মোহাম্মদ সেলিম,ত্রিশাল থেকেঃ- ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে ২০২১ সালের ২৮ ফেরুয়ারী যোগদান করেন (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন ।
তিনি জনতার কাতারে গিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন একজন মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে। তার নৈতিকতা ও সত্যতার সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করে চলেছেন ত্রিশাল থানার অন্যান্য অফিসার ওপুলিশ সদস্যরা। অফিসার ইনর্চাজ মাইন উদ্দিন ত্রিশাল থানায় যোগদানের পর থেকে পুলিশ সদস্যদের সাথে বন্ধুত্বের মত মনোভাব পকাশ করে তিনি রাতদিন নিরলস ভাবে উপজেলার অসহায় সাধারণ জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
করোনা ভাইরাস সহ নানা ধরনের প্রতিকূলতায় পরিবার এবং নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে কাজ করে চলেছেন অবিরাম। কখনো তিনি পিছপা হননি । তার ভালোবাসায় মুগ্ধ হন সর্বশ্রেণীর মানুষ।
ত্রিশাল থানায় সেবা নিতে আসা আজিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সম্প্রতি আমার বাড়ির একটা সমস্যা নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। সমস্যা সমাধানে ওসির আন্তরিকতার কোন অংশে কমতি ছিল না। আমার দেখা পুলিশ অফিসারের মধ্যে সেরা এই ওসি। যদি বলি একজন মানবিক অফিসার, যদি বলি একজন নিষ্ঠাবান অফিসার, যদি বলি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ, সব বিশেষণ উনার সঙ্গে মিশে আছে। জানতাম না এতো মানবিক অনুভূতির পুলিশও আছে। ত্রিশাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক জানান, উপজেলায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি করে মূল্যবান অলংকার অপরাধীরা বিভিন্ন জুয়েলারি দোকানে বিক্রি করে অল্প দামে। অপরাধীরা যেন এই কাজটা না করতে পারে তাই স্যারের নির্দেশে বিভিন্ন জুয়েলারি দোকানের মালিকদেরকে সচেতন করা হয়।মাদক নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা চেয়ে ত্রিশালের ওষুধ ব্যাবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।
তিনি আরও বলেন, মাইন উদ্দিন স্যারের এমন অসংখ্য সৃজনশীল নির্দেশনা তৈরি করে অধীনস্থ অফিসারদের নিয়ে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে উপজেলাবাসীর কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া সুপার হিরো আমাদের অভিভাবক মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন স্যার। স্যারের নির্দেশনা পালনে সব সময়ই প্রস্তুত।
ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, আমি একজন গরীব ঘরের সন্তান,পদ্দা নদীর ভাঙ্গনে আমার পরিবারের কষ্টে দিন কাটতো। তার পরও অনেক কষ্টে লেখা পড়া করে আজ আমি ওসি হয়েছি। তাই গরীবের কষ্ট বুঝে আইনের সেবক হয়ে জনতার সারিতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবো, প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথা গুলি বলতে পারবে ঠিক তেমন ভাবে আমি ত্রিশাল উপজেলা বাসির জন্য কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
একজন সাধারণ মানুষ যখন আইনের সেবকদের কাছে ন্যায় বিচার পাবে ঠিক তখনি মানুষের মাঝে পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস জেগে উঠবে। আমি মনে করি সাধারণ মানুষ যখন আমাদের কাছে আসতে পারবে ঠিক তখনি তারা অন্ধকার জীবন থেকে আলোর পথে ফিরে আসবে, একজন পুলিশের কাছে সেটাও সম্ভব একজন অপরাধি কে ঘৃণার দৃষ্টিতে না দেখে আইনের মাধ্যমে তাকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখে আলোর পথে নিয়ে আসা।
এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ২০৪১ সালে আমরা যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সে উন্নত বাংলাদেশের আমরাই হবো উন্নত পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন ইতিপূর্বে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, নাগরপুর ও ময়মনসিংহের ভালুকা মডেল থানার ওসি হিসাবে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পূর্ববর্তী কর্মস্থলের লোকজন এখনো তাকে ত্রিশাল থানায় দেখতে আসেন।
মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন মানবিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, ভবিষ্যতেও পুলিশ এমন মানবিক আচরণ করবে সাধারণ মানুষের সাথে।