স্টাফ রির্পোটার:- ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক জুনিয়র শিক্ষক আব্দুল মান্ননের হাতে সিনিয়র শিক্ষিকা খোদেজা বেগম (৫৬) শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি কাশিগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ত্রিশাল মডেল থানা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ত্রিশাল উপজেলার কাশিগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা খোদেজা বেগমের সাথে জুনিয়র শিক্ষক আব্দুল মান্নানের বেশ কিছুদিন ধরে তুচ্ছ ঘটনায় বিরোধ চলে আসছিলে। এরই জের হিসেবে ১৮ মে বুধবার দুপুরে দু’জনের মাঝে তর্কাতর্কি ও বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আব্দুল মান্নান ক্ষিপ্ত হয়ে সিনিয়র শিক্ষিকা খোদেজা বেগমের গালে স্বজোরে ধাপ্পর মারেন।
খোদেজা বেগম জানান, প্রধান শিক্ষক মো: নুরুল আমীন স্যারের সামনেই জুনিয়র শিক্ষক আব্দুল মান্নান তাকে নিয়ে মন্দ আচরণ করেন এবং এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তার গালে স্বজোরে ধাপ্পর মারেন। এ ঘটনায় তিনি ত্রিশাল মডেল থানায় ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল মান্নানের মোবাইল নম্বরে কথা বললে থাপ্পর মারার কথা অস্বীকার করে তিনি জানান, তুচ্ছ ঘটনায় সিনিয়র শিক্ষিকা খোদেজা বেগমের সাথে কথাকাটাকাটি হয়েছে মাত্র।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নুরুল আমীনের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে বলেন, তিনি ময়মনসিংহ কাচারীতে ব্যস্ত আছেন এবং পরে কথা বলবেন বলে ফোনটি কেটে দেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান জানান, ঘটনাটি খুই দু:খ্যজনক। জুনিয়র শিক্ষক আব্দুল মান্নানের আচরণ খুবই আপত্তিকর, তার বিচায় হওয়া দরকার। তিনি এব্যাপারে অভিযোগকারী সিনিয়র শিক্ষিকা খোদেজা বেগমকে সার্বিক সহযোগীতা করবেন বলে জানান।
ত্রিশাল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জিল্লুর রহমান আনাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি খুবই দু:খ্যজনক। সিনিয়র শিক্ষিকা খোদেজা বেগমের লিখিত অভিযযোগ পাওয়ার পর উভয়কে ডেকে কথা বলেছি। সরেজমিন করে দু’একদিনের মধ্যেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিবে। অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার বলে ওই কর্মকর্তা জানান। ত্রিশাল মডেল থানার ওসি মো: মাইন উদ্দিন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে অফিসার পাঠিয়ে তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।