সংবাদ শিরোনাম :
ভালুকায় ককটেল ফাটিয়ে সোনার দোকানে ডাকাতি অস্ত্রের মুখে ২৫০ ভরি সোনা লুট
দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
- আপলোড সময়: ০৫:৩৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২
- / ২৪৭ বার পড়া হয়েছে
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ- ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রাইভেটকারে এসে ককটেল ফাটিয়ে সোনার দোকানের লোকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় ২৫০ ভরি সোনা লুট করে নিয়ে গেছে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাদল। এ সময় ডাকাতদলের হামলায় দোকান মালিক অধীর কর্মকার গুরুতর আহত হন। আহত দোকান মালিককে উদ্ধার করে ভালুকা ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২০ জুলাই) রাত ৯ টায় ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রদীপ জুয়েলার্সে। খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
দোকান মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় ৪/৫ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ সসস্ত্র ডাকাতদল একটি প্রাইভেটকারে এসে প্রদীপ জুয়েলার্সে ডুকে দোকান মালিক অধীর কর্মকতার ও তার ভাই সুধীর কর্মকারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। প্রায় ২৫০ ভরি সোনা লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় দোকান মালিক অধীর কর্মকারের মাথায় আঘাত করে বেশ কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে গফরগাঁওয়ের দিকে চলে যায়। এ সময় ককটেলের স্প্রিন্টারের আঘাতে অজ্ঞাত এক পথচারী আহত হন। খোঁজ পেয়ে স্থানীয় লোকজন আহত দোকান মালিক অধীর কর্মকতারকে উদ্ধার করে ভালুকা ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী পাশের হার্ডওয়ার দোকান মালিক শাহিন জানান, পর পর তিনটি ককটেল বিস্ফোরনের কারণে বিকট শব্দে আশপাশ এলাকা ধোঁয়ায় অন্ধাকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় বিদ্যুৎ ছিলোনা। তবে দেখা গেছে, একটি প্রাইভেটকার থেকে নেমে ৫ জন লোক দোকানে ডুকেছে। পরে গিয়ে দেখি দোকান মালিক রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে এবং দোকানের সব সোনা লুট করে নিয়ে গেছে।
আহত দোকান মালিক অধীর কর্মকারের ভাই সুধীর কর্মকতার জানান, আমার ভাই ও আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে প্রায় ২৫০ ভরি সোনা ও টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, ভালুকা পৌরসদরে সন্ধ্যার সময়ে ব্যস্ততম এলাকায় এমন ঘটনা খুবই দু:খ্যজনক। ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহিৃত করে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ট্যাগস :