মঠবাড়িয়ায় সাজাভোগকারী সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু: সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
- আপলোড সময়: ০৭:৫৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ২২৫ বার পড়া হয়েছে
শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় লোহার গরম খুঁন্তি দিয়ে গৃহ পরিচারিকার লজ্জাস্থানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দেয়া মামলার সাজাভোগকারী শিক্ষিকা দিলারা আক্তার এমিলির বিরুদ্ধে আবারও বিভিনś অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জেছের আলী ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তের জন্য মঠবাড়িয়ায় আসেন। এসময় সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতে এলাকাবাসী এবং ওই শিক্ষিকার বর্তমান কর্মস্থল ৬৮নং পশ্চিম সেনের টিকিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক মানববন্ধন করেন। জানাগেছে, ৬৮নং পশ্চিম সেনের টিকিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা দিলারা আক্তার এমিলির বিরুদ্ধের ওই এলাকার সজিব মিয়া নামের এক যুবক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণায়ের সচিব বরাবরে একখানা অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, সহকারি শিক্ষক দিলারা আক্তার এমিলি ২০০২ সালে উপজেলার ৮৯নং সাপলেজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চাকুরীরত অবস্থায় তার বাসার পরিচারিকাকে লোহার গরম খুঁন্তি দিয়ে ছ্যাকা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে দেয়। ওই মামলায় তার সাজা হলে আইনের বিভিন্ন ফাঁক ফোকর দিয়ে চাকুরিতে পুর্নবহাল হন এবং ৬৮নং পশ্চিম সেনের টিকিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার, বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসা সহ বিভিনś অনিয়মে জড়িয়ে পরেন। এমনকি এলাকার লোকজনের সাথেও বিভিন্ন মামলা মোকদর্মায় জড়িয়ে পরেন। তাছাড়া ওই এলাকার দুলাল নামে একজনকে হত্যা চেষ্টা মামলায় দিলারা আক্তার ২০২০ সালে কারাবাসও করেন। অপর দিকে তিনি পিরোজপুরে মামলায় হাজিরা দিতে গেলেও বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন।
পিরোজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জেছের আলী জানান, মামলার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। ছাড়া অন্যান্য অভিযোগের বিষয় তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।