ভান্ডারিয়া থানার এস আই সিদ্দিকের দুরদর্শীতায় সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্র শাহরিয়ার
- আপলোড সময়: ১১:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০২২
- / ৩০৫ বার পড়া হয়েছে
শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া-চরখালী সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনায় তরজাতা প্রাণগুলো ঝড়ে গেলেও থামছেনা চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। মঠবাড়িয়া-চরখালী সড়ক যেন এখন মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে। এ সড়কে গত দুই মাসের ব্যবধানে কলেজ ছাত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায়ীসহ বেশ কয়েকজন লোক নিহত হয়েছেন। কিন্তু এর পরেও থামেছেনা চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। পবিত্র ঈদুল আযহার এক সপ্তাহ পূর্বে বনফুল পরিবহনের একটি গাড়ির চাপায় দুই ব্যবসায়ী নিহতের রেশ কাটতে না কাটতেই ৮ জুলাই শুক্রবার বেপরোয়া গতির একটি বাসের মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল আবিদ শাহরিয়ার নামে এক স্কুল ছাত্র। ৮ জুলাই শুক্রবার দুপুরে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা মঠবাড়িয়াগামী একটি বাস চরখালী বিসমিল্লাহ চত্বরে আসা মাত্র আবিদ নামে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রকে চাপা দেয়ার উপক্রম হয়। এমন সময় বিসমিল্লাহ চত্বরে টিউটিতে থাকা ভান্ডারিয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ সিদ্দিক হোসেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছেলেটিকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। সাব-ইন্সপেক্টর সিদ্দিকের দুরদর্শীতায় শিশুটি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায়। দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া আবিদ শাহরিয়ার ভান্ডারিয়া বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ও চরখালীর আক্তারুজ্জামান আবু মল্লিকের পুত্র।
ভান্ডারিয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ সিদ্দিক হোসেন জানান, গাড়িটি দ্রুত গতিতে আসছিল এবং রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া স্কুল ছাত্রটিকে চাপা দেয়ার উপক্রম হয়েছিল। আমি তাৎক্ষণিক ছেলেটিকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেই। পরবর্তীতে খবর শুনে মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম জানান, একজন সাব-ইন্সপেক্টরের দুরদর্শীতা ও বুদ্ধিমত্তার কারণে বড় ধরণের দুর্ঘনা থেকে একটি স্কুল ছাত্র রক্ষা পেয়েছে। হয়তোবা ছেলেটি ঘটনাস্থলে মারা যেত পারত। তিনি আরো জানান, সাব-ইন্সপেক্টর সিদ্দিকের এমন প্রশংসনীয় কাজের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।