ময়মনসিংহ ১২:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালুকায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ফরম ফিলাপের অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৪:৩১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২
  • / ৩১৯ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ-ময়মনসিংহের ভালুকায় এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে এসএসসি সমমান দাখিল পরিক্ষার্থীর রেজিঃ ফি এবং ফরম ফিলাপের অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের টাসকাপাড়া ডি এস বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগী মোছা. পারভিন নামের এক ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে পারভিন বলেন, আমি দরিদ্র বাবার সন্তান। আমার বাবা মাটি কাটার কাজ করে আমার পরাশুনার খরচ বহন করেন। কিন্তু সম্প্রতি আমার এস এস সি (দাখিল) পরিক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য ২ হাজার ৫ শত টাকা দিয়েছি। বাবা কোন মতেই আমার ফরম পুরনের জন্য সম্পূর্ন টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় বাবার কাজের কোদাল বিক্রি করে দেন। পরে আমি মাদ্রাসার সুপার আমিনুল স্যারের কাছে ২৫০০ টাকা জমা দেই। এবং বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা প্রদান করি। কিন্তু এডমিট কার্ড আনতে গিয়ে শুনি আমার নাকি রেজিষ্টেশনই হয়নি। হতভম্ব হয়ে সুপার স্যারের কাছে জানতে চাই। তিনিও বলেন তুমার রেজিষ্ট্রেশন হয়নি। এমতাবস্থায় আমি কোন কোল কিনারা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভযোগ দায়ের করি। আমি যে কোন মূল্যে ২০২২ সনের এস এস সি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করতে চাই। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার আমিনুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে বক্তব্য চাইলে তিনি সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

ভালুকায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ফরম ফিলাপের অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ

আপলোড সময়: ০৪:৩১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ-ময়মনসিংহের ভালুকায় এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে এসএসসি সমমান দাখিল পরিক্ষার্থীর রেজিঃ ফি এবং ফরম ফিলাপের অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের টাসকাপাড়া ডি এস বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগী মোছা. পারভিন নামের এক ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে পারভিন বলেন, আমি দরিদ্র বাবার সন্তান। আমার বাবা মাটি কাটার কাজ করে আমার পরাশুনার খরচ বহন করেন। কিন্তু সম্প্রতি আমার এস এস সি (দাখিল) পরিক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য ২ হাজার ৫ শত টাকা দিয়েছি। বাবা কোন মতেই আমার ফরম পুরনের জন্য সম্পূর্ন টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় বাবার কাজের কোদাল বিক্রি করে দেন। পরে আমি মাদ্রাসার সুপার আমিনুল স্যারের কাছে ২৫০০ টাকা জমা দেই। এবং বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা প্রদান করি। কিন্তু এডমিট কার্ড আনতে গিয়ে শুনি আমার নাকি রেজিষ্টেশনই হয়নি। হতভম্ব হয়ে সুপার স্যারের কাছে জানতে চাই। তিনিও বলেন তুমার রেজিষ্ট্রেশন হয়নি। এমতাবস্থায় আমি কোন কোল কিনারা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভযোগ দায়ের করি। আমি যে কোন মূল্যে ২০২২ সনের এস এস সি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করতে চাই। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার আমিনুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে বক্তব্য চাইলে তিনি সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।