাষ্টার আমাকে এবং রোকসানাকে শ্লিলতাহানির চেষ্টার করে পরে এর প্রতিবাদ করায় দুজনকেই পিটিয়ে আহত করেছে নুরুল মাষ্টার। এ ঘটনায় রোকসানা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন । থানায় অভিযোগ করায়  নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে দাবি করেন ঐ গৃহবধূ।

মিরু শেখের ছেলে আবু সাঈদ বলেন, এর আগেও অনেকবার নুর ইসলাম মাষ্টার আমাদেরকে মারধোর করেছে। এবং আমাদের জমি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এবং তার এক আত্মীয় পুলিশে চাকরী করে তাকে দিয়ে আমাদেরকে ফোন করে হুমকি দেয় প্রতিনিয়তই। আমরা রিব মানুষ কাজ করে খাই। ভয়ে আমরা নুর মাষ্টারকে কিছুই বলতে পারিনা।অভিযুক্ত নুর ইসলাম মাষ্টার মারধোরের ঘটনা স্বিকার করে বলেন, আমার ওই বাড়িতে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। ওরা আমাকে মারধর করেছে। তেমন কোন মারামারি হয়নি এবং অন্যকোন ঘটনা ঘটেনি। আমার  বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে সেটা মিথ্যা।

এবিষয়ে কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মমিনুল কাদের মেম্বারের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার এস.আই সাদিক হোসেন বলেন, গৃহবধূর লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

জমি নিয়ে বিরোধে দুই নারীকে পিটিয়ে জখম

আপলোড সময়: ০৪:১৮:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২

টি.আই সানি,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ- গাজীপুরের শ্রীপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে রোকসানা নামে এক নারীকে মারধর করে শ্লীলতাহানী ও পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ স্কুল মাষ্টারের বিরুদ্ধে। এঘটনায় মুমিনা আক্তার (৩৫) নামে আরও এক নারী আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধা ৬টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যুগিরছিট গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত রোকসানা নামে নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।আহত গৃহবধূ রোকসানা ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছলে নুর ইসলাম মাষ্টারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাদিবার বিচার শালিস করেও কোন সমাধনে আসতে পারেনি এলাকাবাসী। ঘটনার দিন (শনিবার) দুপুরে বিরোধপূর্ণ জমিতে  প্রতিপক্ষ কাজ শুরু করেন। এ সময়ে বাধা দেয়া হয়। পরে স্কুল মাষ্টার উত্তেজিত হয়ে ওই নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানী ও পিটিয়ে জখম করেছে ।

এ খবর পেয়ে আশপাশের লোক জন বাধা দিলে ওই মাষ্টার মুমিনা আক্তারকেও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্বজনরা রোকসানাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন।

আহত মুমিনা বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে নুরুল মাষ্টার আমাকে এবং রোকসানাকে শ্লিলতাহানির চেষ্টার করে পরে এর প্রতিবাদ করায় দুজনকেই পিটিয়ে আহত করেছে নুরুল মাষ্টার। এ ঘটনায় রোকসানা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন । থানায় অভিযোগ করায়  নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে দাবি করেন ঐ গৃহবধূ।

মিরু শেখের ছেলে আবু সাঈদ বলেন, এর আগেও অনেকবার নুর ইসলাম মাষ্টার আমাদেরকে মারধোর করেছে। এবং আমাদের জমি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এবং তার এক আত্মীয় পুলিশে চাকরী করে তাকে দিয়ে আমাদেরকে ফোন করে হুমকি দেয় প্রতিনিয়তই। আমরা রিব মানুষ কাজ করে খাই। ভয়ে আমরা নুর মাষ্টারকে কিছুই বলতে পারিনা।অভিযুক্ত নুর ইসলাম মাষ্টার মারধোরের ঘটনা স্বিকার করে বলেন, আমার ওই বাড়িতে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। ওরা আমাকে মারধর করেছে। তেমন কোন মারামারি হয়নি এবং অন্যকোন ঘটনা ঘটেনি। আমার  বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে সেটা মিথ্যা।

এবিষয়ে কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মমিনুল কাদের মেম্বারের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার এস.আই সাদিক হোসেন বলেন, গৃহবধূর লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।