হাতিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪জনকে ৯ বছরের কারাদন্ড
- আপলোড সময়: ০৩:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ৩০৫ বার পড়া হয়েছে
জি এম ইব্রাহীম,হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় জেলেদের চাল আত্মসাৎতে দুদকের করা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪জনকে ৯ বছরের কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সে সাথে ৮০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোর্শেদ আলম ২০১৬ সালের করা একটি মামলায় এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো.মেহেরাজ উদ্দিন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো.গোলাম ফারুক, নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য তাহেরা বেগম ও ছকিনা খাতুন শাহানারা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে ১৬ মে হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে দরিদ্র ভিজিএফ জেলেদের চাল যথাযত ভাবে বিতরণ না করে ৩১.১২ মেট্রিক চাল আত্মসাৎ করার অভিযোগে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব ছিদ্দিক আহম্মেদ জুয়েল বাদী হয়ে মামলা একটি মামলা দায়ের করেন। পরে দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.মশিউর রহমান মামলটি তদন্ত করেন।
অভিযোগে বলা হয়, নিঝুম দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান সহ অপর তিন আসামি জাটকা আহরনকারী হত দরিদ্র ভিজিএফ ৩৮৯ জন জেলে প্রত্যেকের জন্য মার্চ ২০১৬ হতে জুন ২০১৬ পর্যন্ত ৪ মাসে ১৬০ কেজি হারে বিতরণের জন্য মোট ৬২ দশমিক ২৪ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তারা অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপজেলা কমিটির অনুমোদিত তালিকার দরিদ্র ভিজিএফ জেলেদের নামীয় চাল যথাযথভাবে বিতরণের দায়িত্বে থেকে কম পরিমানে বিতরণ করেন। কোন কোন ক্ষেত্রে তালিকাভুক্তদের না দিয়ে ভুয়া মাস্টার রোল তরী ও স্বাক্ষর করে দাখিল করেন। তদন্তকালে সাক্ষীগণের জবানবন্দি দ্বারা গড়ে অধের্źক চাল বিতরণ না করার প্রমাণ পাওয়া যায়। তারা ৩১দশমিক ১২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ না করে আত্মসাৎ করে।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, হাতিয়া উপজেলা থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে হত দরিদ্র (ভিজিডি) মহিলাদের চাউল বিতরণের খাদ্য শস্য ছাড়করণ পত্র মোতাবেক ১১নং নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের ১১৯ জন কার্ডধারী ভিজিডি মহিলাদের নিকট বিতরণের জন্য ২১ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তারা অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনা না করে একই ভাবে ১০দশমিক ৭১ মেট্রিক টন বিতরণ না করে আত্মসাৎ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন বিচার কার্য শেষে নোয়াখালীর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোর্শেদ আলম আসামিদের সবাইকে ৪টি ধারায় মোট ৯ বছরের সাজা ও ৮০ হাজার টাকা জরিমান অনাদায়ে আরো ১বছরের সাজা প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।