মঠবাড়িয়ায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুসলিম নারীকে বিয়ে অতঃপর অমানুষিক নির্যাতন

- আপলোড সময়: ১২:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
- / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ মুসলমান হওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক মুসলিম নারীকে বিয়ে করে একের পর এক অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে মৃদুল মিত্র নামে এক লম্পটের বিরুদ্ধে। ওই লম্পটের অমানুষিক নির্যাতনে অন্তঃস্বত্তা গৃহবধু মৈত্রি মিত্র (পূর্বের নাম হাফিজা আক্তার) বর্তমানে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছটফট করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মধ্য আমড়াগাছিয়া গ্রামে।
জানাগেছে, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার জিলবুনিয়া গ্রামের হাচান আলী শেখ এর কন্যা হাফিজা আক্তার ২০১৪ সালে মঠবাড়িয়ার সাপলেজায় বেসরকারি সংস্থা উদ্দীপনে চাকুরী নেন। এরপর মধ্য আমড়াগাছিয়া গ্রামের সুখরঞ্জনের ছেলে মৃদুল মিত্রের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে মৃদুল মুসলমান হওয়ার আশ্বাসে হাফিজাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং সুকৌশলে ভারতে নিয়ে চলে যায়। লম্পট মৃদুল নিজে পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে গেলেও হাফিজাকে অবৈধভাবে প্রবেশ করায়। পরে মৃদুল হাফিজাকে ভারতে রেখে দেশে চলে আসে এবং মাঝে মধ্যে ভারতে গিয়ে হাফিজাকে বিয়ে না করেই তার সাথে অবৈধভাবে জীবন যাপন করত। হাফিজা দেশে আসতে চাইলে পুলিশের ভয়ভীতি দেখাত মৃদুল। এদিকে হাফিজার ছোট ভাই সবুজ শেখ বাদী পিরোজপুর সদর থানায় মৃদুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মৃদুল কারাগারে গেলে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে তার স্বজনরা হাফিজাকে খবর দিয়ে দেশে আনে এবং আদালতে হাজিরে করে মৃদুলকে জামিনে মুক্ত করেন। জেল থেকে মুক্ত হয়ে মৃদুল আদালতের মাধ্যমে হাফিজার নাম পরিবর্তন করে মৈত্রি মিত্র করে বিয়ে করেন। প্রতিবেশী জামাল হোসেন জানান, মৈত্রি মিত্রকে বাড়িতে আনার পর থেকেই মৃদুল তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে আসছে। মঙ্গলবার নির্যাতনের একপর্যায়ে অন্তঃস্বত্ত্বা ওই গৃহবধু অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিলে ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এব্যপারে অভিযুক্ত মৃদুল নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন, মৈত্রি মিত্র সাথে তার ধাক্কাধাকি হয়েছে। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।