স্বামীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে ৯৯৯ কল ভালুকায় তিন সন্তানের জননীকে উদ্ধার করলো পুলিশ

- আপলোড সময়: ১০:০৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
- / ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় স্বামীর হাতে নির্মম নির্যাতনের হাত থেকে ৯৯৯ এ কল করে সাহায্যের আবেদন করলে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ গিয়ে নির্যাতিত তিন সন্তানের জননীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ব্যথার যন্ত্রনায় হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন ৪৫ বছর বয়সী শেফালি বেগম।
জানা যায়, উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ছন্নত আলীর ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী বুলবুল মিয়া (৪৮) এর সাথে প্রায় বিশ বছর আগে বিয়ে হয় শেফালি বেগমের (৪৫)। ঘরে ৩ ছেলে মেয়ে, তাদেরকে বিয়েও দিয়েছেন। কিন্তু বিয়ের এত বছর পর শেফালি বেগমের উপর নেমে আসে স্বামী বুলবুলের অত্যাচার। কারণে অকারণে প্রায়ই অশ্লীল গালিগালাজ ও মারধোর করে থাকেন তিনি। এমনকি যৌতুকের টাকার জন্যও প্রায় চাপ সৃষ্টি করে থাকেন বুলবুল। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাঁদতে কাঁদতে এভাবেই ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিলেন নির্যাতনের শিকার শেফালী বেগম। যৌতুকের দাবীতে স্বামীর পাশবিক নির্যাতন সইতে না পেরে গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জরুরি নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করেন শেফালি বেগম। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসেন।
৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকায় সন্ধ্যার পর শেফালি বেগমকে বেধরক মারপিট করে স্বামী বুলবুল। খবর পেয়ে শেফালি বেগমকে উদ্ধার করতে গেলে শেফালি বেগমের মা মনোয়ারা বেগমের সাথে দুর্ব্যবহার করে বুলবুলের ভাই এনামুল (৩২)। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় শেফালি বেগমকে উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকে ভালুকা সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে তার স্বজনরা।
এ বিষয়ে শেফালি বেগমের বাবা আঃ বারেক বাদী হয়ে গত রবিবার (২৪ এপ্রিল) ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বুলবুলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ভালুকা মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক ও এই অভিযোগের তদন্তের দায়িত্বে থাকা বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে, উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।