খলিলুর রহমান,বিশেষ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ীর ঘনবসতিপূর্ণ ও শিল্প এলাকায় প্রস্তাবিত ইকোপার্ক চায়না সাধারণ মানুষ। ঘনবসতিপূণ ও শিল্প এলাকায় ইকোপার্কের প্রস্তাব করায় ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন সাধারণ মানুষ। ইকোপার্ক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে, হবিরবাড়ীর সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ, তাদের দাবী ইকোপার্ক নয়, হবিরবাড়ী, জামিরদিয়া ও মনোহরপুর মৌজায় বি আর এস পর্চা দ্রুত জনগণের মাঝে বিতরণ করা হোক। সাধারণ মানুষের দাবী, হবিরবাড়ী ইউনিয়ন শিল্পএলাকা হিসেবে পরিচিত এখানে ইকোপার্ক নয় কিভাবে আরো বেশি শিল্প-কারখানা স্থাপন করে একদিকে বেকার সমস্যার সমাধান ও অপরদিকে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা যায় সেদিকে নজর দিলে সেটি দেশের জন্য আরো অনেক বেশি মঙ্গল জনক হবে। উল্লেখ্য গত ১৪ জুলাই প্রস্তাবিত হবিরবাড়ী ইকোপার্ক এলাকা পরির্দশন করেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। মন্ত্রীর পরিদর্শনের পর বিষয়টি সামনে আসে সাধারণ মানুষের। এর পর পরই ক্ষুব্দ হয়ে উঠে হবিরবাড়ীর সাধারণ মানুষ। গত ১৮ জুলাই প্রস্তাবিত হবিরবাড়ী ইকোপার্ক বন্ধ ও বাপ-দাদার ভিটে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করে হবিরবাড়ী ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। সাধারণ মানুষের ওই মানববন্ধনে একাত্বতা প্রকাশ করেন হবিরবাড়ীর সকল পর্যায়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইকোপার্ক নয় অবিলম্বে বি.আর. এস পর্চা সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করতে হবে। ২২ জুলাই থেকে প্রস্তাবিত ইকোপার্কের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে গণ-স্বাক্ষর কর্মসূচি চালু করেছে এলাবাসী। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরাও ইকোপার্ক চাই তবে, একটি ঘণবসতিপূর্ণ উঠতি শিল্প এলাকায় নয়। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে হবিরবাড়ীতে অবস্থিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান গুলো দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখছে। আমি মনে করি এই এলাকায় শিল্প বিকাশের মাধ্যমে কিভাবে আরো বেশি কর্মসংস্থান সৃস্টি করে বেকার সমস্যা সমাধান করা যায় এবং দেশের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করা যায় আমাদের সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। মানববন্ধনে একাত্বতা প্রকাশ করে ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ বলেন, হবিরবাড়ী ইকোপার্ক স্থাপনের প্রস্তাব কারা করেছে, কিভাবে করেছে এবিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য বা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অবগত নয়। উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, হবিরবাড়ী, জামিরদিয়া ও মনোহরপুর মৌজায় বি আর এস পর্চা বিতরণ রহস্যজনক কারনে বন্ধ রয়েছে। বি আর এস পর্চা জমির মালিকদের মাঝে বিতরণের জন্য স্থানীয় সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু ইতি মধ্যে সংসদে প্রস্তাব করেছেন। যেখানে বিআরএস পর্চা পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে, সেখানে বি.আর.এস পর্চা বিতরণ বন্ধ রেখে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ইকোপার্কের প্রস্তাব একটি নীল নকশা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ঘনবসতিপূর্ণ শিল্পএলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টির পায়তারা করা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে ইকোপার্কের প্রস্তাবনা তৈরী করলে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতোনা। সাধারণ মানুষের জমির মালিকনা যাচাই-বাচাই করে চাষের জমি, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বাদ রেখে সরকারী জমিতে ইকোপার্ক হলে কারো কোন আপত্তি থাকবেনা। হবিরবাড়ীর সাধারণ মানুষের বক্তব্য, আমাদের বাপ-দাদা প্রায় শত বছর পূর্বে হবিরবাড়িতে বসবাস শুরু করে। আমাদের বাপ-দাদার কবর রয়েছে এখানে। আমরা এই ইকোপার্ক চাইনা।